সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
মুরগির ফার্মে কাজ করিয়ে বেশি টাকা দেওয়ার প্রলোভনে দিনের পর দিন স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাঝে মাঝে গলায় ছুরি ধরেও ধর্ষণ করা হতো। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে ওই ছাত্রী। গত সোমবার (৭ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও আইনের আশ্রয় নিতে পারেননি ওই ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যরা।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের একটি গ্রামে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া নারী জানান, ২২ বছর আগে তার সাথে একই উপজেলার বারাত গ্রামের এক কৃষকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর যেতে না যেতেই নানা অজুহাতে তাকে নির্যাতন করতো তার স্বামী। একপর্যায়ে দুই মেয়েকে নিয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বাপের বাড়ি নগরঘাটা ইউনিয়নে চলে আসেন তিনি। সেখানে দিনমজুর খাটার একপর্যায়ে ছোট ভাইয়ের এক কাঠা জমি কিনে কোন রকমে ঘর বানান তিনি। তার ছোট সন্তান বর্তমানে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। বড় মেয়ে ও মেঝো মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ওই নারী আরো জানান, পোড়ারবাজার মোড়লপাড়ার ইব্রাহীম মোড়লের ছেলে মুরগির খামারী শাহেদ আলী মোড়ল (৫৮) তার মেয়েকে(১৫ বছর ৪ মাস) খামারে কাজ করার জন্য বেশি টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে, কখনো গলায় ছুরি ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে বা মুখে কাপড় বেঁধে দীর্ঘ ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ধর্ষণ করে আসছে।
মেয়ের শরীরের অস্বাভাবিক অবস্থা দেখে সোমবার সন্ধ্যার পর মেয়ের কাছে জেনে বুঝে তাকে গ্রাম ডাক্তার নজরুল ইসলামের কাছে নিয়ে যান তিনি। সেখান থেকে পরীক্ষা করে জানতে পারেন যে মেয়ে পাঁচ মাসেরও বেশি দিনের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ইউপি সদস্য নবী নেওয়াজ সরদারকে ও পরে স্থানীয় নগরঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম লিপুকে অবহিত করা হয়। তারা বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। ফলে তারা আর থানা পুলিশ করেননি। তবে থানা পুলিশের আশ্রয় নেবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহেদ আলী মোড়লের মোবাইল ফোন না পেয়ে তার ছেলে আল মামুনের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি জানান, তার বাবা ফোন ব্যবহার করেন না বা কোথায় আছে তিনি জানেন না।
নগরঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপুর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ব্যস্ততার কারণে ফোন রিসিভ করেননি।