আজ ৫ই নভেম্বর সকাল ১০টায় সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা সামস্ এর আয়োজনে পাওয়ানকা ফান্ডের সহযোগিতায় আরএসএফ সোশ্যাল ফিন্যান্স এর অর্থায়নে সুন্দরবন উপকুলীয় অঞ্চলের আদিবাসীদের প্রথাগত জ্ঞানের প্রসার ও জলবায়ু পরিবর্তনে খাপ খাওয়ানোর সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় বুড়িগোয়ালিনী আশ্রায়ন প্রকল্পের ক্লাবে খগেন্দ্র নাথ মুন্ডার সভাপতিত্বে মুলস্রোত ধারার ধর্মীয় ও সামাজিক নেতা দের সাথে মুন্ডানেতা দের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে সামস এর প্রকল্পব্যবস্থাপক সনজয় মাঝী বলেন মুন্ডাদের সংষ্কৃতি, খাদ্যের সার্বভৌমত্ব, সামাজিক অবকাঠামোকে সুদৃড় করতে যে সকল সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন, আজ আপনারা, আমরা সে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেব ।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওবেঁকি মহবিদ্যালের সাবেক সহকারী অধ্যাপক বাবু নিমাই চন্দ্র মন্ডল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আড়পাঙ্গাশিয়া পিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক বাবু নগেন্দ্র নাথ মন্ডল, পোরহিত কুমুদরঞ্জন মুখার্জি, প্রভঞ্জন মুখার্জি, পুর্নেন্দু মুখার্জি, বাবু দিপক মিস্ত্রী সহ স্থানীয় সামাজিক মুন্ডা পাহান মোড়ল পাস মোড়ল গন। আদি ধর্ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সামস্ এর নির্বাহীপরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা। সভায় অতিথীগন বলেন আদিবাসীদের সামাজিক আইন ও রীতিনিতিতে যুব সমাজ কে শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। অপসংষ্কৃতি এই সংষ্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে আমাদের সামাজিক অবক্ষয় অবধারিত।বিশেষ কোন শ্রেনীর চাপের কারনে সংস্কৃতি কে ভুলে গেলে চলবে না। শবদাহ প্রক্রিয়া যদি না থাকে তাহলে কেন আপনারা করবেন। নিয়ম যদি থাকে পাহান দিয়ে পূজা করা তাহলে ব্রাহ্মণ কে তাহলে কেন চাপিয়ে দেওয়া। প্রত্যেক জাতি সত্বার নিজেস্ব সংস্কৃতি নিয়ে বাঁচার অধিকার আছে। আমাদের প্রত্যেক কে প্রত্যেকের সামজিক সাষ্কৃতি ও ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল শীল হওয়া দরকার।সমগ্র অধিপরার্মশ সভাটি সঞ্চলনা করেন সামস্ এর প্রকল্প ব্যাস্থাপক সনজয় মাঝী।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি-