ঢাকা ০১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কালিগঞ্জে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচপিভি টীকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ডা: বুলবুল কবীর কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই

কালিগঞ্জে বসন্তপুর নৌরুট পরিদর্শন করলেন ইউএনও সহ দুই বাংলার কবি ও সাহিত্যিক

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৩:৩২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২
  • ৮৯ জন পড়েছেন ।

হাফিজুর রহমান শিমুলঃ

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বসন্তপুর নো-রুট এলাকা পরিদর্শন করেছেন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা সহ ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পি, কবি ও সাহিত্যিকগন। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকাল ৫ টায় পরিদর্শনকালে সিমান্ত নদী কালিন্দী, ইছামতি নদী ও কাকশিয়ালী নদীর তৃ-মোহনার অপরুপ দৃশ্য অবলোকন করেন। এছাড়াও বসন্তপুর রিভার ড্রাইভ ইকো পার্কের চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন নবাগত ইউএনও। পরিদর্শনকালে এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমীর পুরুস্কার প্রাপ্ত কবি ও সাহিত্যিক হোসেন উদ্দীন হোসেন, কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কানাই সেন, ভারতের কন্ঠ শিল্পী কল্লোল ঘোষাল, নৃপেন চক্রবর্তী, অঞ্জনা গোষ্মামী, কবি ইমরুল ইউসুপ, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুল, তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম আহম্মাদ উল্লাহ বাচ্ছু, বিশিষ্ট আইনজীবি জাফরুল্যাহ ইব্রাহিমসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য যে, জেলার কালিগঞ্জের বসন্তপুর নৌ- বন্দরটি সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ জনপদের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নৌবন্দরটি কালীগঞ্জের ইছামতী, কালিন্দী ও (এককালের যমুনা) বর্তমানে কাঁকশিয়ালী নদীর ত্রিমোহনায় অবস্থিত। নদীর এপারে বাংলাদেশের মথুরেশপুর ও ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন। ওপারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হিঙ্গলগঞ্জ থানা। বসন্তপুর গ্রামটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এলাকাটি প্রাচীনকাল থেকে সব দিক দিয়ে সমৃদ্ধ।ইতিহাস থেকে জানা যায়, রাজা প্রতাপাদিত্যের চাচাতো ভাই রাজা বসন্ত রায়ের নামানুসারে বসন্তপুর গ্রামের নামকরণ করা হয়। আঞ্চলিক গুরুত্ব বিবেচনায় পাকিস্তান সৃষ্টির শুরুর দিকে স্থানীয় জনগণের চাহিদা অনুসারে বন্দরটি তৎকালীন সরকার নির্মাণ করে। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় পর্যন্ত বন্দরটির সব কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। তখন এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি হতো বিভিন্ন প্রকারের পোশাক, পিতল-কাসা, হাঁড়ি-পাতিল, ফলফলাদি, মুদিসামগ্রী, পেঁয়াজ, রসুন, মসলা ইত্যাদি। কাস্টম ও ইমিগ্রেশন বিভাগের কার্যক্রমও ছিল রমরমা। কিন্তু পাক-ভারত যুদ্ধের পর বন্দরের সব কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।এর পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত দুই দেশের মানুষ এই নদীপথ দিয়ে চলাচল করত। স্বাধীনতার পর আর বন্দরটি চলেনি। উপজেলা পরিষদ, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাব, কালিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমী, ও কবি, সাহিত্যিকসহ স্থানীয়দের দাবি ছিল পুনঃ নৌবন্দরটি চালু করার। এটি চালু হলে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের প্রসার ঘটবে।চোরাচালান ও পাচার রোধ হবে এবং অবৈধ পণ্যের অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে বলে তাঁদের দাবি। সেই দাবীর প্রেক্ষিতে সংশ্লীষ্ট মন্ত্রণালয় নৌ রুটটি পুনঃ চালুর জন্য গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

কালিগঞ্জে বসন্তপুর নৌরুট পরিদর্শন করলেন ইউএনও সহ দুই বাংলার কবি ও সাহিত্যিক

পোস্ট করা হয়েছে : ০৩:৩২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২

হাফিজুর রহমান শিমুলঃ

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বসন্তপুর নো-রুট এলাকা পরিদর্শন করেছেন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা সহ ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পি, কবি ও সাহিত্যিকগন। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকাল ৫ টায় পরিদর্শনকালে সিমান্ত নদী কালিন্দী, ইছামতি নদী ও কাকশিয়ালী নদীর তৃ-মোহনার অপরুপ দৃশ্য অবলোকন করেন। এছাড়াও বসন্তপুর রিভার ড্রাইভ ইকো পার্কের চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন নবাগত ইউএনও। পরিদর্শনকালে এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমীর পুরুস্কার প্রাপ্ত কবি ও সাহিত্যিক হোসেন উদ্দীন হোসেন, কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কানাই সেন, ভারতের কন্ঠ শিল্পী কল্লোল ঘোষাল, নৃপেন চক্রবর্তী, অঞ্জনা গোষ্মামী, কবি ইমরুল ইউসুপ, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুল, তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম আহম্মাদ উল্লাহ বাচ্ছু, বিশিষ্ট আইনজীবি জাফরুল্যাহ ইব্রাহিমসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য যে, জেলার কালিগঞ্জের বসন্তপুর নৌ- বন্দরটি সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ জনপদের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নৌবন্দরটি কালীগঞ্জের ইছামতী, কালিন্দী ও (এককালের যমুনা) বর্তমানে কাঁকশিয়ালী নদীর ত্রিমোহনায় অবস্থিত। নদীর এপারে বাংলাদেশের মথুরেশপুর ও ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন। ওপারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হিঙ্গলগঞ্জ থানা। বসন্তপুর গ্রামটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এলাকাটি প্রাচীনকাল থেকে সব দিক দিয়ে সমৃদ্ধ।ইতিহাস থেকে জানা যায়, রাজা প্রতাপাদিত্যের চাচাতো ভাই রাজা বসন্ত রায়ের নামানুসারে বসন্তপুর গ্রামের নামকরণ করা হয়। আঞ্চলিক গুরুত্ব বিবেচনায় পাকিস্তান সৃষ্টির শুরুর দিকে স্থানীয় জনগণের চাহিদা অনুসারে বন্দরটি তৎকালীন সরকার নির্মাণ করে। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় পর্যন্ত বন্দরটির সব কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। তখন এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি হতো বিভিন্ন প্রকারের পোশাক, পিতল-কাসা, হাঁড়ি-পাতিল, ফলফলাদি, মুদিসামগ্রী, পেঁয়াজ, রসুন, মসলা ইত্যাদি। কাস্টম ও ইমিগ্রেশন বিভাগের কার্যক্রমও ছিল রমরমা। কিন্তু পাক-ভারত যুদ্ধের পর বন্দরের সব কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।এর পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত দুই দেশের মানুষ এই নদীপথ দিয়ে চলাচল করত। স্বাধীনতার পর আর বন্দরটি চলেনি। উপজেলা পরিষদ, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাব, কালিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমী, ও কবি, সাহিত্যিকসহ স্থানীয়দের দাবি ছিল পুনঃ নৌবন্দরটি চালু করার। এটি চালু হলে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের প্রসার ঘটবে।চোরাচালান ও পাচার রোধ হবে এবং অবৈধ পণ্যের অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে বলে তাঁদের দাবি। সেই দাবীর প্রেক্ষিতে সংশ্লীষ্ট মন্ত্রণালয় নৌ রুটটি পুনঃ চালুর জন্য গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।