ঢাকা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

১৯৬৫ পাক-ভারত যুদ্ধে বন্ধ বসন্তপুর নৌবন্দর চালু হচ্ছে

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৮:২৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
  • ১৪৪ জন পড়েছেন ।
ডেক্সঃ সাউন্ড অফ কমিউনিটি
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর নৌবন্দরই সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যে মূল কেন্দ্র। কাকশিয়ালী-ইছামতী-কালিন্দী- এই তিন নদীর মোহনায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বসন্তপুর গ্রাম। ৫৬ বছর আগে এখানে ছিল সমৃদ্ধ নৌবন্দর বাণিজ্য হতো ভারতের সঙ্গে। কাছেই সীমান্তের ওপারে ভারতের হিঙ্গলগঞ্জ সেখান থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৭০ কিলোমিটার। আর বসন্তপুর থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারেরও কম।
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয়ে এই নৌবন্দর । এখনও স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে সেখানে দাঁড়িয়ে আছে জরাজীর্ণ কাস্টম ভবন, তৎকালীন ইমিগ্রেশন অফিসসহ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোয়ার্টার। নৌবন্দরের খালাসীদের আবাসস্থল ও বসন্ত রঞ্জন রায়ের বাস ভবন যা নৌবন্দরের টিকিট ঘর হিসাবে কাজ চলত। রাজা প্রদাপাতিত্বের ইতিহাস সমৃদ্ধ এই অঞ্চলে পণ্যের আমদানী- রপ্তানি করার জন্য এটাই ছিলো প্রাচীনকাল থেকে একমাত্র নৌ-পথে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নৌ-বহরও এই ইছামতি, কালিন্দী নদী দিয়ে এই নৌবন্দরে নঙ্গর করেছিলো। খুবই জমজমাট গঞ্জ ছিলো ভারতের হিঙ্গলগঞ্জ বাংলাদেশের নাজিমগঞ্জ থেকে হিঙ্গোল গঞ্জ সহজে ব্যবসা হত।
বন্ধ হয়ে যাওয়া নৌ-রুটের বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের সাথে বানিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনায় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর নৌ-রুট পুনরায় চালু জন্য সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তফা কামালকে বিষয়টি অবহিত করেন। তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম মোস্তফা কামাল নৌবন্দর প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২২ জানুয়ারি ২০২২ এই বন্দরটি নির্মাণে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। এখন মন্ত্রণালয় নৌবন্দরের সম্ভাব্যতা ও সুফলতা যাচাই করে দেখার নির্দেশ দেন। এরপর জরিপ চালিয়ে সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করে বিষয়টি একনেকের বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদন হলেই নৌবন্দর প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হবে।
কালিগঞ্জ বাসির দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে বসন্তপুরে অবশেষে বহু কাংঙ্খিত সেই স্বপ্নের বসন্তপুর নৌবন্দর চালু হোক। বসন্তপুর নৌ-রুট সংশ্লীষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট আকারে বাস্তবায়নের জন্য প্রকাশিত হয়েছে যা নৌবন্দর প্রতিষ্ঠায় কোন প্রতিবন্ধকতা নাই ফলে আনন্দের বন্য বইছে সাতক্ষীরায়। সেই থেকে প্রক্রিয়াধীন আছে নৌ-রুট বাস্তবায়নের কাজ। অবশেষে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় সচেতন মহলের মাঝে আনন্দ ও উৎসব শুরু হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে ঢাকা বি.আই.ডব্লিউ.টি.এ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্ভে টিম নৌ-রুটের বাস্তব চিত্র দেখতে বসন্তপুর এলাকা পরিদর্শনে আসেন। এবং সন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিবেদন দাখিল করলে নৌ-মন্ত্রী সুপারিশ করেন। এরপর আইন মন্ত্রনালয় হয়ে বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে সর্বশেষ সরকারি ভাবে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

বসন্তপুর নৌবন্দর চালু হলে কালিগঞ্জ তথা সাতক্ষীরার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে বলে আশা করে সর্বস্তরের মানুষ। এখানে একদিন ভারতের পশ্চিমবাংলার হিঙ্গেল গঞ্জ এর সাথে আবারও কমখরচে মালামাল আমদানি রপ্তানি করা যাবে। পরিবহন খরচ কম হবে ফলে ব্যবসা সমৃদ্ধ জনপদে পরিনত হবে এই অঞ্চল। এখান থেকে নৌপথে কয়রা,আশাশুনি,শ্যামনগর খুলনা,মংলাসহ দেশের অনেক স্থানে নৌপথে মালামাল পরিবহন করা সহজ হবে। শুধু তাই নয় মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে পর্যটন শিল্প সমৃদ্ধ হবে। সাতক্ষীরা একমাত্র ভারতের সাথে স্থল বন্দর ভোমরা তার সাথে নতুন বসন্তপুর নৌবন্দর সংযুক্ত হলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভারত তথা বহিঃবিশ্বের সাথে নতুন অধ্যায়ের সুচনা হবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসির।
Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

১৯৬৫ পাক-ভারত যুদ্ধে বন্ধ বসন্তপুর নৌবন্দর চালু হচ্ছে

পোস্ট করা হয়েছে : ০৮:২৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
ডেক্সঃ সাউন্ড অফ কমিউনিটি
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর নৌবন্দরই সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যে মূল কেন্দ্র। কাকশিয়ালী-ইছামতী-কালিন্দী- এই তিন নদীর মোহনায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বসন্তপুর গ্রাম। ৫৬ বছর আগে এখানে ছিল সমৃদ্ধ নৌবন্দর বাণিজ্য হতো ভারতের সঙ্গে। কাছেই সীমান্তের ওপারে ভারতের হিঙ্গলগঞ্জ সেখান থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৭০ কিলোমিটার। আর বসন্তপুর থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারেরও কম।
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয়ে এই নৌবন্দর । এখনও স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে সেখানে দাঁড়িয়ে আছে জরাজীর্ণ কাস্টম ভবন, তৎকালীন ইমিগ্রেশন অফিসসহ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোয়ার্টার। নৌবন্দরের খালাসীদের আবাসস্থল ও বসন্ত রঞ্জন রায়ের বাস ভবন যা নৌবন্দরের টিকিট ঘর হিসাবে কাজ চলত। রাজা প্রদাপাতিত্বের ইতিহাস সমৃদ্ধ এই অঞ্চলে পণ্যের আমদানী- রপ্তানি করার জন্য এটাই ছিলো প্রাচীনকাল থেকে একমাত্র নৌ-পথে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নৌ-বহরও এই ইছামতি, কালিন্দী নদী দিয়ে এই নৌবন্দরে নঙ্গর করেছিলো। খুবই জমজমাট গঞ্জ ছিলো ভারতের হিঙ্গলগঞ্জ বাংলাদেশের নাজিমগঞ্জ থেকে হিঙ্গোল গঞ্জ সহজে ব্যবসা হত।
বন্ধ হয়ে যাওয়া নৌ-রুটের বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের সাথে বানিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনায় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর নৌ-রুট পুনরায় চালু জন্য সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তফা কামালকে বিষয়টি অবহিত করেন। তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম মোস্তফা কামাল নৌবন্দর প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২২ জানুয়ারি ২০২২ এই বন্দরটি নির্মাণে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। এখন মন্ত্রণালয় নৌবন্দরের সম্ভাব্যতা ও সুফলতা যাচাই করে দেখার নির্দেশ দেন। এরপর জরিপ চালিয়ে সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করে বিষয়টি একনেকের বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদন হলেই নৌবন্দর প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হবে।
কালিগঞ্জ বাসির দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে বসন্তপুরে অবশেষে বহু কাংঙ্খিত সেই স্বপ্নের বসন্তপুর নৌবন্দর চালু হোক। বসন্তপুর নৌ-রুট সংশ্লীষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট আকারে বাস্তবায়নের জন্য প্রকাশিত হয়েছে যা নৌবন্দর প্রতিষ্ঠায় কোন প্রতিবন্ধকতা নাই ফলে আনন্দের বন্য বইছে সাতক্ষীরায়। সেই থেকে প্রক্রিয়াধীন আছে নৌ-রুট বাস্তবায়নের কাজ। অবশেষে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় সচেতন মহলের মাঝে আনন্দ ও উৎসব শুরু হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে ঢাকা বি.আই.ডব্লিউ.টি.এ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্ভে টিম নৌ-রুটের বাস্তব চিত্র দেখতে বসন্তপুর এলাকা পরিদর্শনে আসেন। এবং সন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিবেদন দাখিল করলে নৌ-মন্ত্রী সুপারিশ করেন। এরপর আইন মন্ত্রনালয় হয়ে বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে সর্বশেষ সরকারি ভাবে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

বসন্তপুর নৌবন্দর চালু হলে কালিগঞ্জ তথা সাতক্ষীরার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে বলে আশা করে সর্বস্তরের মানুষ। এখানে একদিন ভারতের পশ্চিমবাংলার হিঙ্গেল গঞ্জ এর সাথে আবারও কমখরচে মালামাল আমদানি রপ্তানি করা যাবে। পরিবহন খরচ কম হবে ফলে ব্যবসা সমৃদ্ধ জনপদে পরিনত হবে এই অঞ্চল। এখান থেকে নৌপথে কয়রা,আশাশুনি,শ্যামনগর খুলনা,মংলাসহ দেশের অনেক স্থানে নৌপথে মালামাল পরিবহন করা সহজ হবে। শুধু তাই নয় মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে পর্যটন শিল্প সমৃদ্ধ হবে। সাতক্ষীরা একমাত্র ভারতের সাথে স্থল বন্দর ভোমরা তার সাথে নতুন বসন্তপুর নৌবন্দর সংযুক্ত হলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভারত তথা বহিঃবিশ্বের সাথে নতুন অধ্যায়ের সুচনা হবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসির।