মোঃ রাসেল সরকার
শ্লীলতাহানির মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে সত্যতা না পাওয়ায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালতে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ডিএমপির নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পারভীন আখতার। আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেখিলাম বলে সই করে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামি লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাস একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবক।রাজনৈতিকভাবে তার বিভিন্ন প্রতিপক্ষ রয়েছে। বিভিন্ন জনের ইন্ধনে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার আশায় পূর্বপরিকল্পনা করেন। আসামির ব্যক্তিগত কক্ষে জড়িয়ে ধরার ঘটনা বাদী নিজের মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওটি দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারী আসামি চিত্তরঞ্জনের কাছে থেকে তার শ্বশুরের দাবি করা দোকান উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
আসামি প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয়প্রতিপন্নসহ আর্থিকভাবে লাভবানের আশায় নিজে তার আইডি থেকে উক্ত ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেয় এবং থানায় মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করে। যা মামলার প্রাথমিক তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে। এছাড়া আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দানে চূড়ান্ত দাখিল করা হয়।
২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সবুজবাগ থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক নারী চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এ মামলায় একই বছরের ১৪ অক্টোবর ঢাকার আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ২১ অক্টোবর তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের দোকানদার দোকান সংস্কার করতে গেলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস চা দোকানির কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করলে চিত্তরঞ্জন তাকে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ কাউন্সিলরের কার্যালয়ে যান। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস ওই নারীকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। পরে চিত্তরঞ্জন ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন এবং তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।