স্টাফ রিপোর্টার
তালার খলিলনগর ইউনিয়নের গোনালী গ্রামের দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীর বাল্যবিবাহের সকল আয়োজন পন্ড করে দিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন।
শুক্রবার(২১ শে অক্টোবার) তালা খলিলনগর ইউনিয়নের গোনালী গ্রামের কালাম জোয়াদ্দারের মেয়ে ও তালা পাবলিক হাইস্কুলে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী(১৫) এর সহিত কপিলমুনি ইউনিয়নের আগড়ঘাটা গ্রামের সেলিম হোসেনের পুত্র রকি হোসেন (১৯)এর সংঙ্গে বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হয়। এমনকি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শেখ জিল্লুর রহমান সহ এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। তাদের উপস্থিতে বর ও কনে পক্ষের অভিভাবকরা বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। আয়োজন করা হয় খাওয়া দাওয়ার তৈরী করা হয় বিবাহের জন্য প্যান্ডেল সহ অতিথিদের আপ্যায়নের প্যান্ডেল। এমতবস্থায় পূর্বের খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে হাজির হন ভিজিডি কর্মসুচীর প্রশিক্ষক ও কিশোর কিশোরী ক্লাবের শিক্ষার্থীরা। উপস্থিত হন পুলিশ প্রশাসনের একটি চৌকস টিম। শুরু হয় তোড়জোড় পলায়ন করেন বরসহ তার সকল অভিভাবকরা, পন্ড করা হয় বিবাহের আয়োজন। পরে উক্ত বাল্যবিবাহের উপর প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা জারি করাসহ অভিভাবকদের সর্তক করে আসেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার।
কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা ইউপি চেয়ারম্যান সহ কনে পক্ষে অভিভাবকরা দাবি করছেন কোন বিবাহের আয়োজন হচ্ছেনা, চলছে বর ও কনে দেখাদেখি। তবে সরেজমিনের তথ্য বলছে রীতিমত ঘটা করে বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার আক্ষেপ করে বলেন, চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকরা গিয়ে যখন বিবাহের আয়োজনের তদারকি করেন তখন আর কিছু বলার থাকে না। তাদের দাবি বিবাহ হচ্ছেনা হচ্ছে কনে ও বর দেখাদেখি। কিন্তু ঘটনস্থালে চিত্র তা বলে না। আমরা প্রাথমিক ভাবে অভিভাবকদের সর্তক করা সহ নিষেধাজ্ঞা জারি করে এসেছি। অফিস খুললে নোটিশ প্রদান করা হবে।