শ্যামনগর, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা শ্যামনগরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তুচ্ছ ঘটনা সুপারি পাড়াকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসার ভীতরে অনুপ্রবেশ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র লুটপাট করে নিয়ে যায় ও হামলা ৬জন গুরুতর আহত। সাথে সাথে মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপর হুমকি প্রদান করে মাদক ব্যবসায়ী ও সুদখোর নামে পরিচিত শফিকুল ইসলাম দুলুসহ তাঁর দলবল। দুলু বাহিনা বলেন মাদ্রাসা ছেড়ে চলে যাবি না হলে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে মারবো তোদের কিশের প্রশাসন টাকা দিলে পুলিশ প্রশাসন চুপ তোদের এখান থেকে তাড়াতে আমার বেশি সময় লাগবে না। দুলু আরোও বলেন আমি কি বিক্রয় করবো কি খাবো তোদের কৈফিয়ত দিতে হবে কেন এটা আমার এলাকা দুলু বাহিনী র অত্যাচারে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সব সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যে
প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আহত করেছে তাঁর নাম: আমেনা-আব্দুর রহিম এতিমখানা ও তাহফিজুল কুরআন হাফিজিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসা।
শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর হাফসি খানার পাশে।
ঘটনার বিবরণীতে এলাকাবাসি জানান। শ্যামনগর থানার অন্তর্গত বংশীপুর গ্রামের মো: শফিকুল ইসলাম দুলু ওরফে সুদখোর দুলু এর নেতৃত্বে; মজিবর গাজী, বেলাল গাজী, হামিদ গাজী, অনিক গাজী, সনি, রিজভী আহমেদ, ইয়াসির আরাফাত রোহানসহ ১৫-২০জন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা দ্যা রামদা, লাঠিসোটা এবং দেশীয় অস্ত্রসহ ৭-১০-২০২২ তারিখ রোজ শুক্রবার সময় আনুমানিক সকাল ৮:৩০ থেকে ৯:০০ টায় মাদ্রাসাটিতে অনুপ্রবেশ করে হামলা চালায়। মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ কারী আনিসুর রহমান গাজী, শিক্ষকের স্ত্রী আমিরাতুন্নেছা, কন্যা মোসা: সাওদা, জামাতা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মাদ্রাসার ছাত্র হাফেজ সাদিকুর রহমান, মেহেদী হাসান সোহাগসহ অনেকের উপরে হামলা হামলা ও ভাঙচুর করে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীরা বাধা দিতে চাইলে তাদের উপরে অমানুষিক নির্যাতন করে এবং জীবন নাসের হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী পরিবার এবং ছাত্ররা বর্তমানে শ্যামনগর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। পাশাপাশি মোঃ শফিকুল ইসলাম দুলুর হুমকির ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
উল্লেখ্য যাকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি সংঘটিত হয় সেই অনিক গাজী একজন চিহ্নিত মাদক সেবী ও ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। মাদকাসক্তরা তাদের রুট হিসাবে মাদ্রাসার পাশে সেফজন হিসাবে ব্যবহার করে, সেটা বলা ও বাধা দেওয়ায় কাল হয় শিক্ষক শিক্ষার্থী ও পরিবারের। এমন অবস্থা চলতে থাকলে মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যাবে তাই এলাকাবাসী প্রশাসন ও জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সাথে সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জোরদাবি জানিয়েছেন।