আবুল কালাম বিন আকবারঃ

সাতক্ষীরার নলতায় কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের আয়োজনে ও খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ্ ইনস্টিটিউটের বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (০৮ অক্টোবর) সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের কনফারেন্স রুমে মোঃ মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হক (এম.পি)।

প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য প্রদান করেন- মোঃ এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশন, ডাঃ মোঃ খলিউল্লাহ, এ.এফ.এম এনামুল হক, মহা-পরিচালক খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ্ ইনস্টিটিউট সহ আরো অনেকে।

প্রস্তুতি সভার বিষয় বস্তু – তৎকালীন অবিভক্ত বাংলা ও আসামের শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ্ (র) এর নিজ হাতে লেখা প্রায় ১৫০ অধিক পুস্তক, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য -টিচার্স ম্যানুয়াল, আমার জীবন ধারা, বঙ্গভাষা ও মুসলমান সাহিত্য, History of the Muslim World সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বই সমূহের জ্ঞান ও শিক্ষা প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌঁছানো এবং তদানুসারে জীবন পরিচলনা করার লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে পদক্ষেপ গ্রহণ।

উপস্থিত সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা মতবিনিময় কালে বলেন- খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ্ (র) এর লেখা পুস্তক সংগ্রহ, প্রতিষ্ঠানে ভবনের নাম করণ, সাপ্তাহিক পুস্তক পাঠ ও রচনা প্রতিযোগীতার মাধ্যমে তার শিক্ষা ও সাহিত্য জ্ঞান সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌঁছানো সম্ভব।

সবশেষে খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ্ (র) এর লেখা “চট্টগ্রাম জীবন” নামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

প্রস্তুতি সভা সমাপ্তকালে সভাপতির বক্তব্যে উঠে আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ্ (র) এর অবিস্মরণীয় অবদানের কথা। তিনি বলেন বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে যে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা অসাম্য, সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে অগ্রনী ভূমিকা রয়েছে এই মহা সাধকের। একই সাথে এই মনীষীর লেখা বই পরবর্তীতে শিক্ষা কার্যক্রম ও কি ধরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা করেন।

সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ্ (র) এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে প্রস্তুতি সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।