পরকীয়া সন্দেহে ও পারিবারিক কলহের জের ঘরে স্ত্রী কৃষ্ণা বিশ্বাসকে (২২) শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার প্রচার দিয়ে সন্তানকে নিয়ে পালিয়েছে স্বামী তাপস বিশ্বাস। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামে ।
নিহত কৃষ্ণা বিশ্বাস দেবহাটা উপজেলার হাদিপুর গ্রামের কালিপদ বিশ্বাসের মেয়ে ও কালিগঞ্জ উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের তাপস বিশ্বাসের স্ত্রী।
নিহত কৃষ্ণা বিশ্বাসের মা কৌশল্যা রানী বিশ্বাস জানান, দু’ বছর আগে তাপসের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর ছয় মাস আগে তাপস বাড়ি এসে মুকুন্দপুর গড়ের হাটখোলায় একটি চায়ের দোকন পরিচালনা করে আসছিল। মা ছাড়া কোন অভিভাবক না থাকায় পরকীয়া সন্দেহে তাপস বিভিন্ন সময়ে কৃষ্ণাকে মারপিট করতো। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নির্যাতনের একপর্যায়ে কৃষ্সা তার মামা মানিক বিশ্বাসকে ফোন করে জানায়। সকাল ১০টার দিকে মারপিটের একপর্যায়ে কৃষ্ণাকে গলা টিপে হত্যার পর মৃতের গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার প্রচার দেয়। বেগতিক বুঝে সে বাড়ির দরজায় তালা ঝুলিয়ে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রহিম জানান, খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানায় প্রাথমিক পর্যায়ে ইউ ডি মামলা হয়েছে। এদিকে কালিগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নে দেয়া গ্রামে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ফারিয়া (১২ )বৃহস্পতিবার বিকাল চারটায় কুড়ি মিনিটের দিকে গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তবে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ফারিয়া গলায় সুপুরি আটকে সে মারা গিয়েছে জানা গেছে কালিগঞ্জ উপজেলার দেয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের কন্যা দেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী মারা যাওয়ার খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে শুক্রবার সকালে ময়নাতন্ত্রের জন্য লাশ সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করেছে এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানা একটি সাধারণ ডায়েরী হয়েছে।