ঢাকা ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কালিগঞ্জে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচপিভি টীকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ডা: বুলবুল কবীর কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই

সান্তাহারে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে স্ত্রীর মৃত্যু ; নিরুদ্দেশ হওয়া স্বামী গ্রেপ্তার

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০২:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১১৯ জন পড়েছেন ।

মিরু হাসান বাপ্পী:

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে ভয়াবহ স্ত্রী আগুনে পুড়ে মারা যায় স্ত্রী এরপর থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া সেই স্বামী আজাদুল ইসলামকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আজাদুল উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডা বশিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নওগাঁ সদর উপজেলার কলি মঙ্গলপুরগ্রামে মেয়ের বাড়ি থেকে আজাদুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জানাগেছে, গত ২৭ জুলাই রাতে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের বশিপুর গ্রামের বাড়িতে একটি ঘরে স্ত্রী শামিমাকে নিয়ে আজাদুল ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডে বাড়ির দুইটি ঘর ভস্মীভূত হয়। পরদিন সকালে আদমদীঘি থানা পুলিশ আগুনে পোড়া ঘর থেকে স্ত্রী শামিমার পোড়া মরদেহের অংশ বিশেষ উদ্ধার করে। এসময় আজাদুলের মরদেহ পাওয়া যায়নি। আজাদুলের ছেলে রাকিব শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই থাকায় ওই বাড়িতে তার বাবা- মা ছাড়া অন্য কেউ থাকতো না।

মায়ের মরদেহ উদ্ধারের পর আজাদুলের ছেলে পুলিশকে জানায়, ২৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে তার মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়। সে সময় তার বাবা ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই অনুযায়ী তার ছেলে রাকিব এবং আজাদুলের ভাই রশিদুলের দাবি ছিল আজাদুলও তার স্ত্রী শামিমার সঙ্গে আগুনে পুড়ে মারা যায়। কিন্তু আজাদুলের মরদেহের কোন অস্তিত্ব না পাওয়ায় পুলিশের সন্দেহ হয়।

এঘটনায় নিহত শামিমার বড় ভাই আজিজার রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করেও আজাদুলের কোন অবস্থান নির্ধারণ করতে পারছিলেন না। এক পর্যায় বিভিন্নভাবে সোর্স নিয়োগ করে পুলিশ। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সান্তাহার পার্শ্ববর্তী নওগাঁ সদর উপজেলার কলি মঙ্গলপুরগ্রামে মেয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করেন আজাদুল ইসলাম। খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা বলেন, ঘটনার পর থেকেই আজাদুলের ভাই রশিদুল দাবি করে আসছিল তার ভাই আগুনে পুড়ে মারা গেছে। তিনি বারবার ভাইয়ের মরদেহ পুলিশের কাছে দাবি করে আসছিল।

তিনি আরও বলেন, ধারনা করা হচ্ছে আজাদুল ঘর থেকে বের হয়ে বাড়িতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। তার দেওয়া আগুনে পুড়ে স্ত্রী শামিমা বেগম মারা যান। আজাদুলকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

সান্তাহারে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে স্ত্রীর মৃত্যু ; নিরুদ্দেশ হওয়া স্বামী গ্রেপ্তার

পোস্ট করা হয়েছে : ০২:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

মিরু হাসান বাপ্পী:

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে ভয়াবহ স্ত্রী আগুনে পুড়ে মারা যায় স্ত্রী এরপর থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া সেই স্বামী আজাদুল ইসলামকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আজাদুল উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডা বশিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নওগাঁ সদর উপজেলার কলি মঙ্গলপুরগ্রামে মেয়ের বাড়ি থেকে আজাদুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জানাগেছে, গত ২৭ জুলাই রাতে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের বশিপুর গ্রামের বাড়িতে একটি ঘরে স্ত্রী শামিমাকে নিয়ে আজাদুল ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডে বাড়ির দুইটি ঘর ভস্মীভূত হয়। পরদিন সকালে আদমদীঘি থানা পুলিশ আগুনে পোড়া ঘর থেকে স্ত্রী শামিমার পোড়া মরদেহের অংশ বিশেষ উদ্ধার করে। এসময় আজাদুলের মরদেহ পাওয়া যায়নি। আজাদুলের ছেলে রাকিব শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই থাকায় ওই বাড়িতে তার বাবা- মা ছাড়া অন্য কেউ থাকতো না।

মায়ের মরদেহ উদ্ধারের পর আজাদুলের ছেলে পুলিশকে জানায়, ২৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে তার মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়। সে সময় তার বাবা ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই অনুযায়ী তার ছেলে রাকিব এবং আজাদুলের ভাই রশিদুলের দাবি ছিল আজাদুলও তার স্ত্রী শামিমার সঙ্গে আগুনে পুড়ে মারা যায়। কিন্তু আজাদুলের মরদেহের কোন অস্তিত্ব না পাওয়ায় পুলিশের সন্দেহ হয়।

এঘটনায় নিহত শামিমার বড় ভাই আজিজার রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করেও আজাদুলের কোন অবস্থান নির্ধারণ করতে পারছিলেন না। এক পর্যায় বিভিন্নভাবে সোর্স নিয়োগ করে পুলিশ। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সান্তাহার পার্শ্ববর্তী নওগাঁ সদর উপজেলার কলি মঙ্গলপুরগ্রামে মেয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করেন আজাদুল ইসলাম। খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা বলেন, ঘটনার পর থেকেই আজাদুলের ভাই রশিদুল দাবি করে আসছিল তার ভাই আগুনে পুড়ে মারা গেছে। তিনি বারবার ভাইয়ের মরদেহ পুলিশের কাছে দাবি করে আসছিল।

তিনি আরও বলেন, ধারনা করা হচ্ছে আজাদুল ঘর থেকে বের হয়ে বাড়িতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। তার দেওয়া আগুনে পুড়ে স্ত্রী শামিমা বেগম মারা যান। আজাদুলকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।