আব্দুর রহিম, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা):
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম ২ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪ টায় কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলায় অফসিজনে তরমুজ চাষে এলাকা পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের সহযোগিতার মাধ্যমে লবণসহিষ্ণু বেড়িবাঁধের উপরে জমিতে অফসিজন তরমুজ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে কৃষকরা। যে জমিতে সবজি চাষ করে বছরে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বিক্রয় করতো সেই জমিতে এখন তরমুজ চাষ করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করছে কৃষকরা। এই এলাকার কৃষকরা এখন তরমুজ চাষে বেশি লাভ হওয়ায় বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। এলাকার কৃষকেরা মাছ চাষের পাশাপাশি বেড়িবাঁধের উপরে বিভিন্ন প্রকার সবজি ও তরমুজ চাষ করেছে।পরিদর্শনকালে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত সচিব ও নির্বাহী পরিচালক সাবিনা পারভীন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ফজলুল হক মনি,সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির,কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম , উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ওয়াসিম উদ্দিন সহ সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ ও অন্যান্য কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা,সাংবাদিক কৃষাণ কিসানী উপস্থিত ছিলেন। পরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম এস এ সি পি প্রকল্প (বারি অঙ্গ )এর আওতাধীন উপকার ভোগী চাষীদের সাথে মতবিনিময় করেন ও ফলের চারা বিতরণ করেন। কৃষকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুস সামাদ মোড়ল, মোহাম্মদ জাকির হোসেন পাড়, আব্দুস সবুর বিশ্বাস, জহুর আলী সরদার, রাশেদ বিশ্বাস, ফরিদ গাজী, মোহাম্মদ আলী গাজী প্রমুখ। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার সবজি ও তরমুজ চাষ দেখে অভিভুত হন।