ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত 

কালীগঞ্জে নিজ স্ত্রীকে মারপিট, নগ্ন ভিডিও ধারণ অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৩:৪৬:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ২১৬ জন পড়েছেন ।

নিজস্ব প্রতিনিধি
কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা।

প্রবাসী শশুর সহ পাওনাদারদের টাকা না দেওয়ার ফাঁদে ফেলে নিজ স্ত্রীকে পরকীয়ার অপবাদে বেধড়ক পিটিয়ে জোরপূর্বক নগ্ন ভিডিও ধারণ করে। এই সময় সাদা কাগজে সই নিয়ে আহত অবস্থায় স্বামী শশুর বাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এই অপমান সইতে না পেরে এক সন্তানের জননী শারমিন সুলতানা নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বেলা ২টার সময় সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামে। নিহত গৃহবধূ শারমিন সুলতানা( ২৭) জাফরপুর গ্রামের শেখ সাহেব আলীর কন্যা এবং আশাশুনি থানার হাজিপুর গ্রামের মফপুর রহমানের পুত্র শাহী হাসান রনির স্ত্রী।
খবর পেয়ে থানার উপ পরিদর্শক বুলবুল হোসেন নিহত গৃহ বধুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মারগে প্রেরণ করে। উক্ত ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হলেও অন্যদিকে নিহত গৃহবধু শারমিন সুলতানের পিতা বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুর, দেবর সহ কথিত বানানো পরকীয়া প্রেমিক নামধারী ব্যক্তি সহ ৬জনকে আসামি করে থানায় গত মঙ্গলবার একটি পৃথক এজাহার দায়ের করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার বাদ মাগরিব জাফরপুর গ্রামে তার পিতা শেখ সাহেব আলী পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
থানার এজাহার এবং নিহত গৃহ বধুর পিতা শেখ সাহেব আলী, স্ত্রীলিপি খাতুন, চাচা জালাল শেখ, খলিল, খোকন গাজী সহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান জাফরপুর গ্রামের মৃত শেখ শাহাজানের পুত্র শেখ সাহেব আলী ও তার স্ত্রী লিপি খাতুন মালদ্বীপে কাজ করতে যায়। সেখানে থাকা অবস্থায় তার ভাই জালাল উদ্দিন তাদের কন্যা শারমিন সুলতানা কে গত ১০/১১বছর আগে আশাশুনি থানার হাজীপুর গ্রামের মুখফুর রহমানের পুত্র দিনমজুর শাহী হাসান রনির সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর হতে তাদের ঘরে তাজমিরা খাতুন নামে ৮ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। বিয়ের পরে জামাইয়ের অবস্থা খারাপ ভেবে শ্বশুর সাহেব আলী বাড়ি করার জন্য দেড় লক্ষ টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে নিজের কিডনির সমস্যা বলে চিকিৎসার নামে আরো আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে শশুর সাহেব আলী নিজ খরচে জামাইকে মালদ্বীপে নিয়ে যায়।
সেখানে কয়েক বছর ভালোভাবে কাটিয়ে গত কয়েক মাস আগে ছুটিতে বাড়ি আসে বাড়িতে এসে ধার দেনার টাকা পরিশোধের নামে শ্বশুরবাড়িতে এসে জোর পূর্বক সন্ত্রাসী স্টাইলে ২ টি গরু তুলে নিয়ে দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি করে হাতিয়ে নেয়। এরপরে পরকীয়ায় জড়িয়ে নিজ স্ত্রীর সন্তানের উপর পরিবারের সদস্যরা মিলে নির্যাতন চালাতে থাকে। শাহী হাসান রনি জাফরপুরের শ্বশুরবাড়ি আসা যাওয়ার সুযোগে পার্শ্ববর্তী বিশ্বনাথপুর গ্রামের সিদ্দিক কারিগরের পুত্র আনিসুল ইসলামের সঙ্গে বন্ধুত্বের সূত্র ধরে ৪০ হাজার টাকা ধার নেয় রনি। এরমধ্যে শাহী হাসান রনি বাড়িতে আসার খবর জানতে পেরে আনিসুল ইসলাম প্রতিনিয়ত টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় তাগাদা দিয়ে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী শারমিন সুলতানা কে গত সোমবার (২৯ আগস্ট) চিকিৎসার কথা বলে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পশ্চিম পাশে পশ্চিম পলাশ পোল বিলে অবস্থিত শাহী হাসান রনির চাচার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে পাওনাদার বন্ধু আনিসুল ইসলামকে টাকা দেওয়ার নাম করে ফোন করে ডেকে নেয় এবং বলে আগামী বৃহস্পতিবার সে মালদ্বীপে চলে যাবে। রনির কথায় সরল বিশ্বাসে আনিসুল গত মঙ্গলবার সাতক্ষীরা চলে যায়। সেখানে যাওয়ার সাথে সাথে একটি ঘরে বসতে দিয়ে স্ত্রী শারমিন সুলতানা কে পাশে বসিয়ে বেধড়ক পিটাতে শুরু করে। ওই সময় শাহী হাসান রনি এর ভাই রায়হান সহ তার ভাটিয়া বাহিনী নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক এবং অসামাজিক কার্যকলাপের ভুয়া অভিযোগ তুলে বেধড়ক পিটাতে থাকে। ওই সময় তাদেরকে নগ্ন করে একসঙ্গে বসিয়ে ছবি তোলা সহ ভিডিও ধারণ করতে থাকে এবং উল্টো আনিসুলকে আটকে রেখে ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। আনিসুল অবস্থা বেগতিক দেখে বাড়িতে ফোন করলে বাড়ি হতে লোক গিয়ে ১৬ হাজার টাকায় ইজ্জত বাঁচাতে দফারফা করে ছাড়িয়ে আনলেও তার ফোনটি ফেরত দেয়নি। এরপর পথের কাঁটা দূর করার জন্য শ্বশুর সাহেব আলীকে খবর দেয়। শশুর সাহেব আলী সেখানে পৌঁছানো মাত্রই বেধড়ক পিটিয়ে সাদা কাগজে সই নিয়ে আহত অবস্থায় নিজের ৮ বছরের কন্যাকে আটকে রেখে শ্বশুর এবং স্ত্রীকে তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে বাহির করে দেয়। ওই অবস্থায় বাড়িতে ফিরে নিজের এবং বাবার অপমান সইতে না পেরে মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক ২টার সময় বাড়ির পাশে আম গাছে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। জানতে পেরে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে কালিগঞ্জ হাসপাতাল পরে সাতক্ষীরা ফয়সাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে পাটকেলঘাটা নামক স্থানে তার মৃত্যু হয়। এদিকে টাকা এবং সন্তান হারিয়ে বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী পিতা সাহেব আলী আমার সংবাদ প্রতিবেদককে বলেন আমি এখনও পোস্ট মাটম রির্পোট হাতে পাই নাই পেলে কালিগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করবো। আমার কন্যার প্রতি যে অমানবিক নির্যাতন হয়েছে তাকে হত্যার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে তদন্ত সাপেক্ষে সেটা যেন সুষ্ট বিচার হয়।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ

কালীগঞ্জে নিজ স্ত্রীকে মারপিট, নগ্ন ভিডিও ধারণ অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা

পোস্ট করা হয়েছে : ০৩:৪৬:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিনিধি
কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা।

প্রবাসী শশুর সহ পাওনাদারদের টাকা না দেওয়ার ফাঁদে ফেলে নিজ স্ত্রীকে পরকীয়ার অপবাদে বেধড়ক পিটিয়ে জোরপূর্বক নগ্ন ভিডিও ধারণ করে। এই সময় সাদা কাগজে সই নিয়ে আহত অবস্থায় স্বামী শশুর বাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এই অপমান সইতে না পেরে এক সন্তানের জননী শারমিন সুলতানা নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বেলা ২টার সময় সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামে। নিহত গৃহবধূ শারমিন সুলতানা( ২৭) জাফরপুর গ্রামের শেখ সাহেব আলীর কন্যা এবং আশাশুনি থানার হাজিপুর গ্রামের মফপুর রহমানের পুত্র শাহী হাসান রনির স্ত্রী।
খবর পেয়ে থানার উপ পরিদর্শক বুলবুল হোসেন নিহত গৃহ বধুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মারগে প্রেরণ করে। উক্ত ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হলেও অন্যদিকে নিহত গৃহবধু শারমিন সুলতানের পিতা বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুর, দেবর সহ কথিত বানানো পরকীয়া প্রেমিক নামধারী ব্যক্তি সহ ৬জনকে আসামি করে থানায় গত মঙ্গলবার একটি পৃথক এজাহার দায়ের করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার বাদ মাগরিব জাফরপুর গ্রামে তার পিতা শেখ সাহেব আলী পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
থানার এজাহার এবং নিহত গৃহ বধুর পিতা শেখ সাহেব আলী, স্ত্রীলিপি খাতুন, চাচা জালাল শেখ, খলিল, খোকন গাজী সহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান জাফরপুর গ্রামের মৃত শেখ শাহাজানের পুত্র শেখ সাহেব আলী ও তার স্ত্রী লিপি খাতুন মালদ্বীপে কাজ করতে যায়। সেখানে থাকা অবস্থায় তার ভাই জালাল উদ্দিন তাদের কন্যা শারমিন সুলতানা কে গত ১০/১১বছর আগে আশাশুনি থানার হাজীপুর গ্রামের মুখফুর রহমানের পুত্র দিনমজুর শাহী হাসান রনির সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর হতে তাদের ঘরে তাজমিরা খাতুন নামে ৮ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। বিয়ের পরে জামাইয়ের অবস্থা খারাপ ভেবে শ্বশুর সাহেব আলী বাড়ি করার জন্য দেড় লক্ষ টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে নিজের কিডনির সমস্যা বলে চিকিৎসার নামে আরো আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে শশুর সাহেব আলী নিজ খরচে জামাইকে মালদ্বীপে নিয়ে যায়।
সেখানে কয়েক বছর ভালোভাবে কাটিয়ে গত কয়েক মাস আগে ছুটিতে বাড়ি আসে বাড়িতে এসে ধার দেনার টাকা পরিশোধের নামে শ্বশুরবাড়িতে এসে জোর পূর্বক সন্ত্রাসী স্টাইলে ২ টি গরু তুলে নিয়ে দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি করে হাতিয়ে নেয়। এরপরে পরকীয়ায় জড়িয়ে নিজ স্ত্রীর সন্তানের উপর পরিবারের সদস্যরা মিলে নির্যাতন চালাতে থাকে। শাহী হাসান রনি জাফরপুরের শ্বশুরবাড়ি আসা যাওয়ার সুযোগে পার্শ্ববর্তী বিশ্বনাথপুর গ্রামের সিদ্দিক কারিগরের পুত্র আনিসুল ইসলামের সঙ্গে বন্ধুত্বের সূত্র ধরে ৪০ হাজার টাকা ধার নেয় রনি। এরমধ্যে শাহী হাসান রনি বাড়িতে আসার খবর জানতে পেরে আনিসুল ইসলাম প্রতিনিয়ত টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় তাগাদা দিয়ে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী শারমিন সুলতানা কে গত সোমবার (২৯ আগস্ট) চিকিৎসার কথা বলে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পশ্চিম পাশে পশ্চিম পলাশ পোল বিলে অবস্থিত শাহী হাসান রনির চাচার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে পাওনাদার বন্ধু আনিসুল ইসলামকে টাকা দেওয়ার নাম করে ফোন করে ডেকে নেয় এবং বলে আগামী বৃহস্পতিবার সে মালদ্বীপে চলে যাবে। রনির কথায় সরল বিশ্বাসে আনিসুল গত মঙ্গলবার সাতক্ষীরা চলে যায়। সেখানে যাওয়ার সাথে সাথে একটি ঘরে বসতে দিয়ে স্ত্রী শারমিন সুলতানা কে পাশে বসিয়ে বেধড়ক পিটাতে শুরু করে। ওই সময় শাহী হাসান রনি এর ভাই রায়হান সহ তার ভাটিয়া বাহিনী নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক এবং অসামাজিক কার্যকলাপের ভুয়া অভিযোগ তুলে বেধড়ক পিটাতে থাকে। ওই সময় তাদেরকে নগ্ন করে একসঙ্গে বসিয়ে ছবি তোলা সহ ভিডিও ধারণ করতে থাকে এবং উল্টো আনিসুলকে আটকে রেখে ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। আনিসুল অবস্থা বেগতিক দেখে বাড়িতে ফোন করলে বাড়ি হতে লোক গিয়ে ১৬ হাজার টাকায় ইজ্জত বাঁচাতে দফারফা করে ছাড়িয়ে আনলেও তার ফোনটি ফেরত দেয়নি। এরপর পথের কাঁটা দূর করার জন্য শ্বশুর সাহেব আলীকে খবর দেয়। শশুর সাহেব আলী সেখানে পৌঁছানো মাত্রই বেধড়ক পিটিয়ে সাদা কাগজে সই নিয়ে আহত অবস্থায় নিজের ৮ বছরের কন্যাকে আটকে রেখে শ্বশুর এবং স্ত্রীকে তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে বাহির করে দেয়। ওই অবস্থায় বাড়িতে ফিরে নিজের এবং বাবার অপমান সইতে না পেরে মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক ২টার সময় বাড়ির পাশে আম গাছে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। জানতে পেরে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে কালিগঞ্জ হাসপাতাল পরে সাতক্ষীরা ফয়সাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে পাটকেলঘাটা নামক স্থানে তার মৃত্যু হয়। এদিকে টাকা এবং সন্তান হারিয়ে বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী পিতা সাহেব আলী আমার সংবাদ প্রতিবেদককে বলেন আমি এখনও পোস্ট মাটম রির্পোট হাতে পাই নাই পেলে কালিগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করবো। আমার কন্যার প্রতি যে অমানবিক নির্যাতন হয়েছে তাকে হত্যার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে তদন্ত সাপেক্ষে সেটা যেন সুষ্ট বিচার হয়।