হাফিজুর রহমান শিমুলঃ
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ -২০২২ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার
(১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় জেলার শ্রেষ্ঠদের নিয়ে পুরস্কার বিতরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো: আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে পুরস্কার ও ক্রেস্ট গ্রহণ করলেন কালিগঞ্জ উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক, বড়শিমলা কারবালা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গাজী মিজানূর রহমান। তিনি ২০১৭ সালে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে অতি অল্প সময়ের মধ্যে দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। তিনি যখন যোগদান করেছিলেন তখন বিদ্যালয়ের অবস্থা ছিল জরাজীর্ণ । তিনি যোগদান করার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং সাতক্ষীরা -৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক সফল স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক স্যারের মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়ন (৪ তলা ভবন নির্মাণাধীন), শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি বিদ্যালয়ে উপজেলার মধ্যে সর্ব প্রথম শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল হাজিরা চালু করেছিলেন। ইতিপূর্বে তিনি উকশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগ্যতা ও দক্ষতার সহিত সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০১৬ সালে উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষক কর্মচারী কল্যান সমিতির কোষাধ্যক্ষ। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব দেন এবং বর্তমানে দৈনিক সাতঘরিয়া পত্রিকার কালিগঞ্জ উপজেলা ব্যুরো প্রধান। তিনি ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ভাবে নিউজিল্যান্ডে বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। গাজী মিজানুর রহমান ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের রত্নেশ্বরপুর গ্রামের মৃত জি এম নূর আলী ও মৃত ছায়রা খানমের নবমতম সন্তান। তাঁহার বড় ভাই গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জি এম ফজর আলী ২০০২ সালে সিইনএড প্রশিক্ষণে সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম হয়েছিলেন।
তাঁর স্ত্রী নূর-এ- হাওয়া উকশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তাঁহার এক মেয়ে ও এক ছেলে।তিনি বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিকে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়তে চান।