ঢাকা ১০:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কালিগঞ্জে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচপিভি টীকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ডা: বুলবুল কবীর কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই

দেবহাটায় একাধীক পরিবারের সাথে প্রতারণার ও হয়রানি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৫:৫৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২
  • ১০৮ জন পড়েছেন ।

দেবহাট প্রতিনিধি:

দেবহাটায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধীক হিন্দু পরিবারের সদস্যদের সাথে প্রতারনা ও হয়রানি অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে শালিশ বিচার, থানা পুলিশ করে হয়রানি এবং মামলায় ভিটে ছাড়া করার উপক্রম করে চলেছেন বলেও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে। এসব পরিবারের সদস্যদের নামে মামলা ও অভিযোগ করে সামাজিক ভাবে হেও করার অভিযোগ উপজেলার মাঘরী গ্রামের মৃত শচিন্দ্র নাথ ঘোষের ছেলে অশোক ঘোষ (৫৭) এর বিরুদ্ধে। আর এসব হয়রানি থেকে মুক্তিপেতে ভ‚ক্তভোগীদের পক্ষে মাঘরীচক গ্রামের মৃত সুনিল ঘোষের ছেলে প্রশান্ত কুমার ঘোষ বাদি হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইজিপি সহ একাধীক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, অশোক ঘোষ তার স্ত্রী অর্চনা ঘোষ বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের নাগরিক। দুদেশের বাড়ি নির্মান করে উভয় দেশের ভোটাধিকার সহ নানা সুবিধা ভোগ করে আসছেন পরিবারটি। সুকৌশলে তথ্য গোপন করে দুদেশের নাগরিক হয়ে দেশের আভ্যন্তরিন শান্তি বিনষ্ট ও অর্থ পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে লিখিত অভিযোগে। তাদের দুদেশের যেকোন একটির নাগরিকত্ব বাতিলেও দাবি করা হয়েছে ঐ অভিযোগে।
ভ‚ক্তভোগী প্রশান্ত ঘোষ জানান, জমিজমা নিয়ে অশোক ঘোষ আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্য নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করে আসছে। এছাড়া সে আমাদের বসতভিটা জাল কাগজ করে তার দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমার কাকাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক নিজের নামে লিখে নিয়ে একে একে বিক্রিয় করে হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে টাকা পাচার করছে আশোক। সে বাংলাদেশ থেকে ৮ একর ৬৮ শতক জমির মধ্যে প্রায় ৪ একর ৭০শতক জমি বিক্রি করে সমুদয় টাকা ভারতে পাঠিয়েছে। তাছাড়া আমার প্রাপ্প জমি বুঝিয়ে না দেওয়ায় বিজ্ঞ আদালতের সহযোগীতা চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেছি। বর্তমানে ৭৫/১৭ নং মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। এই অশোক সখিপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ১৮৩০ নং দলিলে ১০/০৯/১৯৮৯ তারিখে দলিল জাল করার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় ১৯৯৪ সালে ৬ মাস কারাবাস ভোগ করে। তৎকালিন সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক সেতারা বেগম আঙ্গুলাঙ্ক বিষয়কের রিপোর্ট অনুযায়ী উক্ত দলিলে প্রদান করা টিপসই দাতা ও গ্রহীতা অশোক নিজেই ছিলেন। সেই পন্থায় তিনি আমাদের শরীকদের জমি নিজের নামে নিয়ে নিয়েছে। এমনকি আমাকে এবং গ্রামের কয়েকজনকে ভিটা ছাড়া করার উপক্রম করেছে অশোক ঘোষ। বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশী দুদেশী নাগরিক অশোক তার ছেলে প্রদীপ কুমার ও চিরঞ্জিত কুমারকে ভারত থেকে বাংলাদেশে এনে আমাকে সহ বিভিন্ন মানুষকে হুমকি দিচ্ছে। আদালতে চলমান ৬ বছর মামলাধীন পারিবারিক একটি পুকুরে দুই ছেলেকে দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রতারনার শিকার অপর এক ভ‚ক্তভোগী মাঘরীচক গ্রামের মনোরঞ্জন ঘোষ জানান, আমাদের নিজ নামীয় মাঘরীচক মৌজায় ১০৪ দাগে ৪২ শতক জমি অশোক নিজের নামে হাল রেকার্ড করে নেয়। এমনকি আমাদের জমি মিথ্যা দখল দেখিয়ে উল্টো আমাদের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। বর্তমান মামলা উচ্চ আদালতে চলমান রয়েছে। আমরা তার অত্যাচারে অতিষ্ট।
প্রতারনার শিকার সম্ভুনাথ ঘোষ জানান, আমার নিজ নামে কেনা ১০ শতক জমি থেকে ২ শতক জমি আশোক চালাকি করে তার নামে করে নেয়। সেসময় অশোক সেটেলমেন্ট অফিসের মুহুরি হিসাবে কাজ করায় বিভিন্ন লোকের জমি নিজের নামে করে নেন। আমার জমি ফিরিয়ে দেবে বলে একাধীক স্বাক্ষীদের সামনে অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা গ্রহন করে। কিন্তু টাকা জমি ফেরত না দেওয়ায় তৎকালিন সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন ময়না শালিশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। পরবর্তীতে জমি টাকা কোনটাই ফেরত না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে। পরবর্তীতে অন্যলোকের কাছে ওই জমি বিক্রি করে দেয়। আমি এই কুচক্রি অশোকের বিচার চাই।
অভিযুক্ত অশোক ঘোষের মোবাইল ফোনে একাধীক বার কল করেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলে আসছে। বিভিন্ন সময় বসাবসি করা হয়েছে বলে জানি।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজির অভিযোগে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

দেবহাটায় একাধীক পরিবারের সাথে প্রতারণার ও হয়রানি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের

পোস্ট করা হয়েছে : ০৫:৫৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২

দেবহাট প্রতিনিধি:

দেবহাটায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধীক হিন্দু পরিবারের সদস্যদের সাথে প্রতারনা ও হয়রানি অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে শালিশ বিচার, থানা পুলিশ করে হয়রানি এবং মামলায় ভিটে ছাড়া করার উপক্রম করে চলেছেন বলেও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে। এসব পরিবারের সদস্যদের নামে মামলা ও অভিযোগ করে সামাজিক ভাবে হেও করার অভিযোগ উপজেলার মাঘরী গ্রামের মৃত শচিন্দ্র নাথ ঘোষের ছেলে অশোক ঘোষ (৫৭) এর বিরুদ্ধে। আর এসব হয়রানি থেকে মুক্তিপেতে ভ‚ক্তভোগীদের পক্ষে মাঘরীচক গ্রামের মৃত সুনিল ঘোষের ছেলে প্রশান্ত কুমার ঘোষ বাদি হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইজিপি সহ একাধীক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, অশোক ঘোষ তার স্ত্রী অর্চনা ঘোষ বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের নাগরিক। দুদেশের বাড়ি নির্মান করে উভয় দেশের ভোটাধিকার সহ নানা সুবিধা ভোগ করে আসছেন পরিবারটি। সুকৌশলে তথ্য গোপন করে দুদেশের নাগরিক হয়ে দেশের আভ্যন্তরিন শান্তি বিনষ্ট ও অর্থ পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে লিখিত অভিযোগে। তাদের দুদেশের যেকোন একটির নাগরিকত্ব বাতিলেও দাবি করা হয়েছে ঐ অভিযোগে।
ভ‚ক্তভোগী প্রশান্ত ঘোষ জানান, জমিজমা নিয়ে অশোক ঘোষ আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্য নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করে আসছে। এছাড়া সে আমাদের বসতভিটা জাল কাগজ করে তার দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমার কাকাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক নিজের নামে লিখে নিয়ে একে একে বিক্রিয় করে হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে টাকা পাচার করছে আশোক। সে বাংলাদেশ থেকে ৮ একর ৬৮ শতক জমির মধ্যে প্রায় ৪ একর ৭০শতক জমি বিক্রি করে সমুদয় টাকা ভারতে পাঠিয়েছে। তাছাড়া আমার প্রাপ্প জমি বুঝিয়ে না দেওয়ায় বিজ্ঞ আদালতের সহযোগীতা চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেছি। বর্তমানে ৭৫/১৭ নং মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। এই অশোক সখিপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ১৮৩০ নং দলিলে ১০/০৯/১৯৮৯ তারিখে দলিল জাল করার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় ১৯৯৪ সালে ৬ মাস কারাবাস ভোগ করে। তৎকালিন সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক সেতারা বেগম আঙ্গুলাঙ্ক বিষয়কের রিপোর্ট অনুযায়ী উক্ত দলিলে প্রদান করা টিপসই দাতা ও গ্রহীতা অশোক নিজেই ছিলেন। সেই পন্থায় তিনি আমাদের শরীকদের জমি নিজের নামে নিয়ে নিয়েছে। এমনকি আমাকে এবং গ্রামের কয়েকজনকে ভিটা ছাড়া করার উপক্রম করেছে অশোক ঘোষ। বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশী দুদেশী নাগরিক অশোক তার ছেলে প্রদীপ কুমার ও চিরঞ্জিত কুমারকে ভারত থেকে বাংলাদেশে এনে আমাকে সহ বিভিন্ন মানুষকে হুমকি দিচ্ছে। আদালতে চলমান ৬ বছর মামলাধীন পারিবারিক একটি পুকুরে দুই ছেলেকে দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রতারনার শিকার অপর এক ভ‚ক্তভোগী মাঘরীচক গ্রামের মনোরঞ্জন ঘোষ জানান, আমাদের নিজ নামীয় মাঘরীচক মৌজায় ১০৪ দাগে ৪২ শতক জমি অশোক নিজের নামে হাল রেকার্ড করে নেয়। এমনকি আমাদের জমি মিথ্যা দখল দেখিয়ে উল্টো আমাদের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। বর্তমান মামলা উচ্চ আদালতে চলমান রয়েছে। আমরা তার অত্যাচারে অতিষ্ট।
প্রতারনার শিকার সম্ভুনাথ ঘোষ জানান, আমার নিজ নামে কেনা ১০ শতক জমি থেকে ২ শতক জমি আশোক চালাকি করে তার নামে করে নেয়। সেসময় অশোক সেটেলমেন্ট অফিসের মুহুরি হিসাবে কাজ করায় বিভিন্ন লোকের জমি নিজের নামে করে নেন। আমার জমি ফিরিয়ে দেবে বলে একাধীক স্বাক্ষীদের সামনে অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা গ্রহন করে। কিন্তু টাকা জমি ফেরত না দেওয়ায় তৎকালিন সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন ময়না শালিশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। পরবর্তীতে জমি টাকা কোনটাই ফেরত না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে। পরবর্তীতে অন্যলোকের কাছে ওই জমি বিক্রি করে দেয়। আমি এই কুচক্রি অশোকের বিচার চাই।
অভিযুক্ত অশোক ঘোষের মোবাইল ফোনে একাধীক বার কল করেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলে আসছে। বিভিন্ন সময় বসাবসি করা হয়েছে বলে জানি।