ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দেবহাটার অশোকের পরিবারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে দুই দেশের নাগরিকত্বের অভিযোগ!

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ১০:৩৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২
  • ১০৭ জন পড়েছেন ।

দেবহাটা প্রতিনিধি:

নিজ ও পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশী দেশ ভারতের নাগরিক। রয়েছে উভয় দেশের জাতীয় পরিচয়পত্র সহ সকল কাগজপত্র। এই অভিযুক্ত অশোক ঘোষ পরিবার থাকেন ভারতের কোলকাতার হাটগাছা গ্রামে। সেখানে অনেক সম্পত্তির মালিক তিনি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের মাঘরীচক ভোটার এলাকার মৃত শচীন্দ্র নাথ ঘোষের ছেলে অশোক কুমার ঘোষ। ১৯৫৯ সালে আশোক ঘোষের দুই কাকা সুধীর ঘোষ ও অনিল ঘোষ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রেখে ভারতে চলে যান। পরবর্তীতে তাদের ভাইপো অশোক ঘোষ দেবহাটা সেটেলমেন্ট অফিসে মুহুরির কাজ করার সুবাদে বুনিয়াদ ছাড়াই কৌশলে তাদের জমি নিজ বিক্রি যোগ্য করে নেন। এরপর সুযোগ বুঝে নিজ স্ত্রী অর্চনা ঘোষকে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের রাচীতে পাঠিয়ে দেন। সেখানে তিনি কৌশলে নাগরিকত্ব নেন। অর্চনার সেখানের ভোটার সিরিয়াল নং-২১৯, পার্ট নং-২৪৫, ইপিআইসি নং- জিএইচ এফ- ৩২৪১৫৮৫। কিছু দিন যেতেই প্রদেশ পরিবর্তন করে ভারতের কোলকাতা এলাকায় এসে নতুন করে ভোটার হন অর্চনা। এই সুযোগে অশোক ও তার স্ত্রী অর্চনা সেখানকার নাগরিক হন। বর্তমানে আশোক ঘোষ (৬০), তার স্ত্রী অর্চনা (৫৪), ছেলে চিরঞ্জিত কুমার ঘোষ (২২), সন্দীপ কুমার ঘোষ (৩২), প্রদীপ কুমার ঘোষ (২৪) ভারতের হাটগাছা গ্রামের কোলকাতা কেএলসি-৭০০১৫৬, বামনঘাটা পঞ্চায়েতের নাগরিক। যার মধ্যে আশোক ঘোষ ভাঙ্গড়-১৪৮ এর ভোটার নং-৫১, ইপিআইসি নং- টিডিএম ১৭২৭৮১৭। অপরদিকে, বাংলাদেশের মাঘরীচক এলাকার ভোটার সিরিয়াল নং-১৮২, ভোটার নং- ৮৭১০৩৯৫৩৩৪৭। তার স্ত্রী অর্চনা ঘোষ ভাঙ্গড়-১৪৮ এর ভোটার নং-৫০, ইপিআইসি নং- টিডিএম ১৭২৭৮০৯। বাংলাদেশের মাঘরীচক এলাকার ভোটার সিরিয়াল নং- ০৮৯, ভোটার নং- ৮৭১০৩৯৫২৮৫৭২। একই ভাবে ছেলে সন্দীপ কুমার ঘোষের ভারতীয় ভোটার নং-৩৩৬, টিডিএম-১৭২৭৮২৫, প্রদীপ কুমার ঘোষের ভোটার নং-৩৪৩, টিডিএম-১৭২৭৮৩৩, চিরঞ্জিত কুমার ঘোষের ভোটার নং-৪৫, টিডিএম- ১৯৭০৭২২।
এদিকে, সুকৌশলে অশোক ও তার পরিবার ভারত-বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে উভয় দেশের সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ১ একর ৩৮ শতক জমি বিক্রি করে ভারতে অর্থ পাচার করেছেন বলে একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছেন। যার মধ্যে সখিপুর সব-রেজিস্ট্রি অফিসের ২৪৪৩ নং দলিলে গত ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর কোঁড়া গ্রামের ফারুক হোসেনের নিকট ৫৭ শতক জমি বিক্রি করেন। ২০২১ সালের ৩ মার্চ একই গ্রামের রবিউল ইসলামের নিকট ৫৫০নং দলিলে ৫৯ শতক জমি বিক্রয় করেন। এছাড়া ২০২১ সালের ৩০ মার্চে ৭৭০ নং দলিলে মরিয়াম নামের এক নারীর নিকট আরো ২২ শতক জমি বিক্রয় করেছেন। সবমিলে প্রায় ৩৪ লক্ষার্ধীক টাকা ভারতে পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া অবশিষ্ট প্রায় ৪ একর জমি বিক্রিয় করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিয়ে পর পর দুদিন অশোক ঘোষের বাড়িতে গিয়েও তার দেখা পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নং ০১৯১৬-৬১২৫৮৩ এ কল করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলী সোহেল জুয়েল জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের একই সাথে নাগরিক বা ভোটার হওয়া যাবে না। যদি কেউ এই সুবিধা ভোগ করেন সেটি সম্পূর্ণ অবৈধ। তাছাড়া উভয় দেশের নাগরিক হতে হলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে অনুমতি নিতে হবে। যদি কেউ তথ্য গোপন করে উভয় দেশের ভোটার হন সেক্ষেত্রে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

দেবহাটার অশোকের পরিবারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে দুই দেশের নাগরিকত্বের অভিযোগ!

পোস্ট করা হয়েছে : ১০:৩৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২

দেবহাটা প্রতিনিধি:

নিজ ও পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশী দেশ ভারতের নাগরিক। রয়েছে উভয় দেশের জাতীয় পরিচয়পত্র সহ সকল কাগজপত্র। এই অভিযুক্ত অশোক ঘোষ পরিবার থাকেন ভারতের কোলকাতার হাটগাছা গ্রামে। সেখানে অনেক সম্পত্তির মালিক তিনি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের মাঘরীচক ভোটার এলাকার মৃত শচীন্দ্র নাথ ঘোষের ছেলে অশোক কুমার ঘোষ। ১৯৫৯ সালে আশোক ঘোষের দুই কাকা সুধীর ঘোষ ও অনিল ঘোষ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রেখে ভারতে চলে যান। পরবর্তীতে তাদের ভাইপো অশোক ঘোষ দেবহাটা সেটেলমেন্ট অফিসে মুহুরির কাজ করার সুবাদে বুনিয়াদ ছাড়াই কৌশলে তাদের জমি নিজ বিক্রি যোগ্য করে নেন। এরপর সুযোগ বুঝে নিজ স্ত্রী অর্চনা ঘোষকে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের রাচীতে পাঠিয়ে দেন। সেখানে তিনি কৌশলে নাগরিকত্ব নেন। অর্চনার সেখানের ভোটার সিরিয়াল নং-২১৯, পার্ট নং-২৪৫, ইপিআইসি নং- জিএইচ এফ- ৩২৪১৫৮৫। কিছু দিন যেতেই প্রদেশ পরিবর্তন করে ভারতের কোলকাতা এলাকায় এসে নতুন করে ভোটার হন অর্চনা। এই সুযোগে অশোক ও তার স্ত্রী অর্চনা সেখানকার নাগরিক হন। বর্তমানে আশোক ঘোষ (৬০), তার স্ত্রী অর্চনা (৫৪), ছেলে চিরঞ্জিত কুমার ঘোষ (২২), সন্দীপ কুমার ঘোষ (৩২), প্রদীপ কুমার ঘোষ (২৪) ভারতের হাটগাছা গ্রামের কোলকাতা কেএলসি-৭০০১৫৬, বামনঘাটা পঞ্চায়েতের নাগরিক। যার মধ্যে আশোক ঘোষ ভাঙ্গড়-১৪৮ এর ভোটার নং-৫১, ইপিআইসি নং- টিডিএম ১৭২৭৮১৭। অপরদিকে, বাংলাদেশের মাঘরীচক এলাকার ভোটার সিরিয়াল নং-১৮২, ভোটার নং- ৮৭১০৩৯৫৩৩৪৭। তার স্ত্রী অর্চনা ঘোষ ভাঙ্গড়-১৪৮ এর ভোটার নং-৫০, ইপিআইসি নং- টিডিএম ১৭২৭৮০৯। বাংলাদেশের মাঘরীচক এলাকার ভোটার সিরিয়াল নং- ০৮৯, ভোটার নং- ৮৭১০৩৯৫২৮৫৭২। একই ভাবে ছেলে সন্দীপ কুমার ঘোষের ভারতীয় ভোটার নং-৩৩৬, টিডিএম-১৭২৭৮২৫, প্রদীপ কুমার ঘোষের ভোটার নং-৩৪৩, টিডিএম-১৭২৭৮৩৩, চিরঞ্জিত কুমার ঘোষের ভোটার নং-৪৫, টিডিএম- ১৯৭০৭২২।
এদিকে, সুকৌশলে অশোক ও তার পরিবার ভারত-বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে উভয় দেশের সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ১ একর ৩৮ শতক জমি বিক্রি করে ভারতে অর্থ পাচার করেছেন বলে একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছেন। যার মধ্যে সখিপুর সব-রেজিস্ট্রি অফিসের ২৪৪৩ নং দলিলে গত ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর কোঁড়া গ্রামের ফারুক হোসেনের নিকট ৫৭ শতক জমি বিক্রি করেন। ২০২১ সালের ৩ মার্চ একই গ্রামের রবিউল ইসলামের নিকট ৫৫০নং দলিলে ৫৯ শতক জমি বিক্রয় করেন। এছাড়া ২০২১ সালের ৩০ মার্চে ৭৭০ নং দলিলে মরিয়াম নামের এক নারীর নিকট আরো ২২ শতক জমি বিক্রয় করেছেন। সবমিলে প্রায় ৩৪ লক্ষার্ধীক টাকা ভারতে পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া অবশিষ্ট প্রায় ৪ একর জমি বিক্রিয় করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিয়ে পর পর দুদিন অশোক ঘোষের বাড়িতে গিয়েও তার দেখা পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নং ০১৯১৬-৬১২৫৮৩ এ কল করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলী সোহেল জুয়েল জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের একই সাথে নাগরিক বা ভোটার হওয়া যাবে না। যদি কেউ এই সুবিধা ভোগ করেন সেটি সম্পূর্ণ অবৈধ। তাছাড়া উভয় দেশের নাগরিক হতে হলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে অনুমতি নিতে হবে। যদি কেউ তথ্য গোপন করে উভয় দেশের ভোটার হন সেক্ষেত্রে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।