দুই শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটির জেরে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার জাফরপুরের কাজী আলাউদ্দীন ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বখাটেদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০-১৫ জনের নামে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শংকর কুমার, ক্রীড়া প্রভাষক আরিফুর রহমান ও উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অপু স্বর্ণকার গুরুতর আহত হন।
কলেজ সূত্রে জানা যায, কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের সাব্বির হোসেন (চাম্পাফুল) ও প্রথম বর্ষের (বিএম) হাফিজুল ইসলামের (ঘুশুড়ী) মধ্যে তুচ্ছ ঘটনার জেরে কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাফিজুর ইসলাম কলেজ গেটের বাহিরে গিয়ে স্থানীয় বখাটে মামুন, আজমীর, হাফিজুল, তারেক, ইসমাইল, আশরাফুলসহ ১০-১৫ জনকে নিয়ে সাব্বির হোসেনের ওপর আক্রমণের জন্য কলেজগেটে অবস্থান নেয় এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
এসময় পুরো কলেজ ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়। নারী শিক্ষার্থীদের ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। কলেজের অধ্যক্ষ মো. আরিফ বিল্লাহসহ অনান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মীমাংসার জন্য এগিয়ে গেলে ওই বখাটেরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়ে হামলা করে।
কাজী আলাউদ্দীন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আরিফ বিল্লাহ বলেন, কোনো উপায় না পেয়ে আমরা স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করি। তাৎক্ষণিক কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
কলেজের শিক্ষকদের অভিযোগ, এসব বখাটেদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের বহু অভিযোগ রয়েছে। বহিরাগত কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমাদের নলেজে এসেছে। অভিযোগের আলোকে আমাদের কার্যক্রম চলছে। আমাদের থানা-পুলিশ কাজ করছে বিষয়টি নিয়ে। আমরা সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেব।