নিজস্ব প্রতিনিধি:
দেবহাটার সরকারি খানবাহাদুর আহছান উল্লা কলেজের অফিস সহকারী আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে একাদশ শ্রেণির উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনা জানা জানি হলে আত্মসাতের টাকা হজম করতে না পেরে ফেরত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি খানবাহাদুর আহছান উল্লা কলেজের ২৯০ জন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির তালিকা করা হয়। যার মধ্যে একাদশ শ্রেণির মেহেদী হাসান ও মেহেবুব হাসান লিমন নামে ২ শিক্ষার্থীর মোবাইল ব্যাংকিং নাম্বারের স্থলে অফিস সহকারী আব্দুল আলিম তার নাম্বার দিয়ে অনলাইনে সাবমিট করেন। পরে সকল শিক্ষার্থীরা টাকা পেলেও ওই ২ শিক্ষার্থী টাকা না পেয়ে কলেজে আসেন। এসময় তাদের টাকা না পাওয়ার কথা জানালে কর্তৃপক্ষ প্রথমে তাদের অভিযোগ আমলে নেননি। পরে ওই শিক্ষার্থীরা তাদের উপবৃত্তির অনলাইন তথ্যের প্রিন্ট কপি নিয়ে কলেজে গেলে বিষয়টি নজরে আসে। এরপর টাকা না পাওয়া শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টির তদন্তপূর্বক জবাব দেওয়ার জন্য শোকজ করেন। এই কমিটির প্রধান হিসাবে কলেজের হিসাবরক্ষক বৈদ্য নাথকে প্রধান করা কমিটি তদন্ত শেষে ইতোমধ্যে লিখিত জবাব দাখিল করেছেন।
এবিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান বৈদ্য নাথ জানান, একাদশ শ্রেণির ২৫৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১ জনের সমস্যা খুঁজে পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ২জনের মোবাইল ব্যাংকিং এর স্থলে আব্দুল আলিমের নাম্বার রয়েছে। এক একজন শিক্ষার্থী ৫ হাজার ৮শত টাকা পায়নি। অভিযোগের পর টাকা ফেরত দিয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাজে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত আব্দুল আলিম জানান, আমি অনলাইনে এন্ট্রি কারার সময় তাদের নাম্বার না পাওয়ায় আমার নাম্বার দিয়েছি। পরে আমি তাদের টাকা ফেরত দিয়েছি।
সরকারি কেবিএ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাবির আহম্মেদ জানান, শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাতের বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে লিখিত জবাব দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, বিষয়টি অত্যান্ত ন্যাক্কার জনক। এমন অনিয়মের ব্যাপারে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হবে।