মোঃ রাসেল সরকার
অধিক লাভের আশায় অবৈধভাবে মোবাইল ফোনের সিমকার্ড নিবন্ধন করে বিক্রয় করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ ইকবাল হোসেন ওরফে খোকন, মোঃ ইমরান হোসেন বাবু, মোঃ শাহাব উদ্দিন শান্ত ও মোঃ নিজাম উদ্দিন। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ৪টি ট্যাব, ২টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণের মেশিন, ১১টি রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম কার্ড, ২৮টি রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সিম কার্ড ও ২টি এনআইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফউল্লাহ, পিপিএম জানান, কতিপয় ব্যবসায়ী মতিঝিল থানার দক্ষিণ কমলাপুর ইকবাল ট্রেডার্স নামক দোকানে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির সিমকার্ড অবৈধভাবে নিবন্ধন করে অধিক লাভের আশায় বিক্রয় করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই ২০২২) দুপুর ৩:২০টায় মতিঝিল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে খোকনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সাথে জড়িত এয়ারটেল কোম্পানির সিম বিক্রয় প্রতিনিধি ইমরানকে ওইদিন বিকাল ৫:০৫টায় মতিঝিল থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত শান্তকে ওইদিন বিকাল ৬:২০টায় মুগদা থানার দক্ষিণ মুগদা এলাকা এবং নিজামকে রাত ৭:৫০টায় পল্টন মডেল থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের অপরাধের কৌশল সম্পর্কে সাইবার পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির বৈধ তত্ত্বাবধায়ক থাকা অবস্থায় সিম কার্ড ক্রেতাদের নিকট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ও নির্ধারিত ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়। এসময় তারা সু-কৌশলে ক্রেতাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে একই সময়ে দুইটি পৃথক সিম রেজিস্ট্রেশন করতো। ক্রেতাকে একটি সিম দিয়ে অপর রেজিস্ট্রেশনকৃত সিমটি অধিক লাভে অন্যান্য ক্রেতার নিকট বিক্রয় করতো।
এসব প্রতারণা এড়াতে সিম কার্ড ক্রয়ের সময় ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা, নিজের এনআইডিতে কোন কোম্পানির কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন আছে তা *১৬০০১# নম্বরে ডায়াল করে জাতীয় পরিচয় পত্রের শেষ ৪ ডিজিট সেন্ড করে সিম রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে জানা এবং সিম রিটেলারগণ সিম রেজিস্ট্রেশনের আইডি ও পাসওয়ার্ড সিম বিক্রয় প্রতিনিধি ও কোম্পানির কোন প্রতিনিধিদের না দেয়ার পরামর্শ দেন সাইবার এ পুলিশ কর্মকর্তা।
মতিঝিল থানায় রুজুকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, পিপিএম এর দিকনির্দেশনায়, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান, বিপিএম (সেবা) এর তত্ত্বাবধানে এবং ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফউল্লাহ, পিপিএম এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।