বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সমন্বিতভাবেই তাদের কাজ যাচ্ছে, এতে করে কারও ক্ষমতা খর্বের বিষয় নয়। শুধুমাত্র সনদ দেওয়ার দায়িত্বটি আমাদের।
বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৭ সালে পাশ করা হলেও ২০১৮ সালের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কার্যালয় ও লোকবলের অভাবে আমরা ৮ মাস কাজ করতে পারিনি। এর কিছুদিন পর করোনা শুরু হয়ে যাওয়ায় কাজে অনেকটা ব্যত্যয় ঘটেছে।
তবে আমাদের গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের কোনো কাজেই সময়মতো দ্রুত হয় না। তিনি বলেন, ‘আর্থসামাজিক পরিবেশ পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক মান বিবেচনা করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, যদি কেউ (প্রতিষ্ঠান) ক্যাটাগরি ভিত্তিক শর্ত পূরণ করতে পারে সেক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে সনদ দিতে পারব। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আমরা বাধ্যতামূলক করতে পারি না, যদি প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে শর্ত পূরণ করে আবেদন করা হয় সেক্ষেত্রে আমরা তথ্য যাচাই-বাছাই করে সনদ দিতে পারি।’
সোমবার (১৮ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। বাংলাদেশে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডক্টর মেজবাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশে যে সকল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া আছে তাদের অনেকেরই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নাই, জনবল নাই, অনেক ক্ষেত্রেই ঘাটতি আছে। তারপরও আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনের বিপক্ষে নই। আমরা চাই অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাপেক্ষে শর্ত পূরণ করে শিক্ষার মান উন্নয়নে আরও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে।
দেশের জনসংখ্যার বিবেচনায় আরও বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া প্রয়োজন রয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণগত মানের মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়-প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিশ্ব ব্যবস্থায় বাংলাদেশের গ্র্যাজুয়েটদের সুসংহত ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে পরিচালিত একাডেমিক প্রোগ্রাম এবং এসব প্রতিষ্ঠানকে অ্যাক্রিডিটেশন প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (বিএসি) কার্যক্রম শুরু করেছে।