কালিগঞ্জ উপজেলায় প্রতিটি গ্রামে চলছে চিংড়ি মাছের ওজন বৃদ্ধিরর জন্য অস্বাস্থ্যকর দ্রব্য পুশিং। ভোক্তা অধিকার আইন বাস্তবায়নে রবিবার সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব খন্দকার রবিউল ইসলাম উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের ধলবাড়িয়া গ্রামের এক অসাধু ব্যবসায়ী মো: গোলাম হোসেন (৪৫) পিতা পিয়ার আলী গাজী চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশিং অবস্থায় অভিযান পরিচালনা করে আসামীর নিজের বাড়িতে আটক করে। পঁচা ভাতের মাড়, ফিটকিরি, সাগু পুশ করে ওজন বৃদ্ধি, তেলা কচুর রস দিয়ে সবুজ ও চকচকে করে অপরাধ করছিল। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা আসামির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আসামি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে আদালতে কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্য প্রক্রিয়াকরণ এর অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দশ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন খন্দকার রবিউল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মচারীবৃন্দ থানা পুলিশের সদস্যবৃন্দ আদালত কে সহযোগিতা করেন । অবৈধভাবে প্রক্রিয়াকৃত চিংড়ি খাবার অযোগ্য হওয়ায় গাড়ির চাকায় পিষে পেট্রোলে পুড়িয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব খন্দকার রবিউল ইসলাম বলেন “ আমরা প্রতিটি গ্রামে নজরদারি করছি। যেখানে এমন ধরনের অভিযোগ পাচ্ছি সেখানে অভিযান চালাচ্ছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে”। কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া গ্রামের কয়েকজন মৎস ব্যবসাহীদের সাথে আমার সংবাদ প্রতিবেদকে কথা হয় তারা বলেন যারা পুশ করে তাদের মাছ যে মাছের সেট বা ঘরে নেয় সেখানে কোন অভিযান চালানে হয় না। তারা যদি মাছ না নেয় তবে এটা মাছ পুশ করতে পারতো না। ভোক্তা অধিকার শতভাগ নিশ্চিৎ করতে মাছের সেটগুলোতে দ্রুত প্রশাসন অভিযান চালাবে এমনটাই প্রত্যাশা সর্বসাধারনের।
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশিং এর দায়ে অর্থদণ্ডসহ জেল
- Sound Of Community
- পোস্ট করা হয়েছে : ১১:১৭:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২
- ১৩৯ জন পড়েছেন ।
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ