ইমন,কালিগঞ্জ.সাতক্ষীরা।
কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ কে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত গোলাম মোস্তফার কবর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১১ জুলাই রাতে। এঘটনায় মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার স্ত্রী সাবেক ইউপি সদস্য মোছাঃ খোদেজা খাতুন বাদী হয়ে ১১ জন কে অভিযুক্ত করে থানায় এজাহার দায়ের করেছে। কালিগঞ্জ থানায় মামলা নং-১৩, তারিখ-১৪/০৭/২০২২ থানায় এজাহার সূত্রে জানা গেছে আসামীদের সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত গোলাম মোস্তফার স্ত্রী খোদেজা খাতুন এর পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে এবং এ নিয়ে তাদের মধ্যে হুমকি ধামকি এবং বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসছে বলে খোদেজা খাতুন জানান। গত ৮জুলাই ২০২২ বিকাল অনুমান ৪টার সময় মোঃ ইজরাইল হোসেন গং বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে লোহার রড, বাশের লাঠি নিয়ে অনধিকার ভাবে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে বসত ঘরের পাশে মাটি ফেলতে থাকে। এসময় খোদেজা খাতুন ও তার পরিবারের সদস্যরা মাটি ফেলতে নিষেধ করলে তারা অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারপিট করতে উদ্যত হয়। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য কে জানালে তারা গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে আসামীদের কাজ করতে নিষেধ করে। কিন্তু তাতেও তারা কোন কর্নপাত না করে কার্যক্রম চলমান রাখে। পরবর্তীতে গত ১১ ই জুলাই রাত আনুমান ৮টার সময় আসামীরা বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে খোদেজার সম্পত্তিতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় তারা প্রতিবাদ করলে আসামীদ্বয় তাদের কে এলোপাতাড়ি মারপিট ও ফোলা জখম করে এবং খোদেজার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত গোলাম মোস্তফার কবর ভাংচুর করে এবং মুক্তিযোদ্ধার কবর সম্পর্কে অশ্লীলভাষায় কথাবার্তা বলে। বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার কবর ভাংচুরের ঘটনা জানেত পেরে কালিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা, কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম, মুক্তিযোদ্ধা শেখ অজিহার রহমান সহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ ঘটনাস্থলে গিয়ে সরে জমিনে পাকা কবর ভাঙআর দৃশ্য দেখেন।