এম এ মান্নান:
তালার খলিলনগর ইউনিয়নের নলতা গ্রামে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে একটি কুচক্রি মহল। এবিষয়ে ৫ই জুলাই) মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযাগ জমা দেওয়া হলেও রহস্যজনক কারণে নিরব ভূমিকায় রয়েছেন প্রশাসন।
অভিযোগের তথ্য দেখা যায়,তালার খলিলনগর ইউনিয়নের নলতা গ্রামের মৃত বছির শেখের পুত্র জামাল শেখ কিছু কুচক্রি মহলের সাথে মিলিত হয়ে সরকারী আইন অমান্য করিয়া নলতা বিলে জোর পূর্বক বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করছেন। এমত অবস্থায় বালু উত্তোলন চলমান থাকলে পাশের কৃষি জমি ও মৎস্য ঘেরের ব্যপক ক্ষতিসাধন হবে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনা স্থলে ইউনিয়ন পরিষদের নায়েব কে প্রেরণ করলে সাময়িক ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হলেও পরেক্ষণ বালু উত্তোলন শুরু করেন ওই কুচক্রি মহল।
আইনের ৪-এর (খ) অনুযায়ী, সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারী দুই বছরের কারাদন্ড ও সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নলতা গ্রামের বালু উত্তোলন টি এলাকার এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় জনৈক ব্যক্তি ছাত্তার মোড়ল নেতৃত্ব দিয়ে বালু উত্তোলন চলমান রেখেছেন। বালু উত্তোলনের ফলে একই সঙ্গে কৃষি জমি,ঘের ও আশের পাশের এলাকা হুমকির মুখে পড়েছে । পাশপাশি মেশিনের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে আশপাশের মানুষেরা।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা ক্ষমতাসীন ব্যক্তি ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে উপজেলার নলতা গ্রামের মৎস্য ঘেরে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
না প্রকাশে অনিচ্ছুক বালু উত্তোলনকারী ব্যক্তি বলেন, বালু উত্তোলন করছি কিন্তু এ বালু আমার না। জনৈক ব্যক্তিরা আমার কাছে হাজার হিসাবে চুক্তি করে বালু উত্তোলন করে নিচ্ছেন। তারা কোথায় বিক্রি করবেন সেটি আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ পাওয়া মাত্র ঘটনা স্থলে নায়েব কে পাঠিয়েছিলাম। নায়েব গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়ে এসেছেন।পুনরায় আবার বালু উত্তোলন হচ্ছে বলে জানালে ইউএনও বলেন, আমি ঘটনাস্থলে লোক পাঠাচ্ছি , কিন্তু সেই লোক এখনো পৌছেনি।