আজবার রহমান রাজ, নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সাধারণ মানুষের কাছে বর্তমান সময়ের আলোচিত বিষয় দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি। প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে গিয়েছে। এ অবস্থায় সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় হতাশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। কারণ পণ্যের দাম বাড়লেও সেই অনুপাতে পারিশ্রমিক বাড়েনি খেটে খাওয়া মানুষের। ফলে বাজারমুল্যের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের চাহিদা মেটাতে হিম শিম খেয়ে যাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। বাজার পরিদর্শন করে দেখা গিয়েছে ডিম,তেল, সবজি,মাছ,মাংস সহ সকল খাদ্যপণ্যের দাম
পুর্বের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে। এক সময়ে সয়াবিন তেলের মুল্য ছিল লিটারপ্রতি ৮০টাকা থেকে ৯০টাকা কিন্তু বর্তমানে সয়াবিন তেলের মুল্য লিটারপ্রতি ২২০ টাকা। ডিমের মুল্য ছিল ৮ টাকা করে কিন্তু বর্তমানে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা করে। গরুর মাংস ৬২০ টাকা কেজি থেকে উঠে গিয়েছে ৭০০ টাকায়। শসা,বেগুন, টমেটো কাচামরিচসহ বিভিন্ন সবজির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ক্ষেত্রবিশেষে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা। ১৪০ টাকার ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে হয়েছে ১৮০ টাকা।
নগরীর রুপসা ট্রাফিক মোড়ের চায়ের দোকানি আল-আমিন বলেন, সব পণ্যের দাম বেড়েছে কিন্তু আমাদের যে আয় ছিল সেটাই রয়েছে। ডানে কোন আয় রাখতে পারছি না।
গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ইজিবাইক চালক রাজু বলেন, গরুর গোশের চেহারা দেখিনা অনেক দিন।তিনি আরো বলেন, যাত্রীর তুলনায় গাড়ি বেড়ে যাওয়ায় আয় কমে গিয়েছে।
পন্যমুল্য বৃদ্ধিতে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে মুদি পণ্যের কেনাবেচার উপর এই মন্তব্য করে টিবি ক্রস রোডের মুদি দোকানি আরমান বলেন, আগে অনেকে মাসিক বাজার করতো, একবারে ৫ কেজি তেল কিনে রাখতো। তবে এখন খুচরা বিক্রি বেড়ে গেছে, আধা কেজি করে তেল কিনছেন অনেকে।
এ বিষয়ে সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. সুলতানা ফাতিমা তারিক বলেন, “বাজেটের আগেই পণ্যমুল্যের উর্দ্ধগতিদেখা দিয়েছে। এখানে বাজেটের কাজ নেই।“ পণ্যমুল্য বৃদ্ধির পিছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের দায়ী মনে করে তিনি বলেন,”সরকারের উচিৎ পণ্য মজুত করে রাখা।যখন কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করে পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে তখন সরকার মজুতকৃত পণ্য বাজারে নিয়ে এসে যেন পণ্যমুল্য স্থিতিশীল রাখতে পারে। এ জন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।“ বর্তমানে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের অর্থনৈতিক সংকটের ব্যাপারে তিনি বলেন, “টিসিবির লাইন দেখে বোঝা যায় দেশের অর্থনীতি কেমন যাচ্ছে। আমাদের অবশ্যই খেটে খাওয়া মানুষের পারিশ্রমিক বাড়াতে হবে।“