এম এ মান্নানঃ
তালা সদরের নায়েব আনিছুর রহমান কি ভাল হবে না ?
মুড়াকলিয়া গ্রামের জনৈক ফুলমিয়া জানান, নানা অজুহাতে জনগন কে হয়রানী করেন। তিনি জনগনের সাথে এমন আচারন করেন মনে হয় জমির মালিকরা তার বাড়ির কর্মচারী এমন ঔদ্যতপূর্ন আচারনে তারপ্রতি জনগন চরম ক্ষুব্দ। মুড়াকলিয়ার ফুলমিয়া আরও জানান, খাজনা দিতে গেলে তার খাজনার দাখিলা ৫ শত টাকায় দিতে হবে ৫ হাজার টাকা, দাখিলায় ৫ হাজার টাকা উঠাইয়া দেন তখন তার সাথে খারাপ আচারন করে বলেন তোকে কি বাড়ি থেকে ডেকে এনেছি ভাগ এখান থেকে।জেয়ালা নলতা গ্রামের শচিন্দ্র নাথ সাহা(৭০) খাজনা দিতে গেলে তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে ঐ নায়েব,তখন তিনি ঐ পরিমান টাকা না দিতে চাইলে তার কাগজ ঠিক নেই বলে জানান,শচীন্দ্র নাথ সাহা নায়েব কে বলে যে ঐ জমির খাজনা আগের নায়েবদের মাধ্যমে দিয়েছি তখন নায়েব জবাবে বলেন আগের ওরা ভুল করলে আমি ও কি ভুল করবো এই বলে চরম অপমান করে তাড়িয়ে দেয় এই বৃদ্ধ মানুষটিকে,তখন তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মৌকিক অভিযোগ করেও কোন ফল পাইনি,গত ৬ মাস যাবৎ তিনি খাজনা দিবেন বলে ভিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিয়ে চলেছে,তবে সম্প্রতি তিনি এসিল্যান্ড অফিসে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। মাঝিয়াড়া গ্রামের জনৈক ফারুক খান জানান, তাঁর প্রতিবেশী এক দাদার ২ হাজার টাকার দাখিলায় ২০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে না দিলে হিন্দু মানুষ জমি সব এনিমি হয়ে যাচ্ছিল টাকা দিলে সব ঠিক । কথায় কথায় বলেন আমি কিন্তুু জম্মদাতা পিতাকে ছাড়দেয়নি তার নামে কোর্টে মামলা করে জিতেছি কিন্তুু ?। আমি কারো করদিয়ে চলিনে এসকল উক্তি নায়েব আনিছুরের। তিনি কারও ভয় পান না ? জাতপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার এর খাজনা মৌখুব চেক কাটতে গেলে তার কাছে ২৮ হাজার টাকা খাজনা বাকি বলে নায়েব আনিছুর জানান সে রিপোটার্স ক্লাবের সাধারন সম্পাদক বি,এম জুলফিক্কার রায়হান এর শরনাপ্ন হন। বি,এম জুলফিক্কার রায়হান লোকটিকে সাথে নিয়ে নায়েব এর কাছে গেলে বি,এম জুলফিক্কার রায়হান কে নায়েব বলেন যার দাখিলা সেই আসবে আপনি কেন আসছেন তাকে রুঢ় ভাষায় অপমান করে। সাংবাদিক বি,এম জুলফিক্কার রায়হান বিষয়টি সাবেক ইউ,এন,ও জনাব এস,এএম তারিক -উল – হাসান এবং বর্তমান এসিল্যান্ড কে জানান। মৌখিক ভাবে তাকে সতর্ক করেন কিন্তুু কোন পরিবর্তন নেই তার মধ্যে। মারফত চেক কাটতে গেলে মিউটেশন ছাড়া দাখিলা কাটা যাবে না। তার চাহিদা মত টাকা দিলে দাখিলা প্রদান করেন। জমিরেজিষ্ট্রী করতে দাখিলার দরকার হয় তখন চেপেধরে মাত্রারিক্ত টাকা আদায় করেন এবং দাখিলা দিয়ে দেন, চাহিদা মত টাকা না দিলে দাখিলা দেন না। কাগজ ঠিক থাকলে তখন বলেন দাখিলা নাই। গত বৃহষ্পতিবার সাংবাদিক কাজী জীবন বারী একটি কাজ নিয়ে নায়েব এর কাছে গেলে তাকে চরম ভাবে অসম্মান করে তাড়িয়ে দেন। নায়েব এর পক্ষথেকে অফিসে কয়েক জন দালাল রাখা হয়েছে।এদের মাধ্যমে চুক্তিকরে টাকা নেয় নায়েব,
জনভোগান্তি লাঘবে নায়েব আনিছুর রহমার কে প্রত্যাহার পুর্বক তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। এবিষয়ে নায়েব আনিছুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন না সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো তদন্ত অন্তে সত্য প্রমানিত হলে ব্যবস্তা গ্রহন করা হবে।