ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ফকির কন্যা আসমা আক্তার মিতা হয়েছেন ম্যাজিষ্ট্রেট

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ১০:৩৯:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
  • ২০৩ জন পড়েছেন ।

এম এ মান্নান:

সাতক্ষীরা কলারোয়ার আধ্যাত্মিক সাধক পরিবারের কন্যা আসমা আক্তার মিতা এখন বিসিএস (প্রসাশন) সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে। মোছাঃ আসমা আক্তার মিতা সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের কিসতম ইলিশপুর গ্রামের প্রায়াত আধ্যাত্মিক সাধক শাহ সুফি মারফতি ফকির ফজলুল হক এর পুতনি প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ ও শহীদ পরিবারের সদস্য, আধ্যাত্মিক সাধক দরবেশ মুহাঃ মোতাহার হোসেন মন্ডল ও মোছাঃ ঝর্না খাতুন এর দ্বিতীয় কন্যা। তিনি ৪০ তম বিসিএস এ প্রশাসন বিভাগ মেধা ক্রমে ৬০ উর্ত্তীন্ন হয়ে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। মোছাঃ আসমা আক্তার মিতা স্থানীয় ২৩ নং ইলিশপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে কে কে ই পি সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এস এস সি পাশ করেন। ২০১২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচ এস সি) কলারোয়া কাজীর হাট কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত হন।এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃবিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৩.৫৯ এ অনার্স এবং একই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিপিএ- ৩.৬০ মাস্টার্স পাশ করেন।

তিনি এবছর ৪০ তম বিসিএস প্রশাসন বিভাগে মেধাক্রমে ৬০ এ সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। মোছাঃ আসমা আক্তার মিতা সাধক পরিবারের সন্তান। পারিবারিক অসচ্ছলতা কে হার মানিয়ে এই সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি । যেহেতু মারফতি সাধক অর্থ উপার্জনের পেছনে না ছুটে ধর্ম প্রচারের কাজে সারাটা জীবন অতিবাহিত করে চলেছেন, যার জন্যই পারিবারিক অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা ছিল। অর্থ অভাবে টিউশনি পড়তে না পারলেও তার চাচা গোলাম হোসেন মাস্টার এর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। তার অদম্য ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। তাঁর জীবনে চাওয়া ছিল মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির স্বার্থে মানবতার কল্যানে নিবেদিত হয়ে কাজ করবার। তাই তো আল্লাহর রহমতে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। একান্ত সাক্ষাৎকারে আসমা আক্তার মিতার জীবনের গল্পের সময় বেরিয়েছে তার অনুভূতি ও ইচ্ছা গুলো, তার প্রিয় রং কালো, প্রিয় খাবার গরুর মাংস, অবসর সময়ে বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে ভালোবাসেন তিনি। তার এই সফলতার পিছনে পিতা মাতা চাচা,শিক্ষক, প্রতিবেশী,আত্নীয় রা অসাধারণ ভূমিকা পালন করছেন। কিন্তু সবচেয়ে অবদান রেখেছেন তার মরহুমা নানী জয়নুল বিবি। এই পরিবারটি সাধক পরিবার । কিন্তুু বংশানুক্রমে আওয়ামীলীগ পরিবার।আসমা আক্তার এর বড় চাচা মরহুম আলহাজ্ব মোঃ খাইবার হোসেন মাষ্টার কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন।

এছাড়া তার চাচাতো ভাই শহীদ তোফায়েল হোসেন তুহিন ২০০২ সালে২৬ শে জানুয়ারি বিএনপির বোমা হামলায় শহীদ হন। মোছাঃ আসমা আক্তার মিতার সফলতা খবর এলাকায় আনন্দের বন্যা বয়ে চলেছে ইতিমধ্যে স্থানীয় ইউ এন ও, ওসি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক ভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । আসমা আক্তার মিতার এর প্রতিবেশী রুমা খাতুন সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, আসমা আক্তার তাদের চোখের সামনে বড় হয়েছে। ছোটবেলা থেকেই আসমা খুব মেধাবী ছিল, আসমার এমন সফলতায় এলাকায় মানুষ গর্বিত। আসমা আক্তার এর ১০৫ বছর বয়সী দাদী পরিষ্কার করে কথা বলতে না পারলেও তিনি ফিসফিস করে বলেন মিতা খুব ভালো করেছে সকলে দোয়া করবেন। আসমা আক্তার এর চাচা সাধক মোঃ জাকির হোসেন জানান, তাদের মেয়ে এলাকার সুনাম অর্জন করেছে। তারা সাধক পরিবার তাদের অর্থের প্রতি কোন মোহ নেই তাই মহান আল্লাহর রহমতে তাদের মেয়ে আজ ম্যাজিস্ট্র্রেট হয়েছে। তিনি সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন। মোছাঃ আসমা আক্তারের পিতা সুফি বাদ তরিকার সাধক দরবেশ মুহাঃ মোতাহার হোসেন ও মাতা ঝর্না খাতুন জানান, কষ্ট করে মেয়েকে লেখাপড়া করিয়ে আজ আল্লাহর রহমত ও সকলের দোয়ায় এই সফলতা পেয়েছি। এবং তাদের মেয়ে যেন আরো বড়ো হয়ে এলাকায় মুখ উজ্জ্বল করতে পারে দেশের ও জনগনের কল্যানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। মোছাঃ আসমা আক্তার মিতা জানান, তিনি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে এই সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি যেন কর্ম জীবনে নিজেকে সততার সাথে উৎসর্গ করে দেশের জন্য ও জনগনের কল্যানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন তার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন। কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, কলারোয়া উপজেলার ইলিশপুর গ্রামের মেধাবী ছাত্রী আসমা আক্তার ৪০ তম বিসিএস এডমিন ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন তার প্রতি রইল উপজেলা প্রসাশনের পক্ষথেকে শুভ কামনা।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ফকির কন্যা আসমা আক্তার মিতা হয়েছেন ম্যাজিষ্ট্রেট

পোস্ট করা হয়েছে : ১০:৩৯:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

এম এ মান্নান:

সাতক্ষীরা কলারোয়ার আধ্যাত্মিক সাধক পরিবারের কন্যা আসমা আক্তার মিতা এখন বিসিএস (প্রসাশন) সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে। মোছাঃ আসমা আক্তার মিতা সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের কিসতম ইলিশপুর গ্রামের প্রায়াত আধ্যাত্মিক সাধক শাহ সুফি মারফতি ফকির ফজলুল হক এর পুতনি প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ ও শহীদ পরিবারের সদস্য, আধ্যাত্মিক সাধক দরবেশ মুহাঃ মোতাহার হোসেন মন্ডল ও মোছাঃ ঝর্না খাতুন এর দ্বিতীয় কন্যা। তিনি ৪০ তম বিসিএস এ প্রশাসন বিভাগ মেধা ক্রমে ৬০ উর্ত্তীন্ন হয়ে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। মোছাঃ আসমা আক্তার মিতা স্থানীয় ২৩ নং ইলিশপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে কে কে ই পি সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এস এস সি পাশ করেন। ২০১২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচ এস সি) কলারোয়া কাজীর হাট কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত হন।এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃবিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৩.৫৯ এ অনার্স এবং একই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিপিএ- ৩.৬০ মাস্টার্স পাশ করেন।

তিনি এবছর ৪০ তম বিসিএস প্রশাসন বিভাগে মেধাক্রমে ৬০ এ সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। মোছাঃ আসমা আক্তার মিতা সাধক পরিবারের সন্তান। পারিবারিক অসচ্ছলতা কে হার মানিয়ে এই সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি । যেহেতু মারফতি সাধক অর্থ উপার্জনের পেছনে না ছুটে ধর্ম প্রচারের কাজে সারাটা জীবন অতিবাহিত করে চলেছেন, যার জন্যই পারিবারিক অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা ছিল। অর্থ অভাবে টিউশনি পড়তে না পারলেও তার চাচা গোলাম হোসেন মাস্টার এর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। তার অদম্য ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। তাঁর জীবনে চাওয়া ছিল মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির স্বার্থে মানবতার কল্যানে নিবেদিত হয়ে কাজ করবার। তাই তো আল্লাহর রহমতে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। একান্ত সাক্ষাৎকারে আসমা আক্তার মিতার জীবনের গল্পের সময় বেরিয়েছে তার অনুভূতি ও ইচ্ছা গুলো, তার প্রিয় রং কালো, প্রিয় খাবার গরুর মাংস, অবসর সময়ে বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে ভালোবাসেন তিনি। তার এই সফলতার পিছনে পিতা মাতা চাচা,শিক্ষক, প্রতিবেশী,আত্নীয় রা অসাধারণ ভূমিকা পালন করছেন। কিন্তু সবচেয়ে অবদান রেখেছেন তার মরহুমা নানী জয়নুল বিবি। এই পরিবারটি সাধক পরিবার । কিন্তুু বংশানুক্রমে আওয়ামীলীগ পরিবার।আসমা আক্তার এর বড় চাচা মরহুম আলহাজ্ব মোঃ খাইবার হোসেন মাষ্টার কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন।

এছাড়া তার চাচাতো ভাই শহীদ তোফায়েল হোসেন তুহিন ২০০২ সালে২৬ শে জানুয়ারি বিএনপির বোমা হামলায় শহীদ হন। মোছাঃ আসমা আক্তার মিতার সফলতা খবর এলাকায় আনন্দের বন্যা বয়ে চলেছে ইতিমধ্যে স্থানীয় ইউ এন ও, ওসি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক ভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । আসমা আক্তার মিতার এর প্রতিবেশী রুমা খাতুন সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, আসমা আক্তার তাদের চোখের সামনে বড় হয়েছে। ছোটবেলা থেকেই আসমা খুব মেধাবী ছিল, আসমার এমন সফলতায় এলাকায় মানুষ গর্বিত। আসমা আক্তার এর ১০৫ বছর বয়সী দাদী পরিষ্কার করে কথা বলতে না পারলেও তিনি ফিসফিস করে বলেন মিতা খুব ভালো করেছে সকলে দোয়া করবেন। আসমা আক্তার এর চাচা সাধক মোঃ জাকির হোসেন জানান, তাদের মেয়ে এলাকার সুনাম অর্জন করেছে। তারা সাধক পরিবার তাদের অর্থের প্রতি কোন মোহ নেই তাই মহান আল্লাহর রহমতে তাদের মেয়ে আজ ম্যাজিস্ট্র্রেট হয়েছে। তিনি সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন। মোছাঃ আসমা আক্তারের পিতা সুফি বাদ তরিকার সাধক দরবেশ মুহাঃ মোতাহার হোসেন ও মাতা ঝর্না খাতুন জানান, কষ্ট করে মেয়েকে লেখাপড়া করিয়ে আজ আল্লাহর রহমত ও সকলের দোয়ায় এই সফলতা পেয়েছি। এবং তাদের মেয়ে যেন আরো বড়ো হয়ে এলাকায় মুখ উজ্জ্বল করতে পারে দেশের ও জনগনের কল্যানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। মোছাঃ আসমা আক্তার মিতা জানান, তিনি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে এই সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি যেন কর্ম জীবনে নিজেকে সততার সাথে উৎসর্গ করে দেশের জন্য ও জনগনের কল্যানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন তার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন। কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, কলারোয়া উপজেলার ইলিশপুর গ্রামের মেধাবী ছাত্রী আসমা আক্তার ৪০ তম বিসিএস এডমিন ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন তার প্রতি রইল উপজেলা প্রসাশনের পক্ষথেকে শুভ কামনা।