ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

খুলনা মেডিকেলের আরএমও’র প্রেমের বলি হলেন নারী চিকিৎসক মন্দিরা মজুমদার

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৬:২৪:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২
  • ৩২৩ জন পড়েছেন ।

মহিদুল ইসলাম( শাহীন)বটিয়াঘাটা খুলনা

মহানগরীতে মন্দিরা মজুমদার নামে এক নারী চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার মজিদ সরণি রোডের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মন্দিরা মজুমদার ওই এলাকার প্রদীপ মজুমদারের মেয়ে। তিনি ২০২১ সালে খুলনা গাজী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে উল্লেখ করে এ জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারকে দায়ী করেছে পরিবার।

মন্দিরার বাবা প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার পিত্তথলির অপারেশন করা হয়। তখন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারের সঙ্গে আমার মেয়ের পরিচয় হয়। এই সম্পর্কের জেরে ডা. সুহাস আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে রাতযাপন করে।’

‘পরবর্তীতে আমার মেয়ে জানতে পারে যে ডা. সুহাস বিবাহিত। আমার মেয়ে তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননাশের হুমকি দিয়ে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। মেয়েটি যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে জানতে ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মামতাজুল হক বলেন, ‘ডা. মন্দিরার মরদেহ নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের রডের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

‘ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা.রবিউল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে ডা. সুহাসের শাস্তি হবে।’

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

খুলনা মেডিকেলের আরএমও’র প্রেমের বলি হলেন নারী চিকিৎসক মন্দিরা মজুমদার

পোস্ট করা হয়েছে : ০৬:২৪:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

মহিদুল ইসলাম( শাহীন)বটিয়াঘাটা খুলনা

মহানগরীতে মন্দিরা মজুমদার নামে এক নারী চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার মজিদ সরণি রোডের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মন্দিরা মজুমদার ওই এলাকার প্রদীপ মজুমদারের মেয়ে। তিনি ২০২১ সালে খুলনা গাজী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে উল্লেখ করে এ জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারকে দায়ী করেছে পরিবার।

মন্দিরার বাবা প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার পিত্তথলির অপারেশন করা হয়। তখন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারের সঙ্গে আমার মেয়ের পরিচয় হয়। এই সম্পর্কের জেরে ডা. সুহাস আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে রাতযাপন করে।’

‘পরবর্তীতে আমার মেয়ে জানতে পারে যে ডা. সুহাস বিবাহিত। আমার মেয়ে তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননাশের হুমকি দিয়ে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। মেয়েটি যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে জানতে ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মামতাজুল হক বলেন, ‘ডা. মন্দিরার মরদেহ নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের রডের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

‘ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা.রবিউল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে ডা. সুহাসের শাস্তি হবে।’