ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলীয় এলাকা ও সুন্দরবন পরিদর্শন করলেন ডেনমার্কের রাজকুমারী

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ১০:০৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
  • ১৮১ জন পড়েছেন ।

এম এ মান্নান:

দক্ষিন উপকূলের দূর্যোগ কবলিত ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির শিকার হওয়া সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের গ্রাম কুলতলিতে সবার সাথে কথা বলে সময় কাটালেন ডেনমার্কের প্রিন্সেস ম্যারি এলিজাবেথ।

বুধবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে কক্সবাজার থেকে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের টাইগার পয়েন্টে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরনের সাথে সাথে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবির ও পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান। পরে তিনি গাড়িতে চেপে ৩ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের চুনা নদীর তীরে কুলতলি গ্রামে পৌছান। সেখানে কয়েক মিনিট পায়ে হেটে তিনি কথা বলেন গ্রামবাসীর সাথে। গ্রামের সাধারন খেটে খাওয়া নারী পুরুষ তাকে স্বাগত জানিয়ে হাসিমুখে বরন করেন নেন। এসময় প্রিন্সেস ম্যারি কিছুক্ষনের জন্য আড্ডা আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন স্কুলগামী শিশুদের সাথেও। তিনি পুষ্পা রানী মন্ডল ও শিলা রানী মন্ডলের বাড়িতেও কয়েক মিনিটের জন্য অতিথি হন।

প্রিন্সেস ম্যারি বেসরকারি সংস্থা সিএনআরএস কর্তৃক খননকৃত একটি খাল পরিদর্শন করেন। এই খালের পানিসেচ নিয়ে ধান ও শাকসবজিতে ভরে ওঠা ফসলি ক্ষেতও পরিদর্শন করেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতির বিশদ বিবরন সম্পর্কে তিনি অবহিত হন এবং দুর্যোগকালে ব্যবহারের জন্য একটি সাইক্লোন শেল্টারও পরিদর্শন করেন ডেনমার্কের রাজকুমারী। গ্রামীন নারীরা তাকে পেয়ে অত্যন্ত খুশী হন। তারা তার সাথে দূর্যোগের সময় কি কি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তার বিবরন দিয়ে সুপেয় পানি সংকটের কথা তুলে ধরেন।

প্রায় ৩০ মিনিট যাবত কুলতলি গ্রাম পরিদর্শন শেষে প্রিন্সেস ম্যারি এলিজাবেথ তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে চলে আসেন মুন্সিগঞ্জের বরসা রিসোর্টে। সেখানে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। পরে মুন্সিগঞ্জ নদীর ঘাটের পন্টুন থেকে স্পীডবোটে রাজকুমারী ম্যারিকে নিয়ে যাওয়া হয় কলাগাছিয়ায় ফরেস্ট টহল ক্যাম্প চত্ত্বরে। যেখানে প্রায়ই বাঘ আসে পুকুরের মিষ্টি পানি খাওয়ার জন্য। সেখানে রয়েছে বাঘের পায়ের ছাপ। এমনকি মৃত বাঘের কবরও। এসবই তিনি সচক্ষে দেখেন। কলাগাছিয়ায় যাতায়াতের পথে সুন্দরবনের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে তিনি অভিভূত হন।

এর আগে তিনি দাতিনাখালিতে একটি বেড়িবাঁধ ভাঙন ও তার নির্মান কাজ পরিদর্শন করেন। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে তার সফরকালে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সাংবাদিক এমনকি আশপাশের গ্রামবাসীও প্রবেশ করতে পারেননি। প্রিন্সেস ম্যারি তার কয়েক ঘন্টার সুন্দরবন সফর শেষে বিকালে হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরে যান।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলীয় এলাকা ও সুন্দরবন পরিদর্শন করলেন ডেনমার্কের রাজকুমারী

পোস্ট করা হয়েছে : ১০:০৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২

এম এ মান্নান:

দক্ষিন উপকূলের দূর্যোগ কবলিত ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির শিকার হওয়া সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের গ্রাম কুলতলিতে সবার সাথে কথা বলে সময় কাটালেন ডেনমার্কের প্রিন্সেস ম্যারি এলিজাবেথ।

বুধবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে কক্সবাজার থেকে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের টাইগার পয়েন্টে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরনের সাথে সাথে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবির ও পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান। পরে তিনি গাড়িতে চেপে ৩ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের চুনা নদীর তীরে কুলতলি গ্রামে পৌছান। সেখানে কয়েক মিনিট পায়ে হেটে তিনি কথা বলেন গ্রামবাসীর সাথে। গ্রামের সাধারন খেটে খাওয়া নারী পুরুষ তাকে স্বাগত জানিয়ে হাসিমুখে বরন করেন নেন। এসময় প্রিন্সেস ম্যারি কিছুক্ষনের জন্য আড্ডা আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন স্কুলগামী শিশুদের সাথেও। তিনি পুষ্পা রানী মন্ডল ও শিলা রানী মন্ডলের বাড়িতেও কয়েক মিনিটের জন্য অতিথি হন।

প্রিন্সেস ম্যারি বেসরকারি সংস্থা সিএনআরএস কর্তৃক খননকৃত একটি খাল পরিদর্শন করেন। এই খালের পানিসেচ নিয়ে ধান ও শাকসবজিতে ভরে ওঠা ফসলি ক্ষেতও পরিদর্শন করেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতির বিশদ বিবরন সম্পর্কে তিনি অবহিত হন এবং দুর্যোগকালে ব্যবহারের জন্য একটি সাইক্লোন শেল্টারও পরিদর্শন করেন ডেনমার্কের রাজকুমারী। গ্রামীন নারীরা তাকে পেয়ে অত্যন্ত খুশী হন। তারা তার সাথে দূর্যোগের সময় কি কি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তার বিবরন দিয়ে সুপেয় পানি সংকটের কথা তুলে ধরেন।

প্রায় ৩০ মিনিট যাবত কুলতলি গ্রাম পরিদর্শন শেষে প্রিন্সেস ম্যারি এলিজাবেথ তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে চলে আসেন মুন্সিগঞ্জের বরসা রিসোর্টে। সেখানে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। পরে মুন্সিগঞ্জ নদীর ঘাটের পন্টুন থেকে স্পীডবোটে রাজকুমারী ম্যারিকে নিয়ে যাওয়া হয় কলাগাছিয়ায় ফরেস্ট টহল ক্যাম্প চত্ত্বরে। যেখানে প্রায়ই বাঘ আসে পুকুরের মিষ্টি পানি খাওয়ার জন্য। সেখানে রয়েছে বাঘের পায়ের ছাপ। এমনকি মৃত বাঘের কবরও। এসবই তিনি সচক্ষে দেখেন। কলাগাছিয়ায় যাতায়াতের পথে সুন্দরবনের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে তিনি অভিভূত হন।

এর আগে তিনি দাতিনাখালিতে একটি বেড়িবাঁধ ভাঙন ও তার নির্মান কাজ পরিদর্শন করেন। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে তার সফরকালে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সাংবাদিক এমনকি আশপাশের গ্রামবাসীও প্রবেশ করতে পারেননি। প্রিন্সেস ম্যারি তার কয়েক ঘন্টার সুন্দরবন সফর শেষে বিকালে হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরে যান।