আমিনুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কালিগঞ্জের চাম্পাফুল ইউনিয়নের চান্দুলীয়া গ্রামের তিন বাড়িতে একই রাতে একই স্টাইলে চুরি যাওয়ার ঘটনার পুনরায় তদন্ত করেন এডিশনাল এসপি কনক কুমার দাশ। কালিগঞ্জের চাম্পাফুল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড চান্দুলীয়া গ্রামের মেম্বার পদপ্রার্থী জাকির হোসেনের বাড়িতে দিনেদুপুরে চুরি। তার প্রায় এক সপ্তাহ পরে একই রাতে চান্দুলীয়া গ্রামের রামজয় সরকারের বাড়ি, স্বপন স্বর্ণকারের বাড়ি এবং তার একদিন আগে চান্দুলীয়া গ্রামের মোস্তফার বাড়ি থেকে নগদ টাকা, সোনার গহনা, মনিটরসহ ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মূল্যবান সম্পদ চুরি হয়েছে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী জাকির হোসেন, রামজয় সরকার ও মোস্তফা জানান, চুরি হওয়ার পরের দিন চাম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হককে জানান এবং সাথে সাথে কালিগঞ্জ থানায় জানালে বিট অফিসার এসআই সিহাব তদন্ত পূর্বক একটি প্রতিবেদন দেন। চান্দুলীয়া গ্রামের জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানাসূত্রে জানতে পারলাম কোনকিছু চুরি হয়নি। ঘটনাটি নাকি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফলে একে অপরের উপর দোষ চাপাচাপি হচ্ছে। তার তিনি আরো বলেন, চুরি যাওয়া মালপত্র উদ্ধার এবং প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করার জন্য উপর মহলের স্মরনাপন্ন হয়েছি।
তার পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ এপ্রিল বেলা আনুমানিক ১১ টার দিকে এডিশনাল এসপি কনক কুমার দাশ চুরি যাওয়া সবকটি বাড়ি তদন্ত করেন। তিনি তদন্ত শেষে মন্তব্য করেন চুরি হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে চুরি কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র স্পর্শ করার কারণে অনেক আলামত নষ্ট হয়েছে। ২৬ এপ্রিল তদন্ত চলাকালীন সময়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন কালিগঞ্জ থানা অফিসার ইন চার্জ গোলাম মোস্তফা, চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিট অফিসার এসআই সিহাব এবং চাম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হক।