মোজাম্মেল হক লিটন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
রামগঞ্জ থেকে মাইজদী রোডে চলাচলকারী জননী পরিবহনের কারণে রামগঞ্জে- চাটখিল- সোনাইমুড়ী মহাসড়ক মৃত্যুপুরী সড়কে পরিণত হয়েছে।বেপোয়ারা চলাচলের কারণে জননী পরিবহন সপ্তাহে অন্তত দুইটি দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। চাটখিলের দশঘরিয়া বাজার থেকে সোনাইমুড়ী পর্যন্ত মহাসড়কে জননী পরিবহন বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটিয়ে চলছে। বছরের পর বছর ধরে চলছে জননী পরিবহন এইসব তাণ্ডব, অথচ দেখার কেউ নেই। আজ পর্যন্ত এ পরিবহনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে, তার নজির দৃশ্যমান নয়।
গত কয়েক বছরে, কত মায়ের বুক খালি করেছে জননী পরিবহন, তার সঠিক হিসাব সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থা দৈনিক নয়া বঙ্গবাজার কে দিতে পারেনি। জননী পরিবহনে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে স্বজন হারানোদের কান্না বাতাস বয়ে বেড়াচ্ছে।আহতদের আত্মচিৎকারে কাঁদছে সয়ং এই মহাসড়ক নিজেই। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, জননী পরিবহনের অনেক ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই।
অধিকাংশ পরিবহনের নেই রোড পারমিট। রাস্তায় চলাচলের জন্য এসব পরিবহন আদৌ উপযোগী কিনা তা নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে জননী পরিবহন আরো বেপোয়ারা হয়ে উঠবে। এ অবস্থায় প্রায় প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার সমূহ সম্ভাবনা,বিগত বছরগুলোর মতো বিদ্যমান। এই রোডে চলাচলকারী অন্যান্য পরিবহন, যাত্রী ও পথচারীরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর দাবি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে লক্কর ঝক্কর যেসব জননী পরিবহন রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের। এছাড়া লাইসেন্স বিহীন ডাইভারদের ঈদ মুহূর্তে গাড়ী পরিচালনা থেকে দূরে রাখবে এটাই সকলের দাবি। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা মোটরযান পরিদর্শক সালেহ আহমদ বলেন, আমাদের নিজস্ব কোনো ভ্রাম্যমান আদালত নেই। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাদেরকে আদালত পরিচালনা করতে হয়।
ঈদ উপলক্ষে বিশেষ আদালত পরিচালনা করার উদ্যোগ ইতিমধ্যে আমরা নিয়েছি। তিনি বলেন, জননী পরিবহনের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে বহু অভিযোগ রয়েছে। সালেহ আহমেদ বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট পরিবহনের বিরুদ্ধে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।