মোজাম্মেল হক লিটন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীতে হিজড়াদের বাসা থেকে তারেক হোসেন (২৩) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, হিজড়ারা তারেককে পিটিয়ে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে শহরের হাসপাতাল সড়কের পশ্চিম মাইজদী এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টা জানিয়েছেন। তারেক জেলার সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের উত্তর ওয়াপদা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক দীর্ঘদিন ধরে হিজড়াদের সঙ্গে একই বাসায় থাকতেন।
শুক্রবার হিজড়ারা সবাই বাসা থেকে বের হয়ে যায়। সন্ধ্যায় তারা বাসায় ফিরে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ অবস্থায় দেখে। পরে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে তারেকের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মরদেহ উদ্ধার করে। তারেকের বড় ভাই আজগর হোসেন সাগর অভিযোগ করে জানান, গত দেড় বছর আগে সোনালী নামের এক হিজড়া তারেককে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। এরপর থেকে তারা তারেককে আটকে রেখে বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালায়।
দীর্ঘ দেড় বছরে তারেককে একদিনের জন্য ছেড়ে দুইদিন পর পুনঃরায় বাড়ি থেকে তাদের কাছে নিয়ে যায় হিজড়ারা। আজকের কোনো একসময় তারা তারেককে পিটিয়ে হত্যা করে এখন আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ওই বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহৃ পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, নিজেদের মধ্যে কোনো কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তারেক। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।