ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আগৈলঝাড়ায় জন্ম নিবন্ধনের আড়ালে ট্যাক্সের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৯:৪৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২
  • ১৩৮ জন পড়েছেন ।

শফিকুল ইসলাম বরিশাল প্রতিনিধিঃ

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় জন্ম নিবন্ধনের আড়ালে ট্যাক্সের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের বিরুদ্ধে।
সরকারি নিয়ম না থাকলেও নিজে নিয়ম করে ট্যাক্সের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করছেন আগৈলঝাড়া উপজেলার ১নং রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব গৌতম চন্দ্র পাল।

অন্যান্য ইউনিয়নে জন্মনিবন্ধন করতে ট্যাক্সের মাধ্যমে টাকা আদায় না করলেও রাজিহার ইউনিয়নের সচিব ট্যাক্সের টাকা বাধ্যতামুলক নিয়ে জন্ম নিবন্ধন করে থাকে।
ঘটনার সত্যতাও স্বীকার করেন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব গৌতম চন্দ্র পাল।
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ।
দেশে শিশুর জন্ম থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুয়ী জন্ম নিবন্ধনের কোন ফি নেওয়া হয় না। তবে শিশুর ৫ বছর পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের উপরে সব বয়সীদের ৫০ টাকা ফি নেয়ার নিয়ম করে দিয়েছে সরকার। তবে সরকারের এই নিয়ম মানা হচ্ছেনা বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নে, সেখানকার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব গৌতম চন্দ্র পাল সরকারি বেঁধে দেয়া টাকার জায়গায় নিজেই নতুন নিয়ম করেছেন প্রতি জন্ম সনদে সরকারি ফি সহ ট্রাক্সের অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন এমনি অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
খোঁজ নিয়ে এমন অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায় ।
আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের জন্ম সনদ নিতে আসা স্থানীয় বাসিন্দারা জানান বসত বাড়ির বাৎসরিক মূল্যের উপর ট্যাক্স দিয়ে রসিদ কেটে জন্ম নিবন্ধন করতে হয়, না হলে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব গৌতম চন্দ্র পাল জন্ম নিবন্ধন করেন না।
প্রতিটি ট্যাক্স,রেট ও বিবিধ প্রাপ্তি রশিদ বইতে বসত বাড়ির বাৎসরিক মূল্যের করের উপরে ২০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে রজিহার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব গৌতম চন্দ্র পাল জন্মনিবন্ধে ট্যাক্সে টাকা নেওয়ার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এমনি অভিযোগ করেছেনে স্থানিয়রা।সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের আড়ালে ট্যাক্সের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদের সচিব,বাকাল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এবং গৈলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব।
সচিবরা স্থানীয় হওয়ার কারনে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে সাধারণ জনগনকে ঠকাচ্ছে।

ট্যাক্সের টাকা নেওয়া বিষয়ে রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব গৌতম চন্দ্র পালের কাছে জানতে চাইলে সে জানান জন্মনিবন্ধনের সার্টিফিকেটের সাথে ট্যাক্সের টাকা দিতে হয় না হলে আমরা হোল্ডিং নাম্বার কি ভাবে দিবো সে জন্য ট্যাক্সের টাকা নেওয়া হয়।

আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নে ট্যাক্সের টাকা না নিয়ে কি ভাবে জন্মনিবন্ধন করা হয় সে বিষয়ে বাগধা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্রির কাছে জানতে চাইলে সে জানান জন্মনিবন্ধনের সাথে ট্যাক্সের কোন সম্পর্ক নাই। এটা একটা ভিন্ন জিনিস হোল্ডিং ট্যাক্স আলাদা।
এবং জন্মনিবন্ধনের জন্য আলাদা কোন ট্যাক্সের কাগজ দরকার হয় না।ওয়ারিশ সার্টিফিকেট নেওয়ার সময় হালনাগাত হোল্ডিং ট্যাক্স নেওয়া হয়।
সে আরো জানান আগে হোল্ডিং ট্যাক্স সর্বনিম্ন ৩৩ টাকা থেকে ৫০০টাকা পর্যন্ত নেওয়া হতো।এ বছরে সর্বচ্চ ১০০ টাকা করে দিয়েছে সরকার। ট্যাক্সের টাকা জনগুরুপ অথবা বাঁধ নির্মান অথবা চাকিদার-দফাদারদের ভাতা,মেম্বারদের ভাতা দেওয়া হয় এবং সেটা ক্যাশ বইতে এন্টি করা হয়।

ট্যাক্সেরর মাধ্যমে টাকা নেওয়া বিষয়ে আইসিটি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন জন্মনিবন্ধনের সথে ট্যাক্সের কোন সম্পর্ক নেই।
তবে আমিও দেখেছি রাজিহার ইউনিয়ন থেকে জন্মনিবন্ধনের কাগজ পত্রের সাথে ট্যাক্সের একটা রশিদ যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন জন্মনিবন্ধনের সথে ট্যাক্সের কোন সম্পর্ক নেই।
জন্ম নিবন্ধনে সচিব কোনো বাড়তি টাকা আদায় করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

আগৈলঝাড়ায় জন্ম নিবন্ধনের আড়ালে ট্যাক্সের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

পোস্ট করা হয়েছে : ০৯:৪৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২

শফিকুল ইসলাম বরিশাল প্রতিনিধিঃ

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় জন্ম নিবন্ধনের আড়ালে ট্যাক্সের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের বিরুদ্ধে।
সরকারি নিয়ম না থাকলেও নিজে নিয়ম করে ট্যাক্সের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করছেন আগৈলঝাড়া উপজেলার ১নং রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব গৌতম চন্দ্র পাল।

অন্যান্য ইউনিয়নে জন্মনিবন্ধন করতে ট্যাক্সের মাধ্যমে টাকা আদায় না করলেও রাজিহার ইউনিয়নের সচিব ট্যাক্সের টাকা বাধ্যতামুলক নিয়ে জন্ম নিবন্ধন করে থাকে।
ঘটনার সত্যতাও স্বীকার করেন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব গৌতম চন্দ্র পাল।
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ।
দেশে শিশুর জন্ম থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুয়ী জন্ম নিবন্ধনের কোন ফি নেওয়া হয় না। তবে শিশুর ৫ বছর পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের উপরে সব বয়সীদের ৫০ টাকা ফি নেয়ার নিয়ম করে দিয়েছে সরকার। তবে সরকারের এই নিয়ম মানা হচ্ছেনা বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নে, সেখানকার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব গৌতম চন্দ্র পাল সরকারি বেঁধে দেয়া টাকার জায়গায় নিজেই নতুন নিয়ম করেছেন প্রতি জন্ম সনদে সরকারি ফি সহ ট্রাক্সের অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন এমনি অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
খোঁজ নিয়ে এমন অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায় ।
আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের জন্ম সনদ নিতে আসা স্থানীয় বাসিন্দারা জানান বসত বাড়ির বাৎসরিক মূল্যের উপর ট্যাক্স দিয়ে রসিদ কেটে জন্ম নিবন্ধন করতে হয়, না হলে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব গৌতম চন্দ্র পাল জন্ম নিবন্ধন করেন না।
প্রতিটি ট্যাক্স,রেট ও বিবিধ প্রাপ্তি রশিদ বইতে বসত বাড়ির বাৎসরিক মূল্যের করের উপরে ২০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে রজিহার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব গৌতম চন্দ্র পাল জন্মনিবন্ধে ট্যাক্সে টাকা নেওয়ার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এমনি অভিযোগ করেছেনে স্থানিয়রা।সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের আড়ালে ট্যাক্সের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদের সচিব,বাকাল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এবং গৈলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব।
সচিবরা স্থানীয় হওয়ার কারনে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে সাধারণ জনগনকে ঠকাচ্ছে।

ট্যাক্সের টাকা নেওয়া বিষয়ে রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব গৌতম চন্দ্র পালের কাছে জানতে চাইলে সে জানান জন্মনিবন্ধনের সার্টিফিকেটের সাথে ট্যাক্সের টাকা দিতে হয় না হলে আমরা হোল্ডিং নাম্বার কি ভাবে দিবো সে জন্য ট্যাক্সের টাকা নেওয়া হয়।

আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নে ট্যাক্সের টাকা না নিয়ে কি ভাবে জন্মনিবন্ধন করা হয় সে বিষয়ে বাগধা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্রির কাছে জানতে চাইলে সে জানান জন্মনিবন্ধনের সাথে ট্যাক্সের কোন সম্পর্ক নাই। এটা একটা ভিন্ন জিনিস হোল্ডিং ট্যাক্স আলাদা।
এবং জন্মনিবন্ধনের জন্য আলাদা কোন ট্যাক্সের কাগজ দরকার হয় না।ওয়ারিশ সার্টিফিকেট নেওয়ার সময় হালনাগাত হোল্ডিং ট্যাক্স নেওয়া হয়।
সে আরো জানান আগে হোল্ডিং ট্যাক্স সর্বনিম্ন ৩৩ টাকা থেকে ৫০০টাকা পর্যন্ত নেওয়া হতো।এ বছরে সর্বচ্চ ১০০ টাকা করে দিয়েছে সরকার। ট্যাক্সের টাকা জনগুরুপ অথবা বাঁধ নির্মান অথবা চাকিদার-দফাদারদের ভাতা,মেম্বারদের ভাতা দেওয়া হয় এবং সেটা ক্যাশ বইতে এন্টি করা হয়।

ট্যাক্সেরর মাধ্যমে টাকা নেওয়া বিষয়ে আইসিটি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন জন্মনিবন্ধনের সথে ট্যাক্সের কোন সম্পর্ক নেই।
তবে আমিও দেখেছি রাজিহার ইউনিয়ন থেকে জন্মনিবন্ধনের কাগজ পত্রের সাথে ট্যাক্সের একটা রশিদ যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন জন্মনিবন্ধনের সথে ট্যাক্সের কোন সম্পর্ক নেই।
জন্ম নিবন্ধনে সচিব কোনো বাড়তি টাকা আদায় করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।