আমিনুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গত ১১ এপ্রিল গভীর রাতে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড চান্দুলীয়া গ্রামের ৩ বাড়িতে চুরি কার্য সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা যায়।
চোরের সহস নাকি চুরির কাজে সহযোগিতা বুঝতেই পারছেন না চান্দুলীয়া গ্রামবাসী। এর শেষ কোথায়, নাকি চলতেই থাকবে চুরি ডাকাতি? এমন প্রশ্ন এখন চান্দুলীয়া তথা চাম্পাফুল ইউনিয়ন বাসীর। এলাকাবাসীর আশঙ্কা যে, বাইরের থেকে চোর রাতে এলাকায় প্রবেশ করছে না এলাকার চোর শত্রুতা করে বেছে বেছে চুরি করছে? গ্রামবাসীর সহযোগিতা না পেলে এমন ভাবে চুরি করতে পারে না বলে ধারণা করছেন সচেতন মহল। বেছে বেছে নৌকায় ভোট দেওয়া লোকের বাড়ি থেকে চুরি হচ্ছে এটা কাকতালীয় ঘটনা নাকি প্রকৃত বিশ্বাস করতে চাইছে না এলাকার ভুক্তভোগী জনগণ।
আসলেই বিশ্বাস হওয়ার কথা নয়। চোর কিভাবে চিনবে নৌকার যাত্রী কারা ছিলো? এর নিরশন হওয়া জরুরী প্রয়োজন। স্থানীয় সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কি চোর চক্রটির কাছে হেরে যাবে? এমনটি হলে তো জনজীবন থমকে যাবে। আইয়ামে জাহিলিয়াতের জোর যার মুল্লুক তার প্রথাও হার মানবে। গতরাতে চাম্পাফুল ইউনিয়নের চান্দুলীয়া গ্রামের মৃত ধীরেন্দ্র নাথ সরকারের পুত্র রামজয় সরকার, উপেন্দ্র নাথ সরকারের পুত্র স্বপন সরকার ও হরেন্দ্র নাথ সরকারের পুত্র পরিতোষ সরকারের বাড়ি থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য যে, গত ১০ এপ্রিল রাতে একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার বাড়ি থেকে জামাকাপড়, নগদ টাকা সহ এবং জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও ১ লক্ষ ৪০ হাজার নগদ টাকা নিয়ে গেছে বলে জানা যায়। প্রথম চুরির ঘটনায় অভিযোগ হলেও আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে আসামীরা। জানমাল নিয়ে স্থানীয় সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপত্তার সাথে বসবাস করতে পারে এই সহযোগিতা চেয়েছেন চাম্পাফুল ইউনিয়নবাসী।