কলকাতা থেকে মনোয়ার ইমাম
পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের অধীনে মগরাহাট থানার অন্তর্গত মাগুর পুকুরের কাছে যে রাতের অন্ধকারে যে জোড়া খুন হয়েছে তার মূল হোতা হলেন একসময়ের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বেতাল বাদশাহ ও জানে আলম এন্ড কোম্পানির মালিক চিটফান্ড কান্ডের হোতা জানে আলম। তিনি নিজের হাতে খুন করেছে বরুণ চক্রবর্তী ও তার বন্ধু মলয়কে। এরা দুজনেই মগরাহাট থানার সিভিক পুলিশ।
তদন্ত করে জানা গেছে যে দীর্ঘদিন ধরে জানে আলম অসামাজিক কাজকর্ম করে যেত। ছোট থেকে বেআইনি ভাবে মানুষের ঠকিয়ে টাকা কামানের ব্যাবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি একটি চিটফান্ডের মালিক হন। এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কোটি কোটি টাকা তোলেন বেকার যুবকদের চাকরি দেবার নাম করে। এবং কিছু অফিস খোলেন বিভিন্ন যায়গায় টাকা তোলার জন্য। এই কাজে নিযুক্ত হন বেকার যুবকরা। তাদের কে কাজে লাগিয়ে গ্রামের বেকার যুবক ও যুবতীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলেন চাকরি দেবার নাম করে। এবং কিছু কিছু যায়গায় ভূয়া কারখানা দেখিয়ে আরো মোটা অঙ্কের টাকা তোলেন বিভিন্ন যায়গায় থেকে। তার নামে জানে আলম কোম্পানির বিভিন্ন শাখা হিসেবে তুলে ধরেন জানে আলম ইন্ডিয়া লিমিটেড জানে আলম ইয়ার লাইন্স জানে আলম গার্মেন্টস ও জানে আলম নিউজ সহ বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি। বিয়ে করেন মগরাহাট পশ্চিমের উত্তর কুসুম অঞ্চল এর ঘোলা নওয়া পাড়ার মেয়ে সিদ্দিকা খাতুন কে।
পরে ফের বিয়ে করেন মিনা বেগম কে ছয়টি সন্তানের পিতা জানে আলম এমন ভাবে নিরম্ম ভাবে খুন করবে ভাবতে পারেননি পুলিশ প্রশাসন। মগরাহাট থানা ও উস্হি থানার দক্ষ সার্কেল অফিসার শ্রী সুবীর বাঘ তার অধীনে দক্ষ অফিসার দিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের অভিজ্ঞ পুলিশ অফিসারা তদন্তের কাছে সাহায্য করছে। জানে আলম এর ভাই বর্তমানে মগরাহাট থানার মোহনপুর পঞ্চায়েত প্রধান আলমগীর মোল্লা এই ঘটনা নিয়ে তেমন কিছু বলতে চান নি। তার বক্তব্য যে দোষ করবে তাকে শাস্তি পেতে হবে।।