ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

জেলেপল্লীর অদম্য মেধাবী মারুফার স্বপ্ন কি নিভে যাবে?

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ১০:৪৮:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২
  • ২৫১ জন পড়েছেন ।

এসএম বাচ্চু: দারিদ্র্যকে মাড়িয়ে জেলেপল্লীর (নিকারী) তালা মহিলা কলেজের অদম্য মেধাবী ছাত্রী মারুফা খাতুন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। কিন্তু মারুফার ডাক্তার হওয়ার ও কি দেখতো স্বপ্ন  অর্থের অভাবে নিভে যেতে বসেছে।

মারুফার সাথে কথা বলার জন্য তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে পরিবারে কর্তা পিতা আজিজ বিশ্বাস  বলেন, ভাই আমি দিন আনি দিন খাই। অনেক দিন না খেয়ে দিন কাটাই। আজকে ইনকাম করতে পারিনি। তাই দুইশত টাকা হাওলাত করে বাজার করে আনছি। আমার বড় মেয়ের কলেজের স্যার ও এলাকার লোকজন বলাবলি করছে, মারুফা নাকি মেডেকেল চান্স পেয়ে। আমার কাছে তো কোন টাকা নেই কেমন করে মেয়েকে ভর্তি করবো। কিছু ভেবে পাচ্ছি না। শুনলাম ভর্তি হতে নাকি ২০-৩০ হাজার টাকা লাগবে। এত টাকাতো আমার কাছে নেই, ভাই। এমন কান্নাজড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন মারুফার পিতা আজিত বিশ্বাস

জেলেপল্লীর মেয়ে মারুফা মাধ্যমিক পরীক্ষায় এজে এইচ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। ভর্তি হন তালা মহিলা কলেজে সেখানেও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে কৃতকার্য হন। এবার মারুফা অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে এমবিবিএস ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ৭৪ টেস্ট স্কোর পেয়ে ৩৫৩৪ মেরিট পজিশনে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।
তালা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জেয়ালা নলতা গ্রামের নিকারী পাড়া (জেলে পল্লীর) আর্থিক ভাবে অনাটনের পরিবার মো. আজিত বিশ্বাস ও গৃহিণী তাছলিমা বেগমের দম্পর্তির ৩ কন্যার মধ্য বড় কন্যা মারুফা। পরিবারটির নুন আনতে পানতা ফুরানোর মতন। পিতা আজিত বিশ্বাস পরিবারের একমাত্র উর্পাজনকারী ব্যক্তি। পৈত্রিক ভাবে কোন সম্পর্তি নেই পরিবারটির।

তালা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম জানান, মারুফা দরিদ্র পরিবারে সন্তান হলেও পড়াশোনায় করার ইচ্ছা শক্তি ছিল প্রবল। সেই প্রবল ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মারুফা খাতুন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ চান্স পেয়েছেন। এছাড়া তালা মহিলা কলেজ হতে সুপ্রিয়া রায় প্রিতু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ সাফল্যের সহিত উত্তীর্ণ হয়েছে। আমরা এদের ভবিষ্যৎ জীবন আলোয় আলোকিত হবে বলে আশা করছি। কিন্তু জানামতে মারুফা পরিবার আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী না থাকায় সামনের দিকে এগুতে বাধার সম্মুখিন হচ্ছেন। আমরা চাই তারা পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে দেশ দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে।

মেডিকেলে চান্সপ্রাপ্ত মারুফা খাতুন বলেন, আমার পরিবার দারিদ্র হওয়ার সত্ত্বে পড়াশোনার প্রতি প্রবল ইচ্ছা শক্তি নিয়ে আজ এ পর্যায়ে পৌছাতে পেড়েছি। অনেক কষ্ট করে পড়াশোন করেছি। মা বাবা সহ কলেজের শিক্ষকদের মুখ উজ্জ্বল করেছি। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
মারুফা পিতা আজিত বিশ্বাস  বলেন, আর্থিক ভাবে অভাব অনটনের সংসারে আমার বড় মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছি। সে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। শুনেছি ডাক্তারি পড়তে নাকি অনেক টাকা লাগে। কিন্তু আমার সেই সংগতি নেই। মেয়েকে ভর্তি করতেও পিছুপা হচ্ছি অর্থের কারনে। আমি এলাকার বিত্তবান ও শুশীল সমাজের কাছে আকুতি জানাচ্ছি আমার মেয়ে যাহাতে পড়াশোনা করে ডাক্তার হতে পারে তার জন্য সহযোগিতা করবেন। অদম্য মেধাবী মারুফাকে সাফল্যের চূড়ায় পৌছে দিতে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে ০১৩০০৬৩২৯৫৮ (মারুফার পিতা) যোগাযোগ করতে পারেন।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

জেলেপল্লীর অদম্য মেধাবী মারুফার স্বপ্ন কি নিভে যাবে?

পোস্ট করা হয়েছে : ১০:৪৮:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২

এসএম বাচ্চু: দারিদ্র্যকে মাড়িয়ে জেলেপল্লীর (নিকারী) তালা মহিলা কলেজের অদম্য মেধাবী ছাত্রী মারুফা খাতুন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। কিন্তু মারুফার ডাক্তার হওয়ার ও কি দেখতো স্বপ্ন  অর্থের অভাবে নিভে যেতে বসেছে।

মারুফার সাথে কথা বলার জন্য তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে পরিবারে কর্তা পিতা আজিজ বিশ্বাস  বলেন, ভাই আমি দিন আনি দিন খাই। অনেক দিন না খেয়ে দিন কাটাই। আজকে ইনকাম করতে পারিনি। তাই দুইশত টাকা হাওলাত করে বাজার করে আনছি। আমার বড় মেয়ের কলেজের স্যার ও এলাকার লোকজন বলাবলি করছে, মারুফা নাকি মেডেকেল চান্স পেয়ে। আমার কাছে তো কোন টাকা নেই কেমন করে মেয়েকে ভর্তি করবো। কিছু ভেবে পাচ্ছি না। শুনলাম ভর্তি হতে নাকি ২০-৩০ হাজার টাকা লাগবে। এত টাকাতো আমার কাছে নেই, ভাই। এমন কান্নাজড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন মারুফার পিতা আজিত বিশ্বাস

জেলেপল্লীর মেয়ে মারুফা মাধ্যমিক পরীক্ষায় এজে এইচ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। ভর্তি হন তালা মহিলা কলেজে সেখানেও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে কৃতকার্য হন। এবার মারুফা অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে এমবিবিএস ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ৭৪ টেস্ট স্কোর পেয়ে ৩৫৩৪ মেরিট পজিশনে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।
তালা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জেয়ালা নলতা গ্রামের নিকারী পাড়া (জেলে পল্লীর) আর্থিক ভাবে অনাটনের পরিবার মো. আজিত বিশ্বাস ও গৃহিণী তাছলিমা বেগমের দম্পর্তির ৩ কন্যার মধ্য বড় কন্যা মারুফা। পরিবারটির নুন আনতে পানতা ফুরানোর মতন। পিতা আজিত বিশ্বাস পরিবারের একমাত্র উর্পাজনকারী ব্যক্তি। পৈত্রিক ভাবে কোন সম্পর্তি নেই পরিবারটির।

তালা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম জানান, মারুফা দরিদ্র পরিবারে সন্তান হলেও পড়াশোনায় করার ইচ্ছা শক্তি ছিল প্রবল। সেই প্রবল ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মারুফা খাতুন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ চান্স পেয়েছেন। এছাড়া তালা মহিলা কলেজ হতে সুপ্রিয়া রায় প্রিতু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ সাফল্যের সহিত উত্তীর্ণ হয়েছে। আমরা এদের ভবিষ্যৎ জীবন আলোয় আলোকিত হবে বলে আশা করছি। কিন্তু জানামতে মারুফা পরিবার আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী না থাকায় সামনের দিকে এগুতে বাধার সম্মুখিন হচ্ছেন। আমরা চাই তারা পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে দেশ দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে।

মেডিকেলে চান্সপ্রাপ্ত মারুফা খাতুন বলেন, আমার পরিবার দারিদ্র হওয়ার সত্ত্বে পড়াশোনার প্রতি প্রবল ইচ্ছা শক্তি নিয়ে আজ এ পর্যায়ে পৌছাতে পেড়েছি। অনেক কষ্ট করে পড়াশোন করেছি। মা বাবা সহ কলেজের শিক্ষকদের মুখ উজ্জ্বল করেছি। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
মারুফা পিতা আজিত বিশ্বাস  বলেন, আর্থিক ভাবে অভাব অনটনের সংসারে আমার বড় মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছি। সে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। শুনেছি ডাক্তারি পড়তে নাকি অনেক টাকা লাগে। কিন্তু আমার সেই সংগতি নেই। মেয়েকে ভর্তি করতেও পিছুপা হচ্ছি অর্থের কারনে। আমি এলাকার বিত্তবান ও শুশীল সমাজের কাছে আকুতি জানাচ্ছি আমার মেয়ে যাহাতে পড়াশোনা করে ডাক্তার হতে পারে তার জন্য সহযোগিতা করবেন। অদম্য মেধাবী মারুফাকে সাফল্যের চূড়ায় পৌছে দিতে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে ০১৩০০৬৩২৯৫৮ (মারুফার পিতা) যোগাযোগ করতে পারেন।