ঢাকা ০২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই – এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলী শ্যামনগরে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার উপর ওরিয়েন্টশন আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত 

দেশে ফিরে প্রবাসী দেখলেন, নিজ ঘরে অন্যের সঙ্গে সংসার করছেন স্ত্রী

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৮:২৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২
  • ২৮৫ জন পড়েছেন ।

দীর্ঘ ১৪ বছর পর মালয়েশিয়া খেকে ফিরে এক প্রবাসী দেখলেন তারই বাড়িতে অন্য এক পুরুষকে নিয়ে সংসার করছেন স্ত্রী। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে গুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এলাকায়। ওই ঘটনায় প্রবাসী যুবক মাহফুজার রহমান সাবেক স্ত্রী রোজিনা খাতুন এবং তার বর্তমান স্বামী ও শ্বশুরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। জেলার শাজাহানপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট ও আমলি আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় ৪২ লাখ টাকায় নির্মিত বাড়ি, নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকারসহ দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।

শাজাহানপুর উপজেলার শৈলধুকড়ি গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে মাহফুজার রহমান জানান, ২০০০ সালে তিনি যখন উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র ছিলেন তখন তার সঙ্গে পাশের ধুনট উপজেলার বেড়ের বাড়ি গ্রামের মৃত মনছুর আলীর মেয়ে রোজিনা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০০৪ সালে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। এরপর ২০০৮ সালে তিনি স্ত্রীকে তার বড় ভাইয়ের বাড়ির পাশে একটি ভাড়া বাড়িতে রেখে মালয়েশিয়া চলে যান। সেখান থেকে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং টাকাও পাঠাতেন। ওই টাকায় উপজেলার নয়মাইল এলাকায় তাদের দু’জনের নামে জায়গা কিনে বাড়ি করতে বলেন। কিন্তু রোজিনা খাতুন তার একক নামে জায়গা কিনে ৪২ লাখ টাকায় বাড়ি নির্মাণ করেন। এছাড়া মাহফুজার রহমানের ৭ বিঘা জমি লিজ প্রদানের টাকাও নিজের কাছে রাখেন।

২০২১ সালের আগস্টে মাহফুজার রহমান মালয়েশিয়া পুলিশের হাতে আটক হন। প্রায় সাড়ে ৫ মাস আটক থাকার পর মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ গত ২০ জানুয়ারি তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর বাড়িতে এসে তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন তাকে তালাক দিয়ে রেজাউল করিম নামে একজনকে বিয়ে করেছেন। রেজাউল সম্পর্কে রোজিনার মামাতো ভাই। বিয়ের পর তারা মাহফুজার রহমানের টাকায় নির্মিত বাড়িতেই স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করছেন।

মাহফুজার রহমান বলেন, ‘যখন আমি মালয়েশিয়ায় আটক ছিলাম, তখন রোজিনা আমার বাড়ির ঠিকানায় তালাকের নোটিশ পাঠায়, যা আমার জানা নেই। ঘর-বাড়ি ও ১৫ ভরি স্বর্ণসহ সব সম্পদ আত্মসাৎ করে রোজিনা আমাকে পথে বসিয়েছে। আমার টাকায় করা বাড়িতে কথা বলতে গিয়েছিলাম; কিন্তু সে ঘরের দরজা খোলেনি।’ মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট উৎপল কুমার বাগচী জানান, আদালত মামলটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৮ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের চেক বিতরণ

দেশে ফিরে প্রবাসী দেখলেন, নিজ ঘরে অন্যের সঙ্গে সংসার করছেন স্ত্রী

পোস্ট করা হয়েছে : ০৮:২৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২

দীর্ঘ ১৪ বছর পর মালয়েশিয়া খেকে ফিরে এক প্রবাসী দেখলেন তারই বাড়িতে অন্য এক পুরুষকে নিয়ে সংসার করছেন স্ত্রী। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে গুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এলাকায়। ওই ঘটনায় প্রবাসী যুবক মাহফুজার রহমান সাবেক স্ত্রী রোজিনা খাতুন এবং তার বর্তমান স্বামী ও শ্বশুরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। জেলার শাজাহানপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট ও আমলি আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় ৪২ লাখ টাকায় নির্মিত বাড়ি, নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকারসহ দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।

শাজাহানপুর উপজেলার শৈলধুকড়ি গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে মাহফুজার রহমান জানান, ২০০০ সালে তিনি যখন উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র ছিলেন তখন তার সঙ্গে পাশের ধুনট উপজেলার বেড়ের বাড়ি গ্রামের মৃত মনছুর আলীর মেয়ে রোজিনা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০০৪ সালে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। এরপর ২০০৮ সালে তিনি স্ত্রীকে তার বড় ভাইয়ের বাড়ির পাশে একটি ভাড়া বাড়িতে রেখে মালয়েশিয়া চলে যান। সেখান থেকে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং টাকাও পাঠাতেন। ওই টাকায় উপজেলার নয়মাইল এলাকায় তাদের দু’জনের নামে জায়গা কিনে বাড়ি করতে বলেন। কিন্তু রোজিনা খাতুন তার একক নামে জায়গা কিনে ৪২ লাখ টাকায় বাড়ি নির্মাণ করেন। এছাড়া মাহফুজার রহমানের ৭ বিঘা জমি লিজ প্রদানের টাকাও নিজের কাছে রাখেন।

২০২১ সালের আগস্টে মাহফুজার রহমান মালয়েশিয়া পুলিশের হাতে আটক হন। প্রায় সাড়ে ৫ মাস আটক থাকার পর মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ গত ২০ জানুয়ারি তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর বাড়িতে এসে তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন তাকে তালাক দিয়ে রেজাউল করিম নামে একজনকে বিয়ে করেছেন। রেজাউল সম্পর্কে রোজিনার মামাতো ভাই। বিয়ের পর তারা মাহফুজার রহমানের টাকায় নির্মিত বাড়িতেই স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করছেন।

মাহফুজার রহমান বলেন, ‘যখন আমি মালয়েশিয়ায় আটক ছিলাম, তখন রোজিনা আমার বাড়ির ঠিকানায় তালাকের নোটিশ পাঠায়, যা আমার জানা নেই। ঘর-বাড়ি ও ১৫ ভরি স্বর্ণসহ সব সম্পদ আত্মসাৎ করে রোজিনা আমাকে পথে বসিয়েছে। আমার টাকায় করা বাড়িতে কথা বলতে গিয়েছিলাম; কিন্তু সে ঘরের দরজা খোলেনি।’ মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট উৎপল কুমার বাগচী জানান, আদালত মামলটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৮ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।