ঢাকা ০৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

টিপ পরা নিয়ে শিক্ষককে হেনস্তা: বিচার চেয়ে আল্টিমেটাম

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৬:৪৫:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
  • ৩৫৭ জন পড়েছেন ।

তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দারকে হেনস্তাকারী পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করে বিচারের দাবিতে এক প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ’ ব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী রবীন আহসান।

তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় আমরা গণবিক্ষোভের আয়োজন করবো।

সভাপতির বক্তৃতায় সংগঠক আকরামুল হক বলেন, দাবি মানা না হলে আমরা তেজগাঁও কলেজের সামনে প্রতিবাদী অবস্থান করবো। সেখান থেকে থানায় যাবো।

নারী পক্ষের সংগঠক মনীষা মজুমদার বলেন, একজন নারী শিক্ষককে টিপ পরার কারণে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হয় এবং তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। তাকে গালি দেওয়া ও হত্যাচেষ্টা বাংলাদেশ আইনে স্পষ্ট অপরাধ। এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সঙ্গীতশিল্পী শতাব্দী ভব বলেন, ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়েছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য। মেয়েরা টিপ পরলে দোষ, সাইকেল চালালে দোষ। মেয়েরা যা করবে তাই দোষ এ দেশে। আমরা ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান মানছি না। লতা সমাদ্দারের ঘটনাসহ প্রত্যেকটা ঘটনার বিচার চাই।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতা মুক্তা বাড়ৈ বলেন, এটা শুধু টিপ পরার বিষয় নয়। এটা বাংলাদেশের সংস্কৃতি। আমরা বাংলার হিন্দু মুসলমান সবার আগে বাঙালি। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি বিকাশ সাহা বলেন, যেই লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই বাংলাদেশ এখন আর নেই। আমরা ২০২২ সালে এসে দেখতে পাই, একজন শিক্ষক টিপ পরার কারণে অসদাচরণের শিকার হন। ওই পুলিশ সদস্য শুধু অসদাচরণ করেই ক্ষান্ত হননি। সেই নারীকে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হয় এবং পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে হেনস্তার শিকার হন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। তিনি অভিযোগ করেন, হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন- ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তির গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার প্রতিবাদ জানালে একপর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়েই বাইক চালিয়ে চলে যান সেই ব্যক্তি।

ঘটনার পর রাস্তার বিপরীত পাশে কর্তব্যরত তিনজন ট্রাফিক পুলিশের কাছে গিয়ে লতা সমাদ্দার ঘটনাটি বর্ণনা করেন। এই তিনজনের মধ্যে একজনের নাম অভিজিৎ। তারাই থানায় অভিযোগ করতে পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমরা সিসি ফুটেজ দেখে ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ওই ব্যক্তি পুলিশ বা সাধারণ মানুষ যেই হোন না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে হেনস্তাকারী ব্যক্তি পুলিশ সদস্য ছিলেন কি না তা এখনও জানতে পারেনি  পুলিশ। বেশ কিছু ভিডিও সংগ্রহ করা হলেও এখন পর্যন্ত ‘স্পষ্ট কিছু মেলেনি’ বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

টিপ পরা নিয়ে শিক্ষককে হেনস্তা: বিচার চেয়ে আল্টিমেটাম

পোস্ট করা হয়েছে : ০৬:৪৫:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২

তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দারকে হেনস্তাকারী পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করে বিচারের দাবিতে এক প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ’ ব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী রবীন আহসান।

তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় আমরা গণবিক্ষোভের আয়োজন করবো।

সভাপতির বক্তৃতায় সংগঠক আকরামুল হক বলেন, দাবি মানা না হলে আমরা তেজগাঁও কলেজের সামনে প্রতিবাদী অবস্থান করবো। সেখান থেকে থানায় যাবো।

নারী পক্ষের সংগঠক মনীষা মজুমদার বলেন, একজন নারী শিক্ষককে টিপ পরার কারণে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হয় এবং তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। তাকে গালি দেওয়া ও হত্যাচেষ্টা বাংলাদেশ আইনে স্পষ্ট অপরাধ। এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সঙ্গীতশিল্পী শতাব্দী ভব বলেন, ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়েছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য। মেয়েরা টিপ পরলে দোষ, সাইকেল চালালে দোষ। মেয়েরা যা করবে তাই দোষ এ দেশে। আমরা ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান মানছি না। লতা সমাদ্দারের ঘটনাসহ প্রত্যেকটা ঘটনার বিচার চাই।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতা মুক্তা বাড়ৈ বলেন, এটা শুধু টিপ পরার বিষয় নয়। এটা বাংলাদেশের সংস্কৃতি। আমরা বাংলার হিন্দু মুসলমান সবার আগে বাঙালি। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি বিকাশ সাহা বলেন, যেই লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই বাংলাদেশ এখন আর নেই। আমরা ২০২২ সালে এসে দেখতে পাই, একজন শিক্ষক টিপ পরার কারণে অসদাচরণের শিকার হন। ওই পুলিশ সদস্য শুধু অসদাচরণ করেই ক্ষান্ত হননি। সেই নারীকে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হয় এবং পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে হেনস্তার শিকার হন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। তিনি অভিযোগ করেন, হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন- ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তির গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার প্রতিবাদ জানালে একপর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়েই বাইক চালিয়ে চলে যান সেই ব্যক্তি।

ঘটনার পর রাস্তার বিপরীত পাশে কর্তব্যরত তিনজন ট্রাফিক পুলিশের কাছে গিয়ে লতা সমাদ্দার ঘটনাটি বর্ণনা করেন। এই তিনজনের মধ্যে একজনের নাম অভিজিৎ। তারাই থানায় অভিযোগ করতে পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমরা সিসি ফুটেজ দেখে ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ওই ব্যক্তি পুলিশ বা সাধারণ মানুষ যেই হোন না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে হেনস্তাকারী ব্যক্তি পুলিশ সদস্য ছিলেন কি না তা এখনও জানতে পারেনি  পুলিশ। বেশ কিছু ভিডিও সংগ্রহ করা হলেও এখন পর্যন্ত ‘স্পষ্ট কিছু মেলেনি’ বলে জানিয়েছে পুলিশ।