সোহাগ হোসেন সাতক্ষীরা প্রতিনিধি , সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের বিনারপোতা ব্রিজ সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২ নং পোল্ডারের বেতনা নদী খননকৃত মাটি বিভিন্ন ইট ভাটায় অবাধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। পাউবো সুত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরা পওর বিভাগ – ২ এর পক্ষ থেকে চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারী মাসের প্রথম দিকে বেতনা নদী খননের কাজ শুরু হয়। এ কাজের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা পওর বিভাগ – ২ এর উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জিয়াউর রহমান।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের বেতনা নদী খননে ভ্যেকু দিয়ে মাটি কেটে বাঁধের উপর রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে উত্তলনকৃত মাটি একটি প্রভাবশালী মহল দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ভাড়ায় চালিত নিষিদ্ধ ডাম্পার ভাড়া করে ভ্যেকুর মাধ্যমে মাটি তুলে নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন ইট ভাটায় অবৈধভাবে বিক্রি করছে। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা গ্রামের প্রভাবশালী শফিকুল ইসলাম এবং একই উপজেলার মিল বাজার এলাকার আলতাফ হোসেন বাবুর নেতৃত্বে ডাম্পার প্রতি ৮০০ শত টাকা দরে মনিরের ভাটা সহ স্থানীয় বিভিন্ন ইট ভাটায় অবাধে বিক্রি করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান, অবৈধ পন্থায় এসব খনন মাটি টেন্ডার ছাড়াই অবৈধ পন্থায় বিক্রিতে শফিকুল ও আলতাব হোসেন বাবুকে সহযোগীতা করছেন ৫ জন কথিত নামধারি সাংবাদিক, এদের মধ্যে কথিত নামধারি বাবু সাংবাদিক অন্যতম। এ বিষয়ে অবৈধ পন্থায় বেতনা নদীর খননকৃত মাটি বিক্রেতা শফিকুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে মাটি বিক্রির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ১৫০ গাড়ি মাটি বিক্রি করেছি, তা ছাড়া বাবুও মাটি বিক্রি করছে। শুধু আমরা বিক্রি করছি না, স্থানীয় অনেক প্রভাবশালী মহলও মাটি বিক্রি করছে। এ বিষয়ে বেতনা নদী খনন কাজের দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরা পওর বিভাগ – ২ এর এস ও জিয়াউর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে অবৈধ পন্থায় বেতনা নদী খনন মাটি প্রভাবশালী মহল টেন্ডার ছাড়াই অবৈধ পন্থায় বিক্রির ব্যাপার জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বেতনা নদীর খনন মাটি স্থানীয় বাবু সহ অন্যান্যরা ডাম্পারে মাটি তুলে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে জানতে পেরে আমি ঘটনা স্থলে পৌছে আনুমানিক ১৫/ ২০ টি ডাম্পার মাটি ভর্তি দেখে তাদের ধৃত করি।
কিন্ত প্রভাবশালী বাবু সহ অন্যান্য কতিপয় ব্যক্তিরা আমাকে লাঞ্চিত করে ডাম্পার নিয়ে চলে যায়।বিষয়টি আমি আমার স্যারকে অবহিত করেছি পাশাপাশি সাতক্ষীরা সদর থানায় উক্ত ব্যক্তিদের নামে আমি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবো বলে এ কর্তা জানান।