মোজাম্মেল হক লিটন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
চাটখিল উপজেলার ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রদান গেইট সকাল ৮ থেকে ১টা পর্যন্ত বন্ধ রেখে চলছে স্বাস্থ্য সেবা। রোগীদের চলাচলের জন্য গেইটের উত্তর পাশের ছোট একটা গেইট দিয়ে অনেক কষ্টে যাতায়াত করতে হয়। প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হয় হাসপাতালের গেইটের সামনে এটা দেখার কেউ নেই। হাসপাতালে কর্মরতদের সাথে, ২/৩টি ঔষধ দোকান যোগসাজশে হাসপাতালে গেইট বন্ধ রাখা হয় বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। এদিকে হাসপাতালের প্রধান গেট বন্ধ থাকায়, সামনের সরু গলিতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অফিস টাইমে অনেকে নির্ধারিত সময়ে অফিস করতে পারছেন না যানজটের কারণে। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, গেইট বন্ধ থাকার কারণে সব সময় যানজট থাকে। অসুস্থ জরুরী রোগীদের নিয়ে সিএনজি হাসপাতালের সামনে না গিয়ে গেইটের সামনে নামিয়ে দিতে হয়। ছয়ানীটবগা গ্রামের “পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ফিল্ড অফিসার রবিউল ইসলাম শান্ত বলেন, কয়েকদিন আগে আমার কাকা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় আমি কাকাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে গেইট বন্ধ দেখে গেইট খোলার জন্য ৫ মিনিটের মতো গেইটের বাহিরে অপেক্ষায় ছিলাম। গেইটের আশেপাশে কাউকে না পেয়ে অসুস্থ কাকাকে কোলে নিয়ে জরুরী বিভাগে যাই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খন্দকার মোশতাক আহম্মেদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, গেইট খোলা রাখলে ওষুধ কোম্পানীর লোকজন গিয়ে তাদের মোটরসাইকেল রাখে। ভিতরে গাড়ীর জটলা সৃষ্টি হয়। সাংবাদিক এরা এই বিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ খন্দকার মোশতাকের এ বক্তব্য সাথে একমত হতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন। তারা বলেছেন হাসপাতাল রোগীদের স্বার্থে। গেইট বন্ধ রেখে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।