মোজাম্মেল হক লিটন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী চাটখিল থানার আইনশৃংখলার চরম অবনতি ঘটেছে। গত ১মাস যাবত প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে চুরি, সিদেল চুরি, গরু চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। খোদ চাটখিল পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে হচ্ছে চুরি সিদেল চুরি। গত কয়েকদিন যাবত চাটখিল থানার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজনের সাথে কথা বলে, প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হলো দৈনিক সমতট, নোয়াখালী প্রতিনিধির আজকের প্রতিবেদন। উপজেলার ৫ নং মোহাম্মদ পুর ইউনিয়নে ও ১ নং সাহাপুর ইউনিয়নে অনেকগুলো চুরির ঘটনা ঘটেছে। ৫ নং মোহাম্মদ পুর ইউনিয়নে গত তিন বছর আগে লিটন ফার্মেসীতে চুরি ডাকাতি ঘটনা ঘটেছে তার দোকানের ঔষধ মালপত্র সহ সবগুলো চুরি করে চোরেরা নিয়ে যায়, পরে লিটন ফার্মেসী মালিক মোজাম্মেল হক থানায় অভিযোগ করেন, কিন্তু তার ঔষধ মালপত্রের কোন সন্ধান চাটখিল থানার পুলিশ দেয়নি।
পুলিশ চুরি ডাকাতি গুলোর ব্যবস্তা না নেওয়ায় দিন দিন চুরি ডাকাতি বেড়েই চলেছে। এমনকি সাহাপুর এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে পুরুষোত্তমপুর গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির ঘটনার সময় থানা পুলিশকে ফোন করা হলে, থানা থেকে বলা হয় টহল পুলিশ সাহাপুর এলাকাতেই রয়েছে। ডাকাতির ঘটনার এক ঘন্টা পরে ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি। সাহাপুর বাজার থেকে গেলেও পুরুষোত্তমপুর যেতে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট সময় লাগবে।
প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে। উপজেলার ৯ নং খিলপাড়া ইউনিয়নের গত এক মাসে অন্তত আটটি গরু চুরির ঘটনাসহ বহু চুরি, সিদেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। ৭নং হাটপুকুরিয়া-হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নে গত এক মাসে অন্তত চারটি চুরির ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে। ৬ নং পাঁচগাঁও ইউনিয়নে এক মাসে ৭/৮টি চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। এলাকা চিহ্নিত বেশ কয়েকজন চোরের নাম থানা পুলিশের কাছে দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা যানা যায়নি। সবচেয়ে বেশি চুরির ঘটনা ঘটেছে উপজেলার ৫ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে। এলাকাবাসী চোরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। থানা পুলিশের সহায়তা না পেয়ে অনেক বাড়ির লোকজন এখন নিজেরাই রাত জেগে চোর পাহারা দেয়।
বদলকোট ইউনিয়নে অনেকগুলো চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানাগেছে।রামনারায়নপুর ইউনিয়নের পাঁচটি চুরির ঘটনার ব্যাপারে এলাকাবাসী, থানা পুলিশকে অবহিত করে। থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে তারা জানান। নোয়াখালা ইউনিয়নে তিনটি চুরির ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে। পরকোট ইউনিয়নে চুরির ২টি ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে। চাটখিল পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চোরের অত্যাচারে। পৌরসভা আরো কয়েকটি ওয়ার্ডে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এদিকে প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীরা বেপোয়ারা হয়ে উঠেছে। চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি যোগদান করেন। থানায় যোগদানের পর থেকে স্থানীয় এমপির প্রোগ্রামে ব্যতীত তার চেহারা তেমন একটা দেখেনি চাটখিলের বাসিন্দারা। থানা পরিচালনায় তার যোগ্যতা নিয়ে পাওয়া গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।এলাকাবাসীর প্রশ্ন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গিয়াসউদ্দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারবে।