ওইসব সীমিত আয়ের মানুষ যেন কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারেন, সে জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে চাল, ডাল, চিনি, তেল ও পেঁয়াজের মতো কিছু পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করছে।
এক কোটি তালিকাভুক্ত পরিবারে ‘ফ্যামিলি কার্ডে’র মাধ্যমে আগামী রোববার (২০ মার্চ) থেকে পণ্য বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের বাইরে সারা দেশে একযোগে চলবে এই কার্যক্রম।
টিসিবি জানিয়েছে, ইতিমধ্যে এক কোটি পরিবারের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টিসিবি বলছে, আগামী ২০ মার্চ থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের বাইরে সারাদেশে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম একযোগে (১ম পর্ব) শুরু হবে।
এ বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির গণমধ্যমকে বলেন, আগামী ২০ মার্চ থেকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ঢাকা সিটির বাইরে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের প্রথম পর্ব শুরু হবে। ফ্যামিলি কার্ড জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা দিচ্ছেন।
টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ২ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল, ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৩০ টাকা কেজি দরে ২ থেকে ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
কারা পাচ্ছেন ‘ফ্যামিলি কার্ড’?
সূত্র জানায়, করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর নগদ অর্থ সহায়তা পেয়েছেন ৩৮ লাখ ৫০ হাজার সুবিধাভোগী। তাদের সবাই এ ‘ফ্যামিলি কার্ডে’র আওতাভুক্ত হচ্ছেন। এর সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে আরও ৬১ লাখ ৫০ হাজার পরিবার।
কী কী পণ্য পাওয়া যাবে ফ্যামিলি কার্ডে এবং দাম কত?
টিসিবি জানিয়েছে, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে একসঙ্গে দুই লিটার ভোজ্যতেল, দুই কেজি চিনি, দুই কেজি ছোলা, দুই কেজি মসুর ডাল ও পাঁচ কেজি পেঁয়াজের প্যাকেট দেওয়া হবে।
প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৬৫ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ টাকা দরে বিক্রি করবে টিসিবি। তবে ছোলার দাম এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
একজন কার্ডধারী কতবার পণ্য পাবেন?
প্রত্যেক কার্ডধারী রোজার আগে এবং রোজার মধ্যে দুই দফায় পণ্য পাবেন। প্রথম কিস্তির পণ্য পাবেন ২০ মার্চ থেকে। দ্বিতীয় কিস্তির পণ্য দেওয়া হবে রোজার মাঝামাঝি সময়ে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জানান, স্বল্প আয়ের মানুষ যেন কম দামে পণ্য কিনতে পারে, সে জন্য ১ কোটি মানুষকে সরকার বিশেষ কার্ড দেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যখন পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তখন আমাদের খুব বেশি কিছু করার থাকে না। কিছু তো কম্প্রোমাইজ করতে হয়।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা টার্গেট করেছি, ১ কোটি মানুষকে আমরা স্পেশাল কার্ড দেব। যেটা দিয়ে তারা ন্যায্যমূল্যে জিনিস কিনতে পারবেন। যে ৩৮ লাখকে আমরা টাকা দিচ্ছি তারা তো থাকবেই, তার বাইরে আরও ১ কোটি লোককে দেব। তা ছাড়া ৫০ লাখ মানুষকে একটি কার্ড দেওয়া আছে, যার মাধ্যমে তারা মাত্র ১০ টাকায় চাল কিনতে পারছেন।
সংবাদ সূত্র: সময়ের কন্ঠস্বর