মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এই জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে আদালতের কার্যক্রম যতক্ষণ চলবে ততক্ষণ ওসির কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। তবে পুলিশের পরিদর্শক রওশন আলী জরিমানার এক টাকা পরিশোধ করেছেন। পরে আদালতের পেশকার হেমন্ত বর্মণ সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকাটি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমাও করেছেন। রাজশাহী সাইবার আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ওসি রওশন আলী আগে পাবনা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ সালে ৬ আগস্ট নিরাপদ সড়ক চাই-এর আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এক যুবককে আটক করেন এবং তখন তিনি একটি মামলা করেন। এই মামলায় অন্য সব সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। তবে ইনফরমেন্ট সাক্ষী হিসেবে ওসি রওশন আলীকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য পর পর ছয়বার আদালত থেকে সমন পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি। পরে আদালত রওশন আলীর মোবাইলের হোয়াটস অ্যাপে আদালতের সমনের ছবি পাঠান। এতেও কোনো উত্তর না দিয়ে তিনি সাক্ষ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। এর ফলে মামলার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তাই গত ২৬ জানুয়ারি তাকে একটি কারণ দর্শানোর একটি নোটিশ পাঠান আদালত। কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? তা জানতে চেয়ে ওই নোটিশ পাঠানো হয়। এরপর মামলার নির্ধারিত দিনে মঙ্গলবার আদালতে হাজির হন ওসি। এ সময় তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে আগেও সমন অবজ্ঞা করার রেকর্ড থাকায় এবং তার মধ্যে কোনো অনুশোচনা না থাকার কারণে আদালত ন্যায় বিচারের স্বার্থে ওসিকে জরিমানা করেন।
সংবাদ সূত্র : ইত্তেফাক