আবু ছালেক:
মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের পল্লী চেতনা সংস্থার আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২২ উৎযাপন করা হয়েছে।পল্লী চেতনা সংস্থা বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকুলীয় সাতক্ষীরা জেলায় প্রান্তিক ভূমিহীন জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ১৯৯২ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন অন্যতম। তারই আলোকে এফসিডিও এর অর্থায়নে ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত পল্লী চেতনা APLE প্রকল্পের আওতায় গোবরদাড়ী জোড়দিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২২ উপলক্ষে এক বর্নাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই অগ্রগণ্য”নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ সহিদুর রহমান, এছাড়া আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন গোবরদাড়ী জোড়দিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুনীল কুমার সানা, সহকারী প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ বন্ধু ঘোষ, সহকারী শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান, অতনু কুমার মিত্র, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আঃ লাহেল বাকী, সহকারি শিক্ষক সোয়ায়েব হোসেন দুদু, পল্লী চেতনা সংস্থার প্রকল্প সমন্বয়কারী এস.এম.এম আকমল হুদা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ সহিদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন- নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সমাজের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। এছাড়া তিনি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। এ ছাড়া তিনি আরো বলেন টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’ দিবসের এই প্রতিপাদ্যটিকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৯(৩) অনুচ্ছেদে জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। নারীদের যথার্থ মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকার নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।দেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে সহযাত্রী হিসেবে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন, একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব গড়ার কাজে পুরুষের মতো সমান অবদান রাখার প্রত্যয় নিয়ে নারীর এগিয়ে চলা আগামীতে আরো বেগবান হবে।সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শেখ আতাউর রহমান।