ঢাকা ০৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের ক্রিকেট পাড়ায় বর্তমানে আলোচনার নাম সাকিব আল হাসান

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৯:৫৩:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • ২৫৪ জন পড়েছেন ।

বিগত কয়েকবছর যাবত সাকিব আল হাসান আলোচনায় থাকতেন তার ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দিয়ে। কিন্তু ইদানীং সেই সাকিব কে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন ভূমিকায়, একের পর এক ঘটিয়ে যাচ্ছেন ভিন্ন ভিন্ন ঘটনা। বাংলাদেশের পোষ্টারবয় খ্যাত সাকিব আল হাসান। ইতিমধ্যে তার ব্যাবসায়ীক হাত কে বহুগুনে এগিয়ে নিয়েছেন। জড়িয়েছেন বিভিন্ন ব্যাবসায়। সমপ্রতি দেখা গেছে জাতিয় দলের বায়োবাবল উপেক্ষা করে গিয়েছেন বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ে আবার কখনো গিয়েছেন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান উদ্ধধন করতে। সাকিবের এসকল কার্যক্রম দেখে অনেকেই বলছেন তাহলে কি সাকিব ক্রিকেট থেকে ব্যাবসা কে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন.? সাকিব কে বর্তমানে যেটা বেশি আলোচনায় রেখেছে সেটা হলো সাকিবের বার বার ছুটি। বাংলাদেশের ক্রিকেটে সর্বাধিক আলোচিত বিষয়ের তালিকা করলে তাতে ‘সাকিব আল হাসানের ছুটি’ অবধারিতভাবেই ওপরের দিকে থাকবে। গত কয়েক বছরে এটাই রীতি হয়ে গেছে যে সাকিব কয় দিন পরপর এই সিরিজ ওই সিরিজ থেকে ছুটি চাইবেন। সেটা নিয়ে অনেক আলোচনা–সমালোচনা হবে। তবে শেষ দৃশ্য একটাই—সাকিবের ছুটি মঞ্জুর। এবারের ঘটনাপ্রবাহের শেষটাও সে রকমই হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান যদিও কাল কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন, অতীত কিন্তু নতুন কিছুর সম্ভাবনা বলছে না। বরং এবার সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা না যাওয়ার যে কারণ জানিয়েছেন, সেটি আগের সব বারের চেয়ে বেশি যৌক্তিক। একজন খেলোয়াড় যদি বলেন, তিনি খেলার মতো মানসিক ও শারীরিক অবস্থায় নেই, তাঁকে জোর করে কীভাবে মাঠে নামাবে বিসিবি? ভালো খেলার দায়বদ্ধতাও তো তখন আর সাকিবের থাকবে না! পরশু রাতে দুবাই যাওয়ার আগে সাকিব বিমানবন্দরে বলেছেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে এখন যে অবস্থায় আছেন, তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়া ঠিক হবে না বলেই তাঁর মনে হচ্ছে।

তিনি সামর্থ্যের সবটুকু দিতে পারবেন না। আফগানিস্তান সিরিজটা তো উপভোগ করেনইনি, বরং দলে নিজেকে নাকি তাঁর মনে হয়েছে শুধুই একজন ‘প্যাসেঞ্জার’! আইপিএলের নিলামের আগেই বিসিবিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে না যাওয়ার কথা বলেছিলেন সাকিব। কিন্তু নিলামে কোনো দল তাঁকে না নিলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। প্রথমে মৃদু আপত্তির পর শেষ পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন বলেই জানিয়েছিলেন সাকিব। সে কারণেই তাঁকে রেখে দল ঘোষণা। কিন্তু এখন সাকিবের মনে হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজটা না খেললে অবসাদ কাটিয়ে মানসিকভাবে চাঙা হওয়ার সুযোগ পাবেন। তখন টেস্ট সিরিজটা ঠিকঠাক খেলতে পারবেন। সাকিব এমনও বলেছেন, সেরা অবস্থানে না থেকেও দলের সঙ্গী হওয়াটা সতীর্থদের সঙ্গে প্রতারণা মনে হচ্ছে তাঁর কাছে।

নিজের মানসিক অবস্থা নিয়ে তিনি বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসের সঙ্গেও কথা বলেছেন। জালাল ইউনুস সাকিবকে চিন্তা করার সময় দিয়েছেন। সাকিব দুবাই থেকে ফিরলে এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। তার মানে সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা যাবেন কি যাবেন না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াটা এখনো শেষ হয়নি। দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা হিসেবে বিসিবি যদি শেষ পর্যন্ত বলে, দলের স্বার্থে সাকিবকে যেতেই হবে, তিনি হয়তো যাবেন। কিন্তু সেই যাওয়াটা কেমন হবে, সেটি না বললেও চলছে। অস্ত্রোপচারের টেবিলে না হয় রোগীর ভালোর জন্যই রোগীকে জোর করে নেওয়া যায়, কিন্তু এটা তো খেলার মাঠ! খেলোয়াড়ের মধ্যেই যদি মাঠে নামার মানসিক শক্তি না থাকে, তিনি শারীরিকভাবে তৈরি না থাকেন, কী দিয়ে খেলবেন সেই খেলোয়াড়! বিসিবি সভাপতি অবশ্য কাল তাঁর বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের বলা কারণটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলে সে আইপিএল খেলত কীভাবে? যদি ওকে আইপিএলে নিত, তাহলে বলত আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত?’ অর্থাৎ সাকিব যে কারণ দেখিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে চাইছেন না, সেটি তাঁদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না।

২০২২ সালের টি২০ বিশ্বকাপ, ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ কে সামনে রেখেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবং বিসিবির এহন কর্মকাণ্ড কি আদৌ ভালো কিছুর ইংগিত করে.?? গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে চাই সকল অশান্তির অবসান।

 

লেখক :  মো: সালাউদ্দীন শাহিন

ক্রিকেট এনালাইসার ও স্ক্রিপ্ট রাইটার ক্রিকএবিসি ঢাকা।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

বাংলাদেশের ক্রিকেট পাড়ায় বর্তমানে আলোচনার নাম সাকিব আল হাসান

পোস্ট করা হয়েছে : ০৯:৫৩:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২

বিগত কয়েকবছর যাবত সাকিব আল হাসান আলোচনায় থাকতেন তার ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দিয়ে। কিন্তু ইদানীং সেই সাকিব কে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন ভূমিকায়, একের পর এক ঘটিয়ে যাচ্ছেন ভিন্ন ভিন্ন ঘটনা। বাংলাদেশের পোষ্টারবয় খ্যাত সাকিব আল হাসান। ইতিমধ্যে তার ব্যাবসায়ীক হাত কে বহুগুনে এগিয়ে নিয়েছেন। জড়িয়েছেন বিভিন্ন ব্যাবসায়। সমপ্রতি দেখা গেছে জাতিয় দলের বায়োবাবল উপেক্ষা করে গিয়েছেন বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ে আবার কখনো গিয়েছেন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান উদ্ধধন করতে। সাকিবের এসকল কার্যক্রম দেখে অনেকেই বলছেন তাহলে কি সাকিব ক্রিকেট থেকে ব্যাবসা কে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন.? সাকিব কে বর্তমানে যেটা বেশি আলোচনায় রেখেছে সেটা হলো সাকিবের বার বার ছুটি। বাংলাদেশের ক্রিকেটে সর্বাধিক আলোচিত বিষয়ের তালিকা করলে তাতে ‘সাকিব আল হাসানের ছুটি’ অবধারিতভাবেই ওপরের দিকে থাকবে। গত কয়েক বছরে এটাই রীতি হয়ে গেছে যে সাকিব কয় দিন পরপর এই সিরিজ ওই সিরিজ থেকে ছুটি চাইবেন। সেটা নিয়ে অনেক আলোচনা–সমালোচনা হবে। তবে শেষ দৃশ্য একটাই—সাকিবের ছুটি মঞ্জুর। এবারের ঘটনাপ্রবাহের শেষটাও সে রকমই হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান যদিও কাল কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন, অতীত কিন্তু নতুন কিছুর সম্ভাবনা বলছে না। বরং এবার সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা না যাওয়ার যে কারণ জানিয়েছেন, সেটি আগের সব বারের চেয়ে বেশি যৌক্তিক। একজন খেলোয়াড় যদি বলেন, তিনি খেলার মতো মানসিক ও শারীরিক অবস্থায় নেই, তাঁকে জোর করে কীভাবে মাঠে নামাবে বিসিবি? ভালো খেলার দায়বদ্ধতাও তো তখন আর সাকিবের থাকবে না! পরশু রাতে দুবাই যাওয়ার আগে সাকিব বিমানবন্দরে বলেছেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে এখন যে অবস্থায় আছেন, তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়া ঠিক হবে না বলেই তাঁর মনে হচ্ছে।

তিনি সামর্থ্যের সবটুকু দিতে পারবেন না। আফগানিস্তান সিরিজটা তো উপভোগ করেনইনি, বরং দলে নিজেকে নাকি তাঁর মনে হয়েছে শুধুই একজন ‘প্যাসেঞ্জার’! আইপিএলের নিলামের আগেই বিসিবিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে না যাওয়ার কথা বলেছিলেন সাকিব। কিন্তু নিলামে কোনো দল তাঁকে না নিলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। প্রথমে মৃদু আপত্তির পর শেষ পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন বলেই জানিয়েছিলেন সাকিব। সে কারণেই তাঁকে রেখে দল ঘোষণা। কিন্তু এখন সাকিবের মনে হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজটা না খেললে অবসাদ কাটিয়ে মানসিকভাবে চাঙা হওয়ার সুযোগ পাবেন। তখন টেস্ট সিরিজটা ঠিকঠাক খেলতে পারবেন। সাকিব এমনও বলেছেন, সেরা অবস্থানে না থেকেও দলের সঙ্গী হওয়াটা সতীর্থদের সঙ্গে প্রতারণা মনে হচ্ছে তাঁর কাছে।

নিজের মানসিক অবস্থা নিয়ে তিনি বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসের সঙ্গেও কথা বলেছেন। জালাল ইউনুস সাকিবকে চিন্তা করার সময় দিয়েছেন। সাকিব দুবাই থেকে ফিরলে এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। তার মানে সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা যাবেন কি যাবেন না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াটা এখনো শেষ হয়নি। দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা হিসেবে বিসিবি যদি শেষ পর্যন্ত বলে, দলের স্বার্থে সাকিবকে যেতেই হবে, তিনি হয়তো যাবেন। কিন্তু সেই যাওয়াটা কেমন হবে, সেটি না বললেও চলছে। অস্ত্রোপচারের টেবিলে না হয় রোগীর ভালোর জন্যই রোগীকে জোর করে নেওয়া যায়, কিন্তু এটা তো খেলার মাঠ! খেলোয়াড়ের মধ্যেই যদি মাঠে নামার মানসিক শক্তি না থাকে, তিনি শারীরিকভাবে তৈরি না থাকেন, কী দিয়ে খেলবেন সেই খেলোয়াড়! বিসিবি সভাপতি অবশ্য কাল তাঁর বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের বলা কারণটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলে সে আইপিএল খেলত কীভাবে? যদি ওকে আইপিএলে নিত, তাহলে বলত আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত?’ অর্থাৎ সাকিব যে কারণ দেখিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে চাইছেন না, সেটি তাঁদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না।

২০২২ সালের টি২০ বিশ্বকাপ, ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ কে সামনে রেখেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবং বিসিবির এহন কর্মকাণ্ড কি আদৌ ভালো কিছুর ইংগিত করে.?? গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে চাই সকল অশান্তির অবসান।

 

লেখক :  মো: সালাউদ্দীন শাহিন

ক্রিকেট এনালাইসার ও স্ক্রিপ্ট রাইটার ক্রিকএবিসি ঢাকা।