কলকাতা থেকে মনোয়ার ইমাম
আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকার ছোট মেয়ে আফিসা প্রতিদিনের মতো ছোট বাচ্চাদের সাথে খেলা করছিল। হঠাৎ ছোট বাচ্চা মেয়ে আফিসার উপর নজর পড়ে ডিউটিরত এক পুলিশ অফিসারের। তিনি তার এক সঙ্গী পুলিশ কর্মচারী কে নিয়ে ঐ ছোট আফিসা কে তুলে নিয়ে যায় একটি মন্দিরের মধ্যে। এবং সেখানে মন্দিরের পুরহিত ও তার পুত্র মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেন। অন্যদিকে ছোট আফিসা কে খুজতে বের হয় ঐ এলাকার মেষপালকদের দল সহ আফিসার পরিবারের লোকজন জন। কিন্তু অনেক খোঁজ নেওয়া র তাকে পাওয়া যায়নি।
ঠিক তখনই আফিসা কে বন্ধ মন্দিরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের ঐ পুলিশ অফিসার ও তার সাথী এবং মন্দিরের পুরোহিত ও তার পুত্র মিলে পাশবিক অত্যাচার চালায় ও ছোট আফিসা কে তিন দিন মন্দিরের মধ্যে রেখে পালা করে ধর্ষণ করে। এবং আহত আফিসা কে গলা টিপে মেরে ফেলে।
এবং তার পর তাকে মন্দিরের কাছে একটি জঙ্গলে ফলে দেয়। এই ঘটনার কথা জানাজানি হলে মন্দিরের পুরোহিত ও ঐ পুলিশ অফিসারের শাস্তি র দাবিতে গোটা জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। এবং আফিসা কেস কে ধামা চাপা দিতে মাঠে নামেন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বি জে পি নেতৃত্ব। এবং আফিসার পরিবারের হয়ে কাউকে কোটের মধ্যে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন রাজ্য বি জে পি নেতৃত্ব। কিন্তু মৃত আফিসার পরিবারের পক্ষে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আইনের লড়াই চালিয়ে একবছর পর আফিসার ন্যায় ও ইনসাফ পাইয়ে দিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের আইনজীবী শ্রীমতী দীপিকা সিঙ।। এবং এই আফিসা কেসের মোট ছয়জন কে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দিয়েছেন ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের দায়রা আদালত।