ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দেশের প্রথম ভাষা শহিদকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৯:৫৯:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৩৯৬ জন পড়েছেন ।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

৭২বছর পর দেশের প্রথম ভাষা শহীদ সাতক্ষীরার আনোয়ার হোসেনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপ্পীর সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.কামরুজ্জামানের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, হাফিজুর রহমান মাছুম, আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেন, মানবাধিকার কর্মী মাধব দত্ত, ভাষা শহীদ আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষন কমিটির সভাপতি সচ্চিদানন্দ দে সদয়, সাধারণ সম্পাদক ও আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসকে হাসান, প্রথম আলো বন্ধু সভা সাতক্ষীরার সভাপতি রবিউল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম অন্তর, প্রজ্ঞাসহ আরও অনেকে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘১৯৩০ সালে বুধহাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আনোয়ার হোসেন। বাবা ছিলেন কনুই গাজী ও মা পরীজান বিবি। তিন ভাইয়ের মধ্যে আনোয়ার হোসেন বড়। বুধহাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন আনোয়ার। পরে বুধহাটা বি.বি.এম কলেজিয়েট বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার একপর্যায়ে খুলনা জেলা স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৪৬ সালে মেট্রিক পাস করেন।

এরপর খুলনার বিএল কলেজে পড়াকালীন সময়ে যোগ দেন ভাষা আন্দোলনে। আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ খুলনার তৎকালিন গান্ধী পার্কে (বর্তমানে হাদীস পার্ক) ভাষা আন্দোলনের পক্ষে ইস্তেহার পাঠ করার পর আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। বক্তারা আরও বলেন, গ্রেফতারের কয়েকদিন পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে ভাষা আন্দোলনের মিছিল থেকে ১৯৪৯ সালে পুলিশ তাকে আবারও গ্রেফতার করে।

রাখা হয় খুলনার কোতয়ালী থানায়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজশাহী কারাগারে। সেখানে পাকিস্তান সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়ণের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় ১৯৫০ সালে ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলে খাপড়া ওয়ার্ডে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় আনোয়ারকে। সেই গুলিতে নিহত হন আরও ছয়জন।’ বক্তারা দাবি জানিয়ে বলেন, ‘ইতিহাসের পাতায় আনোয়ার হোসেনের নাম থাকলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাষা সৈনিক বা ভাষা শহীদ হিসেবে কোন স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আমরা সাতক্ষীরাবাসী দেশের প্রথম এই ভাষা শহীদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃত ইতিহাস জেনে দাবি বাস্তবায়ন করতে স্বোচ্চার হওয়ার আহব্বান করছি।’

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

দেশের প্রথম ভাষা শহিদকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

পোস্ট করা হয়েছে : ০৯:৫৯:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

৭২বছর পর দেশের প্রথম ভাষা শহীদ সাতক্ষীরার আনোয়ার হোসেনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপ্পীর সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.কামরুজ্জামানের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, হাফিজুর রহমান মাছুম, আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেন, মানবাধিকার কর্মী মাধব দত্ত, ভাষা শহীদ আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষন কমিটির সভাপতি সচ্চিদানন্দ দে সদয়, সাধারণ সম্পাদক ও আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসকে হাসান, প্রথম আলো বন্ধু সভা সাতক্ষীরার সভাপতি রবিউল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম অন্তর, প্রজ্ঞাসহ আরও অনেকে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘১৯৩০ সালে বুধহাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আনোয়ার হোসেন। বাবা ছিলেন কনুই গাজী ও মা পরীজান বিবি। তিন ভাইয়ের মধ্যে আনোয়ার হোসেন বড়। বুধহাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন আনোয়ার। পরে বুধহাটা বি.বি.এম কলেজিয়েট বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার একপর্যায়ে খুলনা জেলা স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৪৬ সালে মেট্রিক পাস করেন।

এরপর খুলনার বিএল কলেজে পড়াকালীন সময়ে যোগ দেন ভাষা আন্দোলনে। আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ খুলনার তৎকালিন গান্ধী পার্কে (বর্তমানে হাদীস পার্ক) ভাষা আন্দোলনের পক্ষে ইস্তেহার পাঠ করার পর আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। বক্তারা আরও বলেন, গ্রেফতারের কয়েকদিন পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে ভাষা আন্দোলনের মিছিল থেকে ১৯৪৯ সালে পুলিশ তাকে আবারও গ্রেফতার করে।

রাখা হয় খুলনার কোতয়ালী থানায়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজশাহী কারাগারে। সেখানে পাকিস্তান সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়ণের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় ১৯৫০ সালে ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলে খাপড়া ওয়ার্ডে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় আনোয়ারকে। সেই গুলিতে নিহত হন আরও ছয়জন।’ বক্তারা দাবি জানিয়ে বলেন, ‘ইতিহাসের পাতায় আনোয়ার হোসেনের নাম থাকলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাষা সৈনিক বা ভাষা শহীদ হিসেবে কোন স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আমরা সাতক্ষীরাবাসী দেশের প্রথম এই ভাষা শহীদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃত ইতিহাস জেনে দাবি বাস্তবায়ন করতে স্বোচ্চার হওয়ার আহব্বান করছি।’