ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার শুরু, খুশি জনগন

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ১২:৪১:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ২২৬ জন পড়েছেন ।

আবু ছালেক; মঙ্গলবার থেকে শুরু হল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার শুরু, খুশি জনগন। দির্ঘদিন পর ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের নের্তৃত্বে শুরু হল গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম, প্রথমদিন গ্রাম আদালতের বিচার কার্যক্রম চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানকে সহযোগিতা করেন সচিব জাহাঙ্গীর আলম,মেম্বর সাংবাদিক মো: আবু ছালেক,ইউছুপ সরদার,আরশাদ আলী,মাহফুজ সরদার,আবু সাঈদ মোল্যা,আ: হামিদ খান,আ: রাজ্জাক, দিপংকর ঘোষ,রত্না রানী,সালমা খাতুন, জানা গেছে প্রাচীনকাল থেকেই এদেশে পঞ্চায়েত নামে যে সংস্থা প্রচলিত ছিল।তার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ছিল স্থানীয় বিচার কার্য সম্পাদন ও ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসা করা। বৃটিশরা যদিও প্রথমে এ দায়িত্ব স্থানীয় সংস্থার উপর অর্পন করেনি কিন্তু বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগেই ১৯১৯ সালে বঙ্গীয় পল্লী স্বায়ওশাসন আইনের মাধ্যামে ইউনিয়ন র্বোডকে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় প্রকার মামলার বিচার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়, আমাদের মোট জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ গ্রামে বাস করে। এ জনগোষ্ঠীর একটি ব্যাপক অংশ দরিদ্র, নিরক্ষর এবং তারা আধুনিক বিচার ব্যবস্থা সর্ম্পকে ওয়াকিবহাল নয়। সবচেয়ে বড় কথা, এ দরিদ্র জনসাধারনের পক্ষে শহরে গিয়ে দীর্ঘদিন মামলা-মোকদ্দমা চালানো অত্যান্ত কঠিন এবং ব্যয়বহুল ব্যাপার ।সুতরাং গ্রাম পর্যায়ে যদি ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসা বা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা থাকে, তাহলে তারা অনেক বিড়ম্বনা ও খরচের হাত থেকে রক্ষা পায় । দ্রুত বিচার কার্যের ফলে ঝগড়া বিবাদের তীব্রতা ও ব্যাপকতা বহুলাংশে কমে যায় এবং গ্রামীন সমাজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করে । বর্তমানে বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে গ্রাম আদালত । গ্রামাঞ্চলের কিছু কিছু মামলার নিষ্পত্তি এবংতৎসর্ম্পকীয় বিষয়াবলীর বিচার সহজলভ্য করার উদ্দেশো গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এর আওয়তায় এ আদালত গঠিত হয় এবং এটি একটি মীমাংসামুলক আদালত । ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা যেহেতু এলাকার সম্মানিত ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধি সেহেতু তাদের দ্বারা আসল ঘটনার সত্যতা যাচাই করে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করাই গ্রাম আদালতের উদ্দেশ্য । আর এ উদ্দ্যেশ্যকে সফল করতে ফিংড়ীতে চালু হল গ্রাম আদালত। গ্রাম আদালতের বিচারে ব্যাপক ভাবে খুশি হল ফিংড়ীর জনগন

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার শুরু, খুশি জনগন

পোস্ট করা হয়েছে : ১২:৪১:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আবু ছালেক; মঙ্গলবার থেকে শুরু হল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার শুরু, খুশি জনগন। দির্ঘদিন পর ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের নের্তৃত্বে শুরু হল গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম, প্রথমদিন গ্রাম আদালতের বিচার কার্যক্রম চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানকে সহযোগিতা করেন সচিব জাহাঙ্গীর আলম,মেম্বর সাংবাদিক মো: আবু ছালেক,ইউছুপ সরদার,আরশাদ আলী,মাহফুজ সরদার,আবু সাঈদ মোল্যা,আ: হামিদ খান,আ: রাজ্জাক, দিপংকর ঘোষ,রত্না রানী,সালমা খাতুন, জানা গেছে প্রাচীনকাল থেকেই এদেশে পঞ্চায়েত নামে যে সংস্থা প্রচলিত ছিল।তার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ছিল স্থানীয় বিচার কার্য সম্পাদন ও ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসা করা। বৃটিশরা যদিও প্রথমে এ দায়িত্ব স্থানীয় সংস্থার উপর অর্পন করেনি কিন্তু বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগেই ১৯১৯ সালে বঙ্গীয় পল্লী স্বায়ওশাসন আইনের মাধ্যামে ইউনিয়ন র্বোডকে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় প্রকার মামলার বিচার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়, আমাদের মোট জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ গ্রামে বাস করে। এ জনগোষ্ঠীর একটি ব্যাপক অংশ দরিদ্র, নিরক্ষর এবং তারা আধুনিক বিচার ব্যবস্থা সর্ম্পকে ওয়াকিবহাল নয়। সবচেয়ে বড় কথা, এ দরিদ্র জনসাধারনের পক্ষে শহরে গিয়ে দীর্ঘদিন মামলা-মোকদ্দমা চালানো অত্যান্ত কঠিন এবং ব্যয়বহুল ব্যাপার ।সুতরাং গ্রাম পর্যায়ে যদি ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসা বা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা থাকে, তাহলে তারা অনেক বিড়ম্বনা ও খরচের হাত থেকে রক্ষা পায় । দ্রুত বিচার কার্যের ফলে ঝগড়া বিবাদের তীব্রতা ও ব্যাপকতা বহুলাংশে কমে যায় এবং গ্রামীন সমাজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করে । বর্তমানে বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে গ্রাম আদালত । গ্রামাঞ্চলের কিছু কিছু মামলার নিষ্পত্তি এবংতৎসর্ম্পকীয় বিষয়াবলীর বিচার সহজলভ্য করার উদ্দেশো গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এর আওয়তায় এ আদালত গঠিত হয় এবং এটি একটি মীমাংসামুলক আদালত । ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা যেহেতু এলাকার সম্মানিত ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধি সেহেতু তাদের দ্বারা আসল ঘটনার সত্যতা যাচাই করে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করাই গ্রাম আদালতের উদ্দেশ্য । আর এ উদ্দ্যেশ্যকে সফল করতে ফিংড়ীতে চালু হল গ্রাম আদালত। গ্রাম আদালতের বিচারে ব্যাপক ভাবে খুশি হল ফিংড়ীর জনগন