দাদীর সঙ্গে স্থানীয় লাইব্রেরিতে হাজির হয় ডিলন। হাতে তার লেখা একটি লাল নোটবুক। সেই নোটবুকেই সে লিখে ফেলেছে গোটা একটা উপন্যাস। নাম দিয়েছে, ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব ডিলনস ক্রিসমাস’। ৮৮ পৃষ্ঠার এই নোটবুক নিয়েই দাদীর সঙ্গে লাইব্রেরিতে ঘোরাঘুরি করছিল ডিলন। হঠাতই মাথায় এল বুদ্ধি। দুম করে তার এই নোটবুক সে রেখে দিল লাইব্রেরির চিলড্রেন্স বিভাগে। এমনকী, পাশে থাকা দাদীও তা টের পেলেন না।
প্রায় দু’ দিন বাদে দাদীকে গোটা ঘটনাটি জানাল ডিলন। দাদী শুনে তো হতবাক! নোটবুক আনতে সোজা দৌড় লাইব্রেরিতে। বইটির খোঁজ করতে গিয়েই আসল তথ্য এল সামনে। এই বই পড়ার জন্য লম্বা লাইন। লাইব্রেরির খাতায় অগ্রিম বুকিংয়ের তালিকাও বেশ লম্বা। সব মিলিয়ে রাতারাতি এই বই পড়ার হিড়িক নানা বয়সের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ব্যাপারটা যে এরকম ঘটবে, তা আগে আন্দাজও করতে পারেননি ডিলনের পরিবার। আর এখন তো ডিলন ও তার নোটবুক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেস্ট সেলার!
এত ছোট বয়সে বই লিখে রাতারাতি দারুণ জনপ্রিয়। এমনকী, সেরা ইয়ং রাইটারের ‘হুডিনি পুরস্কার’ও জিতে নিল ছোট্ট ডিলন। তবে এর নেপথ্যে রয়েছে দারুণ এক মজার ঘটনা!