জেমস রহিম রানা: যশোরে টিসিবির ডিলারদের অভিযোগ চাহিদার তুলনায় মাল কম দেওয়া হচ্ছে। ফলে ক্রেতাদের টিসিবির পন্যের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ঝিনাইদহের টিসিবির কার্যালয় ও যশোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, যশোরে টিসিবির পণ্য বেচাকেনা ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। জানা যায়, গত ২৭ জানুয়ারি থেকে গত ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ ছিল। সেটা চালু হয়েছে ৩ ফেব্রুয়ারি। বিক্রি চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর পর কবে চালু হবে সেটার নির্দেশনা দেবে ঢাকা অফিস থেকে। এদিকে ডিলারদের অভিযোগ, গতবছরের তুলনায় এবছর মাল কম দেয়া হচ্ছে। সেই সাথে একজন ডিলার মাসের একবার করে গাড়িতে করে বিক্রি করছে। এতে করে তারা ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। আতিক শেখ নামে এক ডিলার জানান, গতবছর তারা তেল পেয়েছে ১ হাজার থেকে ১২শ’ লিটার তেল ৫শ’ থেকে ৬শ’ কেজি ডাল, চিনি পেতো। সেই মালে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে পারতো। বর্তমানে ডিলার বেড়ে যাওয়ায় টিসিবির মাল পরিমানে অনেক কম দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে একজন ডিলার মাসে একবার করে গাড়িতে করে চিনি ডাল, তেল বিক্রি করছে। এ কারণে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী মালামাল দিতে পারছে না। একই কথা জানান নুর ইসলাম নামে আরেক ডিলার। তবে ডিলারদের অভিযোগ তাদের ওপর বেশি করে বিদেশি পেঁয়াজ চাপিয়ে দেয়ার কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ বাজারে দেশী পেঁয়াজ যেখানে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি সেখানে টিসিবির পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। ফলে কোনো ক্রেতা নিম্নমানের পেঁয়াজ কিনতেই চান না। যশোরের টিসিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে সদরে ২৭ জন টিসিবির ডিলার আছে। প্রতিদিন সদরে একজন করে ডিলার পিকআপে করে মাল বিক্রি করে। সেই সাথে কেশবপুর ও অভয়নগর বাদে বাকি পাঁচ উপজেলার পর্যায়ক্রমে একজন করে ডিলার দিয়ে মালামাল বিক্রি করানো হয়। ডিলার বেশি হওয়ায় আনুপাতিক হারে তেল, ডাল, চিনি একটু কম পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে গত বছরের তুলনায় এবার মানুষের সংকটময় পরিস্থিতি নেই। সে কারণে মালামাল হয়তো কম নিচ্ছে। কেন কম দেয়া হচ্ছে এটা বলতে পারবে টিসিবির ঢাকা অফিস। তাদের নির্দেশনানুযায়ী টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সেখান থেকে যে নির্দেশনা আসে, সেটা মানা হয়। টিসিবির যুগ্ম পরিচালক ও ঢাকার আঞ্চলিক কার্যালয়ের তথ্য কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, ডিলারদের মালামাল কম দেয়া হচ্ছে। কথা ঠিক নয়। মালামাল পর্যাপ্ত আছে। চাহিদা অনুযায়ী ডিলারদের মালামাল দেয়া হচ্ছে। রমজান মাসে পর্যাপ্ত মালামাল দেয়া হবে। মানুষের কোনো সংকট থাকবে না।