ঢাকা ১২:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ নয়নতারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে দোয়েল মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে হরিণের মাংস সহ আটক দুই সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত খুলনা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপ-পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে তরুন দলের কমিটি গঠন সভাপতি সুলতান,সম্পাদক আলতাপ পানি নিষ্কাশনে ইউএনও,র প্রাণপণ চেষ্টা অব্যহত তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আবারও পানিবন্ধী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপসা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

হাতুড়ি খুঁজতে গিয়ে পেলেন গুপ্তধন, রাতারাতি কোটিপতি বৃদ্ধ!

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০৫:৩১:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৭ জন পড়েছেন ।

আরব্য উপন্যাস ও কল্পকাহিনীতে শোনা যায় গুপ্তধনের কথা। এছাড়া আরও নানাভাবে শোনা যায় অমূল্য এই সম্পদের কথা। তবে বাস্তবেও হয়তো এর দেখা পান কেউ কেউ। তেমনই এক ভাগ্যবান ইংল্যান্ডের এক বৃদ্ধ। খুঁজতে গিয়েছিলেন হারিয়ে যাওয়া একটি হাতুড়ি। তবে হাতে উঠে এসেছিল ১ হাজার ৬০০ বছর আগেকার গুপ্তধন। যার জেরে প্রায় ৩০ বছর আগে রাতারাতি ভাগ্য বদলে গিয়েছিল তার। অবশ্য তখন পর্যন্ত তিনি জানতেন না যে অজান্তেই হাত দিয়ে ফেলেছেন চতুর্থ ও পঞ্চম শতকের রোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে বড় সম্পদে!

১৯৯২ সালের ১৬ নভেম্বর ওই বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছিলেন সাফোক কাউন্টির ওক্সন গ্রামের বাসিন্দা এরিক লয়েস।

আনন্দবাজার ডিজিটাল জানিয়েছে, গুপ্তধন পাওয়া বছর পাঁচেক আগে মালির কাজ থেকে অবসর নিয়েছিলেন এরিক লয়েস। অবসরের পর গুপ্তধন খুঁজে বেড়ানোই নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার। সে জন্য ৭০ বছরের লয়েসকে একটি মেটাল ডিটেক্টরও উপহার দিয়েছিলেন স্ত্রী গেটা।

গেটার উপহার দেওয়া মেটাল ডিটেক্টরটির দাম ছিল সাড়ে ৪০০ ডলার। তবে তার সাহায্যেই যে এত ‘ধনপ্রাপ্তি’ হবে তা কে জানতো! ১৯৯২ সালে তার আর্থিক মূল্য ছিল ১৭ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড। স্বাভাবিকভাবেই আজ তার বাজারদর আরও বেশি।

কীভাবে ওই বিপুল সম্পদের খোঁজ পেলেন লয়েস? ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘দ্য সান’ কে লয়েস জানান, একটি হাতুড়িসহ কয়েকটি যন্ত্রপাতি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সেসব খুঁজতেই মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে বাড়ির কাছে একটি মাঠে গিয়েছিলেন। বলেন, মাঠে গিয়ে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছিলাম। মাঠের এক জায়গায় মেটাল ডিটেক্টরে ‘বিপ’ করে শব্দ হতেই মাটি খুঁড়তে শুরু করি। দেখি, কিছুটা নিচে একটা রূপার রোমান মুদ্রা। এক ফুটের মধ্যেই আরও একবার ‘বিপ’ করে শব্দ হয়। এবার বেশ বিকট আওয়াজ। সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি করে কয়েকশ সোনা-রূপার মুদ্রা ও চামচ বের করি।

সম্পদের সন্ধান পেতেই পুলিশ ডেকেছিলেন লয়েস। সংবাদ যায় সাফোক কাউন্টি কাউন্সিলেও। ঘটনাস্থলে ছুটে যান কাউন্সিলের প্রত্নতত্ত্ববিদ জুডিথ প্লভিয়েজ। একটি ওক কাঠের বাক্সে ঠাসা ছিল সোনাদানা-গয়নাগাঁটি। ধনসম্পদ উদ্ধারের পর তা পরিষ্কার করে যাচাই করার জন্য ব্রিটিশ মিউজিয়ামে পাঠানো হয়েছিল।

জুডিথ সেসময় সংবাদমাধ্যমে জানান, সম্পদের আর্থিকমূল্য যাচাই করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এর বাজারদর হয়তো দেড় কোটি পাউন্ড। যদিও ঐতিহাসিকভাবে এটি অমূল্য সম্পদ!

জুডিথের দাবি, প্রায় ১ হাজার ৬০০ বছর আগে রোমান শাসনাধীন ব্রিটেনের কোনো ধনী পরিবার হয়তো একটি বাক্সের ভিতরে ওই ধনসম্পত্তি লুকিয়ে রাখেন।

খ্রিস্টপূর্ব ৪৩ থেকে পরের প্রায় ৪০০ বছর পর্যন্ত রোমানদের দখলে ছিল ব্রিটেন। জুডিথ বলেন, রোমান সাম্রাজ্য সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া যায় তার নিরিখে একে অমূল্য সম্পদ বলে যায়।

তবে বিপুল সম্পদের খোঁজ পেলেও তা সরকারের ঘরেই জমা হয়েছিল। কারণ, যে মাঠটি থেকে লয়েস সম্পদের খোঁজ পেয়েছিলেন, তা সাফোক কাউন্টির মালিকানাধীন ছিল। ফলে রোমান সাম্রাজ্যের বিপুল সম্পদের ঠাঁই হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামে।

ওক্সনের ওই মাঠ থেকে কী কী উদ্ধার হয়েছিল- এ বিষয়ে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি ছোটবাক্সে রোমান সাম্রাজ্যের ১৪ হাজার ৮৬৫টি সোনা-রূপা-ব্রোঞ্জের মুদ্রা রাখা ছিল। এছাড়াও সোনা-রূপার কাটাচামচ, পাত্রসহ প্রায় ২০০টি জিনিসও উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে পুরোপুরি রূপার একটি প্যান্থারের মূর্তি। সোনার চেন, দামি পাথর বসানো কয়েকশ গয়না। এক পাউন্ডেরও বেশি ওজনের চুনি বসানো একটি সোনার হার।

ব্রিটিশ মিউজিয়ামের প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানিয়েছিলেন, ২০২০ সাল পর্যন্ত এর আর্থিকমূল্য ৩৬ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড।

বিপুল ধনসম্পত্তির খোঁজ পাওয়ার পর ব্রিটিশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী অর্থপ্রাপ্তিও ঘটেছিল লয়েসের। ১৯৯২ সালের খোঁড়াখুঁড়ির পর বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রায় ১৫ লাখ ডলারের আশা করতে পারেন তিনি।সংবাদ- জাগো নিউজ

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করি নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ

হাতুড়ি খুঁজতে গিয়ে পেলেন গুপ্তধন, রাতারাতি কোটিপতি বৃদ্ধ!

পোস্ট করা হয়েছে : ০৫:৩১:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আরব্য উপন্যাস ও কল্পকাহিনীতে শোনা যায় গুপ্তধনের কথা। এছাড়া আরও নানাভাবে শোনা যায় অমূল্য এই সম্পদের কথা। তবে বাস্তবেও হয়তো এর দেখা পান কেউ কেউ। তেমনই এক ভাগ্যবান ইংল্যান্ডের এক বৃদ্ধ। খুঁজতে গিয়েছিলেন হারিয়ে যাওয়া একটি হাতুড়ি। তবে হাতে উঠে এসেছিল ১ হাজার ৬০০ বছর আগেকার গুপ্তধন। যার জেরে প্রায় ৩০ বছর আগে রাতারাতি ভাগ্য বদলে গিয়েছিল তার। অবশ্য তখন পর্যন্ত তিনি জানতেন না যে অজান্তেই হাত দিয়ে ফেলেছেন চতুর্থ ও পঞ্চম শতকের রোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে বড় সম্পদে!

১৯৯২ সালের ১৬ নভেম্বর ওই বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছিলেন সাফোক কাউন্টির ওক্সন গ্রামের বাসিন্দা এরিক লয়েস।

আনন্দবাজার ডিজিটাল জানিয়েছে, গুপ্তধন পাওয়া বছর পাঁচেক আগে মালির কাজ থেকে অবসর নিয়েছিলেন এরিক লয়েস। অবসরের পর গুপ্তধন খুঁজে বেড়ানোই নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার। সে জন্য ৭০ বছরের লয়েসকে একটি মেটাল ডিটেক্টরও উপহার দিয়েছিলেন স্ত্রী গেটা।

গেটার উপহার দেওয়া মেটাল ডিটেক্টরটির দাম ছিল সাড়ে ৪০০ ডলার। তবে তার সাহায্যেই যে এত ‘ধনপ্রাপ্তি’ হবে তা কে জানতো! ১৯৯২ সালে তার আর্থিক মূল্য ছিল ১৭ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড। স্বাভাবিকভাবেই আজ তার বাজারদর আরও বেশি।

কীভাবে ওই বিপুল সম্পদের খোঁজ পেলেন লয়েস? ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘দ্য সান’ কে লয়েস জানান, একটি হাতুড়িসহ কয়েকটি যন্ত্রপাতি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সেসব খুঁজতেই মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে বাড়ির কাছে একটি মাঠে গিয়েছিলেন। বলেন, মাঠে গিয়ে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছিলাম। মাঠের এক জায়গায় মেটাল ডিটেক্টরে ‘বিপ’ করে শব্দ হতেই মাটি খুঁড়তে শুরু করি। দেখি, কিছুটা নিচে একটা রূপার রোমান মুদ্রা। এক ফুটের মধ্যেই আরও একবার ‘বিপ’ করে শব্দ হয়। এবার বেশ বিকট আওয়াজ। সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি করে কয়েকশ সোনা-রূপার মুদ্রা ও চামচ বের করি।

সম্পদের সন্ধান পেতেই পুলিশ ডেকেছিলেন লয়েস। সংবাদ যায় সাফোক কাউন্টি কাউন্সিলেও। ঘটনাস্থলে ছুটে যান কাউন্সিলের প্রত্নতত্ত্ববিদ জুডিথ প্লভিয়েজ। একটি ওক কাঠের বাক্সে ঠাসা ছিল সোনাদানা-গয়নাগাঁটি। ধনসম্পদ উদ্ধারের পর তা পরিষ্কার করে যাচাই করার জন্য ব্রিটিশ মিউজিয়ামে পাঠানো হয়েছিল।

জুডিথ সেসময় সংবাদমাধ্যমে জানান, সম্পদের আর্থিকমূল্য যাচাই করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এর বাজারদর হয়তো দেড় কোটি পাউন্ড। যদিও ঐতিহাসিকভাবে এটি অমূল্য সম্পদ!

জুডিথের দাবি, প্রায় ১ হাজার ৬০০ বছর আগে রোমান শাসনাধীন ব্রিটেনের কোনো ধনী পরিবার হয়তো একটি বাক্সের ভিতরে ওই ধনসম্পত্তি লুকিয়ে রাখেন।

খ্রিস্টপূর্ব ৪৩ থেকে পরের প্রায় ৪০০ বছর পর্যন্ত রোমানদের দখলে ছিল ব্রিটেন। জুডিথ বলেন, রোমান সাম্রাজ্য সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া যায় তার নিরিখে একে অমূল্য সম্পদ বলে যায়।

তবে বিপুল সম্পদের খোঁজ পেলেও তা সরকারের ঘরেই জমা হয়েছিল। কারণ, যে মাঠটি থেকে লয়েস সম্পদের খোঁজ পেয়েছিলেন, তা সাফোক কাউন্টির মালিকানাধীন ছিল। ফলে রোমান সাম্রাজ্যের বিপুল সম্পদের ঠাঁই হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামে।

ওক্সনের ওই মাঠ থেকে কী কী উদ্ধার হয়েছিল- এ বিষয়ে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি ছোটবাক্সে রোমান সাম্রাজ্যের ১৪ হাজার ৮৬৫টি সোনা-রূপা-ব্রোঞ্জের মুদ্রা রাখা ছিল। এছাড়াও সোনা-রূপার কাটাচামচ, পাত্রসহ প্রায় ২০০টি জিনিসও উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে পুরোপুরি রূপার একটি প্যান্থারের মূর্তি। সোনার চেন, দামি পাথর বসানো কয়েকশ গয়না। এক পাউন্ডেরও বেশি ওজনের চুনি বসানো একটি সোনার হার।

ব্রিটিশ মিউজিয়ামের প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানিয়েছিলেন, ২০২০ সাল পর্যন্ত এর আর্থিকমূল্য ৩৬ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড।

বিপুল ধনসম্পত্তির খোঁজ পাওয়ার পর ব্রিটিশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী অর্থপ্রাপ্তিও ঘটেছিল লয়েসের। ১৯৯২ সালের খোঁড়াখুঁড়ির পর বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রায় ১৫ লাখ ডলারের আশা করতে পারেন তিনি।সংবাদ- জাগো নিউজ