ইমন
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ প্রতিনিধি
জমি জমা নিয়ে বিরোধ মানুষের জন্ম লগ্ন থেকে। যা এখনো বর্তমান। কালিগঞ্জ উপজেলার সুলপুরের গ্রামের ১৮/৯/২০২৪ তারিখের ঘটনা একটি সুশৃংখল মানবিক সেনাবাহিনীর একজন সদস্য দ্বারা কল্পনাতীত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। কালিগঞ্জ থানা সূত্রের অভিযোগের কাগজ মারফত ও ভিকটিমদের সাথে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কথা বলে জানা যায় যে, মোহাম্মদ আকবর আলী গাজী(৬০) পিতা- মৃত জমাত আলী সুলপুর, কালিগঞ্জ একজন শান্তি প্রিয় মানুষ। তার ও তার পরিবারের উপর নেমে আসে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। তার অপরাধ তিনি তার প্রাপ্য পৈতৃক ও দখলীয় বসতবাড়ির সম্পত্তি নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের কাগজ মতে এক নাম্বার বিবাদী- মোহাম্মদ ফারুক হোসেন পিন্টু(৩৫), পিতা -মৃত আব্দুল খালেক একজন সেনাবাহিনীর সদস্য।
প্রতিদিনের ন্যায় বাদী মোহাম্মদ আকবর আলী গাজী পিতা মৃত জমাত আলী সাং-শুলপুর ও ভিকটিম গন তাদের নিজস্ব বসত বাড়িতে অবস্থান করিতেছিলেন। এমতাবস্থায় বিবাদীপক্ষ মোঃ ফারুক হোসেন পিন্টু, মোহাম্মদ মিঠু, মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, সর্ব পিতা -মৃত আব্দুল খালেক, আব্দুল গফুর, পিতা মৃত জমাত আলি, মোঃ হাসান, পিতা-আব্দুল গফুর, সর্ব সাং- সুলপুর, মোছাম্মদ ওমেলা খাতুন, স্বামী রুহুল কুদ্দুস মোড়ল, শেখ মকবুল হোসেন, পিতা মৃত- মনসুর আলী শেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সকাল ১০.৩০ মিনিটে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। এমতাঅবস্থায় আমার ভাইপো মোঃ হাফিজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ভাইপোর শ্যালক শেখ আখিরুল ইসলাম এবং ভাইপোর শ্যালকের পুত্র শেখ হাসিবুল হাসান গন ইহার কারণ জিজ্ঞাসা ও প্রতিবাদ করিলে শেখ মকবুল হোসেনের হুকুমে সকল বিবাদীগণ আমাদের উপরে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাহাতে মোহাম্মদ ফারুক হোসেন এর রামদার আঘাতে হাফিজুল ইসলামের মাথার ডান পাশের কপালে গুরুতর হাড় কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। মোহাম্মদ মিঠুর হাতে থাকা দায়ের আঘাতে সিরাজুল ইসলামের মাথার বিভিন্ন স্থানে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আব্দুল হান্নানের হাতে থাকা শাবলের আঘাতে আখিরুল ইসলামের শাহাদাত আঙ্গুল রক্তাক্ত জখম হয় এবং নখ উঠে যায়। আব্দুল গফুর তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হাসিবুল হাসানের মাথায় আঘাত করে জখম করে এবং মোহাম্মদ হাসান একই কায়দায় লাঠি দিয়ে হাসিবুল হাসানকে আঘাত করে সেই আঘাতে তার কোনুই ও কবজিতে রক্তাক্ত জখম হয়। অতঃপর ভিকটিম দের ডাক চিৎকারে বাড়ির অন্যান্য সদস্য ও সাক্ষী বৃন্দ তাদেরকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুমূর্ষ্য অবস্থায় ভর্তি করে। গণমাধ্যম কর্মী কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ভিকটিমদের ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে থানার অভিযোগের কপি নিয়ে দেখা করলে তারা বলেন, আমরা এর উপযুক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এবং তারা তাদের জান মালের নিরাপত্তা ও সঠিক বিচারের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।